আরও পড়তে পারেনঃ
উধাও কংগ্রেস বিধায়ক, লোকসভার আগেই সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি
মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন
কলকাতা হাইকোর্টের পর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও আটকে যায় বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ বা ‘রথ যাত্রা’। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই এর বেঞ্চেও মঙ্গলবার অনুমতি পায়নি বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’। রাজ্যের হাতেই রথ যাত্রার অনুমতি দেওয়া-না দেওয়া নির্ভর করছে, বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। পুরোপুরি বাতিল না করলেও, আপাতত তাই বন্ধ হয়ে যায় বিজেপির রথ যাত্রা। এই রায়ের পর লোকসভা ভোটের আগে মমতার কাছে বড় ধাক্কা খেল বঙ্গ বিজেপি, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়তে পারেনঃ
সপ্তশৃঙ্গর পর সপ্ত আগ্নেয়গিরি, বিরল বিশ্বরেকর্ডের চূড়ায় বাঙালি
মন্দিরে ঢুকে বিপ্লবের শাস্তি, পিটিয়ে বৌমাকে হাসপাতালে পাঠাল শাশুড়ি
যাত্রার অনুমতি না দিলেও সুপ্রিম কোর্ট বিজেপিকে আশার আলো দেখিয়েছিল। ‘রথ যাত্রা’ বা ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ নিয়ে, নতুন করে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পেশ করতে পারে বিজেপি, মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে রায় দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই এর বেঞ্চ। সেই নির্দেশ পেয়েই নতুন করে যাত্রাসূচী নিয়েই ফের নবান্নে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধি দল। এটা জেনেই যে, রাজ্য আগের মত না করবেই। তাহলে কি ফের সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হবে বিজেপি? বারবার একই লড়াই আদালতে কতদিন ধরে চলবে? উঠে গেছে প্রশ্ন।
কলকাতা হাইকোর্টে মোদীর ‘গেরুয়া রথ’কে আটকে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিই মেনে নেয়। বাতিল না হলেও, বন্ধ হয়ে যায় বিজেপির রথ যাত্রা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর কোর্টেই ফের বিজেপির ‘রথ যাত্রা’ মামলা ফেরত পাঠায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের পরই দেশের শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয় বিজেপি।
আরও পড়তে পারেনঃ
বাংলায় ক্ষোভ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াচ্ছে মোদী সরকার
ভোটের আগে মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে মোদী সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট
শুরুতে রাজ্য সরকার বিজেপির যাত্রার অনুমতি দেয়নি। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী রাজ্যের রথ যাত্রার অনুমতি না দেওয়া বাতিল করে শর্তসাপেক্ষে রথ যাত্রার অনুমতি দিয়েছিলেন। এর জেরে বিজেপি রথ যাত্রার প্রস্তুতিও শুরু করে দেয়।
তবে সিঙ্গেল বেঞ্চে এই রায়ের পর ফের কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা নিয়ে যায় রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি মেনে নিয়ে রথ যাত্রা অনুমতি বাতিল করে আবার হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর এজলাসেই ফেরত পাঠান এই মামলা। এরপরেই বিজেপি মামলা নিয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়তে পারেনঃ
শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা
সুপ্রিম কোর্টেও মমতার হাতে আটকে গেল মোদীর গেরুয়া রথ
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও রথ যাত্রার অনুমতি পায়নি বিজেপি। যদিও তা একেবারে বাতিল করে নি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই এর বেঞ্চ। তবে আপাতত যে রথযাত্রা হচ্ছে না সেটা পরিষ্কার। ফের রাজ্যের উপরই আবার রথ যাত্রার সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে বিজেপি সভা সমিতি করতে পারবে, রাজ্যের কাছে আগাম অনুমতি চেয়ে, জানিয়ে দেয় আদালত।
রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্ট ও বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারদের সব রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই তো সিদ্ধান্ত নিতে হবে, পরিস্কার জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। নতুন করে রাজ্যের কাছে যাত্রার প্রস্তাব পেশ করতে পারে বিজেপি, জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সব দেখেই ফের রথ যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে কি হবে না তা আবার ঠিক করতে হবে সেই রাজ্যকেই। এরপরেই ফের নবান্নে বিজেপি।
আরও পড়তে পারেনঃ
নৃশংস নার্স, সেবাই যাদের ধর্ম তারাই পিটিয়ে মারল ১৬টি বাচ্চা কুকুর
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে এক হিন্দু নারী
গত দুমাস ধরেই কলকাতা হাইকোর্টে একবার সিঙ্গেল বেঞ্চ ও একবার ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরে বেড়িয়েছে বিজেপির রথ। বাংলার রাস্তায় চলার অনুমতি আদৌ অনুমতি পাবে কিনা সেটা জানতে সুপ্রিম কোর্টের দিকেই তাকিয়ে ছিল বিজেপি। সেই আশাও ব্যর্থ হয়ে যায় মঙ্গলবার।
কিন্তু হাল না ছেড়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের রথ নিয়ে রাজ্যকে নতুন করে প্রস্তাব পেশ বিজেপির। আবার প্রথম থেকে সব কিছুই শুরু করতে হবে তাদের। তবে রাজ্যে সভা সমিতি করার অনুমতি পেয়েছে বিজেপি। তবে সেটাও করতে হবে রাজ্যের অনুমতি নিয়েই। ভোটের আগে জোর ধাক্কা সামলাতে আবার শুরু থেকে লড়াই গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়তে পারেনঃ
ভারতের কৃষকের মেয়ে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ
নতুন বছরের শুরুতেই খারাপ খবর, বড় বড় কোম্পানিতে কর্মী ছাঁটাই
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সব মিলিয়ে বাংলায় বিজেপির রথ যাত্রা এখনও বিশ বাঁও জলে। আদালতের বাইরে এসে কবে বাংলার রাস্তায় চলবে বিজেপির রথ, সেটাই এখন প্রশ্ন। আদৌ মমতার বাংলায় গেরুয়া রথ নামতে পারবে কিনা সেটাও এখন বড় প্রশ্ন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিজেপির গেরুয়া রথের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার, সেটা বলাই যায়। আর সেই অন্ধকার কাটাতেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নবান্ন থেকেই ফের শূন্য থেকেই শুরু বঙ্গ বিজেপির।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়তে পারেনঃ
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘ভাবনার বিপ্লব’ ভাবনা কস্তুরীর হাত ধরে
মমতার বাছাইয়ে কারা হবেন বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী
মোদীর প্রকল্পে আর টাকা দেবেন না মমতা, কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে
একদিনে বহিষ্কৃত দুই তৃণমূল সাংসদ, দিদিকে ছেড়ে মোদীর দলে আর কে কে
সিবিআই থেকে দমকলে বদলি, প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন আইপিএস
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়ুনঃ ‘ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করুক মোদী ও মমতা’ ঘোষণা বিচারপতির
৪২ দিনের ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার’ অনুমতি দিতে চাইছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ৪২ টি লোকসভা এলাকা স্পর্শ করতে ৪২ দিনের যাত্রা বিজেপির। কিন্তু ডিসেম্বরে ক্রিস্টমাস ও জানুয়ারিতে গঙ্গাসাগর উৎসবের জন্য এত বেশি দিনের অনুমতি দেবে না রাজ্য সরকার। বিজেপির যাত্রা বা প্রধানমন্ত্রী সহ নেতাদের বাংলায় আসা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ৪২ দিনের অনুমতি কোনরকমেই দেবে না প্রশাসন।
আদালতের নির্দেশে শনিবারের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। তবে সরকারের যাত্রার দিন কমানোর সিদ্ধান্ত কোনরকমেই মানা হবে না বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতারা। ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার’ শুধু দিন পরিবর্তন হবে, সময়সীমা নয়, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে মুখ রক্ষা বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র
‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার ঠিক করে দিক রথ যাত্রা শুরুর দিন’, লালবাজারে বিজেপি প্রতিনিধি দল জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসনকে। আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার লালবাজারে বৈঠকে বসে বিজেপি ও রাজ্য প্রশাসন। রথ যাত্রা নিয়ে যা বলার, পরে জানিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালবাজারের কনফারেন্স রুমে রাজ্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি প্রতিনিধি দল। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ছিলেন মুখ্যসচিব নিজে। বিজেপি র তরফ থেকে ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলায় রথ যাত্রা হবেই’ মমতাকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের
‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি তা রাজ্যের প্রতিনিধি দলকে জানান বিজেপি নেতারা। মুখ্যসচিব জিজ্ঞাসা করেন, ‘তাহলে রথযাত্রা নাম কেন’? বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে জানিয়ে দেন, এই যাত্রার নাম ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ মোটেও রথ যাত্রা নয়।
বিজেপি প্রতিনিধি দলের কাছে এই যাত্রার সব রুট, রাস্তা জানতে চান রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দল। বিজেপি র তরফ থেকে রাজ্যকে সমস্ত রুট, রাস্তার ম্যাপ দেওয়া হয়। এরপরেই বিজেপি র তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যের ঠিক করা দিনেই রথ যাত্রা করবে তারা। শুধু কয়েকটা দিন আগে জানাতে হবে তাদের কারন তাদের হাই প্রোফাইল নেতারা আসবেন তার জন্য সময় দরকার।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল সরকার ঠিক করবে বিজেপি রথ যাত্রার দিন
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার কোনোরকমেই বিজেপিকে এতদিন ধরে এই ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’র অনুমতি দেবে না। আর সেটাই বিজেপিকে শনিবার জানিয়ে দেবে তারা। আর অবধারিত ভাবেই সেটা মানবে না বিজেপি। সবমিলিয়ে বিজেপির ‘যাত্রা’ আবার আদালতে যেতে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। মমতার বাধায় মোদীর রথ ফের ঢুকতে চলেছে সেই আদালতেই।
]]>আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে মুখ রক্ষা বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র
কলকাতা হাইকোর্টে এখনই রথ যাত্রার অনুমতি না পেলেও মুখ রক্ষা হয়েছিল বাংলা বিজেপির। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফের আলো দেখে বিজেপির ‘রথ যাত্রা’। ‘আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে’, রাজ্যকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সামাদ্দার-এর ডিভিশন বেঞ্চ।
ফলে বাতিল হয়ে যায়, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ‘রথ যাত্রা’ বন্ধ করার রায়। ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপি নেতারা নবান্নে গিয়ে বৈঠকে বসার জন্য রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসার কথা বলে এসেছেন। সেই অনুযায়ী, আদালতের নির্দেশ পালনে লালবাজারের কনফারেন্স রুমে বসছেন রাজ্য ও বিজেপির প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলায় রথ যাত্রা হবেই’ মমতাকে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের
‘১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র অনুমতি নিয়ে বিজেপিকে জানাতে হবে’, জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সামাদ্দার-এর ডিভিশন বেঞ্চ। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজি ও ডিজিকে নিজেরা বসে ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বসে ‘রথ যাত্রা’র অনুমতি নিয়ে দেওয়া নিয়ে আলচনা করতে হবে বলে জানিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। পরে ১৪ তারিখের বদলে ১৬ তারিখ শেষ দিন স্থির করে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাংলায় ‘রথ যাত্রা’ সভা বাতিল করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ‘রথ যাত্রা’ নিয়ে একেবারে ব্যাকফুটে ছিল বাংলা বিজেপি। শেষ ক্ষীণ ভরসা ছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিজেপির ‘রথ যাত্রা’ ফিনিক্স পাখির মত বেঁচে উঠবে না মমতার বুদ্ধির কাছে নতি স্বীকার করে নেবে সেটাই দেখার ছিল। আদালতের রায়ে ফের বেঁচে উঠল বিজেপির ‘রথ যাত্রা’।
আরও পড়ুনঃ দেশের সব গোয়েন্দাদের টপকে সেরা লালবাজারের অফিসার
কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গেল বেঞ্চে মমতার কাছে ‘গোহারা’ হেরে গিয়েছিল বিজেপি। রাজ্য সরকার না করে দেবার পরে বিজেপির ‘রথ যাত্রা’য় অনুমতি দেয় নি কলকাতা হাইকোর্টও। ফের একবার আদালতের লড়াইয়ে জিতেছিল মা মাটি মানুষের সরকার। আগামী ৯ জানুয়ারী তারিখ পর্যন্ত কোন ‘রথ যাত্রা’ বা ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ করা যাবে না বলেই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
EXCLUSIVE: দিল্লীর নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডের পরেও নিরাপত্তাহীন কলকাতার বাস
পরে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সেই রায় বাতিল হয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র অনুমতি নিয়ে আলোচনা শেষ করে তা বিজেপিকে জানিয়ে দেবার নির্দেশ দিইয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে বিজেপির ‘রথ যাত্রা’ বা ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই যাত্রা ও সভা তারা আদৌ শুরু করতে পারবে কিনা বা কবে পারবে তার ফয়সালা হবার জন্যই আদালতের নির্দেশে আজ লালবাজারে বৈঠক। রথ যাত্রা শুরু না হওয়ায় ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বাংলা সফর।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে ঢোকার আগেই নাইন এমএম পিস্তল সহ গ্রেফতার ছয়
ঠিক ছিল, শুক্রবার ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বিজেপির প্রথম রথ। দ্বিতীয় রথটি কাকদ্বীপ থেকে যাত্রা শুরু করবে ৯ তারিখ। তৃতীয় রথের যাত্রা তারাপীঠ থেকে শুরু হওয়ার ১৪ ডিসেম্বর। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি ছিল, তিনটি রথের উদ্বোধনেই হাজির থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
আরও পড়ুনঃ ৫ টি প্রধান কারনে ৫ রাজ্যে হার মোদীর বিজেপির
শুধু তাই নয় ‘রথযাত্রা’ বা ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ চলাকালীন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি জনসভা করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে আদালতের রায়ের পর, সবকিছুই বাতিল হয়ে যায়।
লালবাজারে বৃহস্পতিবার দুপুরের ‘রথ বৈঠক’ নিয়ে রাজ্য সরকার ও বিজেপি নেতাদের একমত হবার সম্ভাবনা দেখছে না কেউই। ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সামাদ্দার এর ডিভিশন বেঞ্চেই ফিরতে হবে দু পক্ষকেই, মনে করছে সব মহলই।
]]>বাবরি কাণ্ডের সমালোচনায় শান্তি রক্ষার্থে, বৃহস্পতিবার সকালে হলদিয়া শহর তৃণমূলের আয়োজনে হলদিয়ার ব্রজলালচকে সম্প্রীতির পদয়াত্রা ও সভার আয়োজন করা হয়। সেই পদযাত্রা ও সভায় যোগদান করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু আধিকারী।
আরও পড়ুনঃ মমতার অনুমতি নেই, মোদীর রথের দড়ি কলকাতা হাইকোর্টের হাতে
নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘এই সময় কি রথ বের হয়। তাছাড়া যারা এই রথ বের করেছেন সেই দলের রাজ্য সভাপতি বলছে, মারলে আহত হলে তো ৬ মাস হাসপাতালে থাকে, একেবারে ফিনিশ করে দাও। আর একজন মহিলা বলছে রথের সামনে পড়লেই পিষে দিয়ে চলে যাবো’।
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু আধিকারী আরও বলেন, ‘ওরা জানেই না রথের ইতিহাস। আমরা মেদিনীপুরের মানুষ, পাশেই উড়িষ্যা, আমরা একসময় উড়িষ্যা সঙ্গেই ছিলাম। আমরা প্রভু জগন্নাথকে জানি। প্রথমে থাকে বলরাম, তাকে গৌরবের প্রতীক বলা হয়। তার পরে থাকে বোন শুভদ্রা ও তার পরে থাকে প্রভু জগন্নাথ। তাকে ঈশ্বর বলা হয়’।
আরও পড়ুনঃ আন্দোলনের এক যুগ পূর্তিতে সিঙ্গুরে শহীদ মিনার গড়বেন মমতা
তিনি বলেন, ‘২০৬ টি কাঠ দিয়ে তৈরি এই রথ। আর মানব দেহেও ২০৬ টি হাড় রয়েছে। এর এই জগন্নাথ শান্তির কথা বলে। আর এরা দেড় কোটি টাকা দামের উন্নতমানের এসি গাড়ি নিয়ে এসেছে। সেখানে খানা, পিনা, নাচ, গান, এসি, বাথরুম, পায়খানা, স্নান করার জায়গা, ফুর্তি করার জায়গা সব আছে। এটা জগন্নাথের রথ নয়’।
তিনি বলেন, বিজেপি কিছুই করিতকর্মের নয়। এই ভাবে রথকে নিয়ে প্রচারে নেমে কিছু করতে পারবে না। কারন তৃণমূল সম্প্রীতি ও ঐক্য বহন করে সবধর্মের মানুষকে সাথে নিয়ে উন্নয়ন করতে পারে। তিনি বলেন, ‘ওরা কিছু করতে পারবে না। কিভাবে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হয় আমাদের জানা আছে। আমরা কাজ করে দেখাই। ভারতে বেশি করে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান হোক আমরা চাই কিন্তু সাধারন মানুষকে বোকা বানিয়ে নয়’।
আরও পড়ুনঃ মমতার পদে ইস্তফা, বিজেপির ‘গনতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’য় কেপিপি সভাপতি
এদিন হলদিয়া ব্লকের হকদিয়া মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে ২ কিমি সম্প্রীতির পদযাত্রা হয়। সেখানে সব ধর্মের মানুষ হাতে হাত রেখে হেঁটেছেন। এদিন মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মন্ডল, আনন্দময় অধিকারী, হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা সহ অন্যান্যরা।
]]>