হামলাকারী বামপন্থী সংগঠনের ছাত্ররা প্রথমে উপাচার্যের বাড়ির সামনের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেই মুহুর্তে বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না উপাচার্য। তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রীকে ঘেরাও করে তুমুল হেনস্থা করা হয়। পরে প্রতিবেশী অন্যান্য অধ্যাপকের স্ত্রীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।
উপাচার্য জগদীশ কুমার ট্যুইটে পুরো ঘটনাটি বিশদভাবে জানিয়েছেন। ট্যুইটে তিনি লেখেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাঁর বাড়িতে ঢুকে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থা ও বাড়িতে ভাংচুর করে। তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একাকী ভীত ও সন্ত্রস্ত অবস্থার মধ্যে রয়েছেন, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
গত সপ্তাহেই উপাচার্য জগদীশ কুমারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অনশনে সামিল হয় জেএনইউয়ের পড়ুয়ারা। জেএনইউ কর্তৃপক্ষের গৃহীত কিছু পদক্ষেপ এবং অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ছাত্রছাত্রীরা৷ গত সপ্তাহেই উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎকারে চেষ্টা চালায় তারা। কিন্তু লাভ না হওয়ায় জঙ্গি আন্দোলনের পথ বেছে নেয় তারা।
এই ঘটনায় ছাত্রদের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। দেশের প্রথম সারির ইউনিভার্সিটির তালিকায় থাকা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এহেন আচরণে অনেকেই বিস্মিত। উপাচার্যের বাড়ি ভাংচুর সহ তাঁর অনুপস্থিতিতে যেভাবে তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থা করা হল, তাতে আন্দোলনের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এই ঘটনায় ওই হামলাকারী বামপন্থী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির তরফ থেকে এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, তাদের কোন সদস্য এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। তাঁরা সামসাসামনি আন্দোলনে বিশ্বাসী। জগদীশ কুমারের স্ত্রীকে হেনস্থা ও বাড়িতে ভাংচুর করা হয়নি বলেই জানিয়ে দিয়েছে তারা। যদিও বাকি ছাত্র সংগঠনগুলির তরফে বামেদের দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়েছে।
]]>