সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির অভ্যন্তরীণ প্যানেল জানিয়ে দিয়েছে; সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগের কোন সারবত্তা নেই; বিচারপতি এস এ ববদের নেতৃত্বাধীন ৩ জন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গাড়ি ভাঙচুর, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে হুগলীর জেলাশাসক দফতরে ধর্নায় লকেট
সুপ্রিম কোর্টের একজন সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে; যৌন হেনস্থায় বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের সায় দিয়েছিলেন তিনি নিজেই; কারণ তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নিজের ভাবমূর্তির উপরে।
যৌন হেনস্থার অভিযোগের উত্তরে রঞ্জন গগৈ বলেছিলেন; তিনি তাঁর ২০ বছরের কেরিয়ারে এমন অভিযোগের মুখে পড়তে হবে তা কখনোও ভাবেননি; তাঁর পিওনেরও তাঁর থেকে বেশি সম্পত্তি রয়েছে বলেছিলেন তিনি। বিচার বিভাগকে ইচ্ছাকৃত ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় জয় শ্রী রাম বললেই জেলে পুরছেন মমতা, ঝাড়গ্রামে অভিযোগ মোদীর
গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করা এক মহিলা তাঁর অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়ে ২২ জন বিচারপতির কাছে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন; তবে এই অভিযোগ মিথ্যে বলে খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল।
সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন; সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন একজন কর্মচারী অভিযোগ জানিয়েছিলেন; তার ভিত্তিতেই গড়ে ওঠা প্যানেল তদন্ত করে বিচারের রায় দিয়েছে। কিন্তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি জনসম্মুখে প্রকাশ করার পক্ষপাতী তারা নন।
আরও পড়ুনঃ ফণীর ক্ষয়ক্ষতির জন্য রাজ্যকে টাকা দিতে চেয়েছিলাম, নিলেন না মমতা, জানালেন মোদী
প্যানেলের এই রিপোর্ট সিনিয়র বিচারপতি এবং প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্টটি প্রকাশও করা হবে। এর আগেই ওই অভিযোগকারিনী মামলা থেকে সরে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন; আদালতের পরিবেশ ভীতিপ্রদ; তদন্তের সময় তাকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
]]>বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক মিকা সিংকে কয়েকদিন আগেই এক পানশালা থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুবাই পুলিশ। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মিকার বিরুদ্ধে দুবাইয়ের মুরাক্কাবাত থানায় যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছে ব্রাজিলের ১৭ বছরের এক মডেল। সে অভিযোগ করেছে, মিকা সিং মোবাইল ফোনে তাকে আপত্তিকর মেসেজ ও অশ্লীল ছবি পাঠিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর দ্রুত ভারতীয় দূতাবাসের সহায়তা চান মিকা সিং। খবর পেয়ে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ দুবাই পুলিশের উচ্চমহলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। সারাদিন চেষ্টার পর একপর্যায়ে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে মিকা সিংকে ছেড়ে দেয় আবুধাবি পুলিশ। তবে দুবাই পুলিশ বলেছে, মিকা সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর মেয়েটির মোবাইল ফোনও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দীপিকা কি গর্ভবতী? রণবীরের সন্তানের মা হবেন দীপিকা?
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নভদীপ সিং সুরি এবার আবুধাবিতে গলফ নিউজকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাতেই ছাড়া পেয়েছেন মিকা সিং। তাঁকে পরে আদালতে হাজির হতে হবে। মিকাকে দুবাইয়ে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তাঁকে আবুধাবিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ, যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছে, সে আবুধাবির আবাসিক ভিসা নিয়েছে। আর মিকা সিং দুবাই যান একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য।
ব্রাজিলের এই মডেল আরও অভিযোগ করেছে, মিকা সিং তাকে বলিউডে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর তার কাছে আপত্তিকর মেসেজ আর অশ্লীল ছবি পাঠান। দুবাই পুলিশের মতে, এই অভিযোগ অনুযায়ী মিকা সিং মেয়েটিকে যৌন হেনস্তা করেছেন; যা গুরুতর অপরাধ। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভারতের এই জনপ্রিয় গায়কের জেল-জরিমানা দুইই হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ বউয়ের জন্য সিঁদুর পরে হিন্দু প্রথা ভাঙলেন রণবীর সিং
মিকা সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। ২০০৬ সালে রাখি সাওয়ান্তকে জোর করে চুমু খাওয়ার অভিযোগে তাঁকে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। ২০১৬ সালে ৩২ বছরের এক ফ্যাশন ডিজাইনার মিকা সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, মিকা সিং তাঁর বাড়িতে এসে হাত ধরে টেনে জোর করে জড়িয়ে ধরেন।
আরও পড়ুনঃ বয়সে এক যুগের ফারাকে বিয়ের পিঁড়িতে মালাইকা অর্জুন
এ ছাড়া ২০১৪ সালে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে একটি অটোকে ধাক্কা মারায় ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলায় অভিযুক্ত হন মিকা সিং। ২০১৫ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠানে এক চিকিৎসককে থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহিলা মিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
বারবার বেঁচে যাওয়া মিকা দুবাইকেও ভারত ভেবে নিয়েছিলেন। ভারতে নামডাক হলে যা খুশি করেও পার পাওয়া যায়, কিন্তু দুবাইয়ে নয়। নামের গরমে এটাই ভুলে গিয়েছিলেন মিকা। আবু ধাবির আদালতে এখন তার বিচার হবে। এই ঘটনার পর মিকা শুধরে যাবে, মনে করছে বলিউড।
]]>ভারতে প্রথমবার #MeToo আন্দোলন শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে আইনি পথে। অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওশিয়ারা থানায় FIR করেছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার মি টু (#MeToo) স্লোগান আছড়ে পড়ছে বিজেপি মন্ত্রীসভাতেও।
যৌন হেনস্তার অভিযোগের এবার নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন সাংবাদিক ও ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরেরও। আর এবার কলকাতার বড় এক খবরের কাগজের সাংবাদিকের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন এক মহিলা সাংবাদিক।
সমস্ত পেশার মতোই সংবাদজগতেও এই ধরণের ঘটনা নতুন নয়। গোটা বিশ্বেই শিক্ষানবিশ ও নতুন আসা মহিলা সাংবাদিকদের যৌন হেনস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলেই অভিযোগ। তবে খুব কম মহিলাই সাহস করে কোন ঘটনা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। কলকাতার বেশ কিছু মিডিয়ার ‘বস’দের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের তালিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। সেই সব ঘটনাই এবার #MeToo হয়ে আছড়ে পড়বে প্রকাশ্যে, আশঙ্কায় অনেকেই।
শুরুটা হয়েছিল, সফল সম্পাদক ও সাংবাদিক ও বর্তমানে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরকে দিয়ে। অভিযোগ যাঁরা করেছেন, সাংবাদিক হিসেবে তাঁরাও বেশ পরিচিত মুখ। কলকাতাতেও বড় একটি খবরের কাগজের এক নামকরা সাংবাদিক এবার হ্যাশট্যাগ মি টুর সামনে। অভিযোগ সেই যৌন হেনস্থার। অপেক্ষায় আরও অনেকে এখন আশঙ্কার প্রহর গুনছেন।
হ্যাশট্যাগ মি টু (#MeeToo), সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের শুরুটা হয় মার্কিন মুলুকে। গত এক বছর ধরে মার্কিন মুলুকের সফল চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টেনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগের ঝড় বয়ে যাচ্ছে যা ‘#মি টু’ (#MeToo) নামে পরিচিত।
একের পর এক অভিনেত্রী ও অন্যান্য মহিলারা এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন, যেগুলো আদালতের বিচারাধীন। তারই রেশ ধরে ভারতেও শুরু হয়েছে এই ‘মি টু’ আন্দোলন।
সাংবাদিক আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ প্রথম এনেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। যদিও এক বছর আগে লেখা সেই প্রতিবেদনে তিনি আকবরের নাম করেন নি। কিন্তু সম্প্রতি এক ট্যুইটে তিনি পুরোনো ঘটনা মনে করিয়ে সরাসরি আকবরের নাম নেন।
তার পর থেকে একাধিক মহিলা সাংবাদিক আকবরকে নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে থাকেন। কীভাবে হোটেলের ঘরে ইন্টারভিউর নামে মহিলা সাংবাদিকদের আকবর ডেকে পাঠাতেন, মদ খাওয়াতেন, ঘনিষ্ঠভাবে কাছে বসতে বাধ্য করতেন, অশালীন আচরণ করতেন, মহিলা সাংবাদিকেরা তার বিবরণ দিয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশ না করা এক সাংবাদিক লিখেছেন তাঁকে হোটেলে ডাকার কাহিনি। ‘সম্পাদক মশাই’ তাঁকে জোর করে মদ খাওয়ালেন এবং জড়িয়ে ধরলেন। সেই মহিলা লিখেছেন, একটা সময় জোর করে আকবারকে ঠেলে দিয়ে, দরজা খুলে তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন।
এই ঘটনাই কাঁপিয়ে দিয়েছে কলকাতার অনেক মাথাকেই। কলকাতার বড় বড় ৩/৪ টি খবরের কাগজ ও টিভি চ্যানেলের মাথারা এখন আতঙ্কের প্রহর গুনছেন। এই বুঝি সামনে এলো তাদের যৌন হেনস্থার কথা। কাজ পাইয়ে দেওয়া ও পরে প্রোমোশনের জন্য মহিলা কর্মীদের কু-প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু ওই মহিলা কর্মীদের মুখ খোলার অপেক্ষা।
কলকাতার অন্ততঃ ২ থেকে ৩ টি টিভি চ্যানেলের বড় মাথাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মহিলা সাংবাদিকদের। তাদের বিরুদ্ধে কাজ পাইয়ে দেওয়া, প্রমোশন পাইয়ে দেওয়া, কাজের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য শারিরীক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি প্রতিবাদ করলে নির্মম ভাবে ছেঁটে ফেলার অভিযোগও রয়েছে এক এডিটরের বিরুদ্ধে। যে কোনদিন সেটা #MeToo হয়ে আছড়ে পড়বে প্রকাশ্যে।
এখনও নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক মহিলা সাংবাদিক অভিযোগ এনেছেন কলকাতার এক বড় সংবাদপত্রের মাথার বিরুদ্ধে। অশ্লীল কথা বলা, নোংরা অঙ্গভঙ্গি করা ও যখন-তখন যেখানে খুশি ছোঁয়ার অভিযোগ রয়েছে। মোবাইলে প্রমাণও রয়েছে, সেটা যে কোনদিন #MeToo হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে আছড়ে পড়বে।
কলকাতার এক ওয়েব নিউজ পোর্টালের এডিটারের বিরুদ্ধেও রয়েছে অনেক অভিযোগ। নোংরা ম্যাসেজ পাঠানো, কু প্রস্তাব দেওয়ার লিখিত প্রমান রয়েছে বলেই জানিয়েছেন কিছু মহিলা সাংবাদিক। শিক্ষানবিশ মহিলা সাংবাদিক নিয়োগ করে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যে কোনদিন তা হ্যাশট্যাগ মি টু (#MeToo) হয়ে প্রকাশ্যে আসবে।
আসল সাংবাদিকরা সবসময় খবরে থাকতে ভালোবাসেন। কিন্তু এই প্রথমবার, সংবাদ বা খবরে আসার অপেক্ষায় কাঁপছেন কলকাতার কিছু সাংবাদিক। হ্যাশট্যাগ মি টু (#MeToo) আতঙ্ক গ্রাস করেছে কলকাতার সংবাদ জগতকেও।
]]>ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী স্কুল মঙ্গলবার সকাল থেকেই এক ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে। স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ স্কুলে ঢুকতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিভাবক-পুলিশ ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়ে যায় গোটা স্কুল জুড়ে।
অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত করে দেখা হবে শুনেও বিক্ষোভ থামান নি অভিভাবকরা। তারপরেই নির্বিচারে লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। লেক থানার পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে লাঠি চালানোর অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। এক অভিভাবিকার মাথা ফেটে যায় পুলিশের লাঠির আঘাতে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। তিনজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিভাবকদের বিরুদ্ধে পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পুলিশকর্তাদের। স্কুলের আশেপাশের বাড়ি থেকেও ইঁট ছোড়ার অভিযোগ পুলিশের। এখনও উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। আপাততঃ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে গোটা এলাকা।
এর আগেও কলকাতার ৩-৪ টি স্কুলে যৌন নিগ্রহের প্রতিবাদে অবিভাবক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। তবে, পুলিশ-এর এইভাবে লাঠি চালানোর ঘটনা এই প্রথম। সবচেয়ে সমস্যায় পরে পড়ুয়ারা। অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে তারা স্কুলের ভেতরেই আটকে পরে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অভিযুক্ত শিক্ষকের পাশাপাশি ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা অভিভাবক কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লেক ও গড়িয়াহাট, দুটি থানার ওসি এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখনও বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রয়েছে স্কুলটিকে। ছাত্রী স্বাভাবিক হলে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে। কি কারনে এই ঘটনা ঘটল তা দেখতে স্কুলে যান পুলিশের বড় কর্তারা। অভিযুক্ত শিক্ষককে জেরা করছে পুলিশ।
]]>