Ram Mandir – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Tue, 17 May 2022 07:19:11 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Ram Mandir – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 বাবরি-র পর জ্ঞানবাপি, ‘মন্দির ওহি বনেগা’ https://thenewsbangla.com/babri-masjid-now-gyanvapi-masjid-mandir-wahi-banega/ Tue, 17 May 2022 07:18:01 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=15094 বাবরি-র পর জ্ঞানবাপি, ‘মন্দির ওহি বনেগা’। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের হাতে গড়া; উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর ঐতিহাসিক জ্ঞানবাপী মসজিদ সিল করে দেওয়া হল আদালতের নির্দেশে; আদালতের রায় না বেরোনো পর্যন্ত। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ধ্বংস করেই; প্রমাণ পেল আদালত। ভূগর্ভস্থ ঘর (তহ্খানা), ওজুখানা এবং আশপাশের এলাকা; সিল করে দিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।

তথাকথিত জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। এছাড়াও মসজিদ চত্বরের পশ্চিম দেওয়ালের দিকে; হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষও মিলেছে। এটাই স্বাভাবিক, কারণ উপরিকাঠামোর উপর মসজিদ বানালেও; আদিকাল থেকে ওটা মন্দিরই ছিল। সত্যকে ধামাচাপা দিলেও, সত্য সামনে আসবেই; সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।

১৬৬৯ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (শিব মন্দির) ভেঙে; একটি অংশে মসজিদ তৈরি করেছিল। নাম দিয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ; সমীক্ষায় সেই প্রমাণও পাওয়া গেছে। পশ্চিমদিকের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি এবং সংলগ্ন কুয়োতে; শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। মসজিদের পরতে পরতে হিন্দু সংস্কৃতির ছোঁয়া।

কাশী বা বারাণসীর বিখ্যাত বিশ্বনাথ মন্দিরের গায়েই দাঁড়িয়ে রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ঐতিহাসিকদের মতে, একাধিকবার বিদেশি হানাদারদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় মন্দিরটি। ১৬৬৯ সালে মূল মন্দিরটি দখল করে, জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করেন; মুঘল বাদশাহ ঔরঙ্গজেব। অষ্টাদশ শতকে হিন্দুদের আবেগকে মান্যতা দিয়ে, মসজিদের কাছেই আজকের বিশ্বনাথ মন্দিরটি; তৈরি করেন মারাঠা রাজ্য মালওয়া-র রানি অহল্যাবাই হোলকর।

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েল বর্তমানে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ‘স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর’ নামক একটি সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে; মসজিদটি যে জমির উপরে তৈরি, সেখানে আসলে হিন্দু মন্দির ছিল। পাঁচজন মহিলাও দাবি করেন যে; মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। এরপরই গতবছর বারাণসী আদালতের তরফে; মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়।

বেনারস আদালত আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার উপর; এই সমীক্ষার দায়িত্ব দেয়। সেই সমস্ত পদ্ধতিই এতদিন ধরে চলছিল। আদালতের নির্দেশে প্রায় আড়াই দিন ধরে চলে এই সমীক্ষা; মঙ্গলবার থেকেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুরু হবে। জলাশয়ের ভিডিওগ্রাফির জন্য সমস্ত জল বের করে দেওয়া হয়; তখনই শিবলিঙ্গের উপস্থিতি ধরা পড়ে বলে দাবি। সেই তথ্য আদালতে জানান আইনজীবী বিষ্ণু জৈন; এরপরই ওই জলাশয়টি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

আরেক আইনজীবী মদন মোহন আদালতকে জানিয়েছেন; শিবলিঙ্গটির উচ্চতা ১২ ফুট, ব্যাস ৮ ইঞ্চি। এরপরই আদালতের তরফে বারাণসীর জেলাশাসক কৌশলরাজ শর্মাকে; জলাশয়টিকে সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জলাশয়টি যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারেন; তার দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফ থেকে।

জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে; মা শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পুজো করার আবেদন জানিয়েছিলেন পাঁচজন মহিলা। গত একবছর ধরেই ওই অঞ্চলটি খুলে দেওয়া হয়েছে প্রার্থনা করার জন্য। কিন্তু ওই মহিলাদের আবেদন ছিল; তাঁরা চান ওই পুরনো মন্দির চত্বরের অন্যান্য দেববিগ্রহের সামনেও প্রার্থনা করতে। গত এপ্রিলে এই বিষয়ে একটি তদন্তের নির্দেশ দেয় বারাণসী আদালত; কয়েকদিন আগেই মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে।

সোমবার মসজিদের অন্দরের দুটি গম্বুজ, ভূগর্ভস্থ অংশ, পুকুর-সহ কয়েকটি এলাকা সিল করে; সিআরপিএফ মোতায়েনের নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশের বারাণসী আদালত। বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি, সিআরপিএফের একজন কমান্ডান্ট (সুপার) স্তরের আধিকারিককে; মসজিদ দখল নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন নগর-দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর।

এত গেল ইতিহাসের ঘটনা ও নিউজ। লড়াই চলছে আদালতে; বর্তমানে প্রশ্ন এখন চারটে।

১. এই ঔরঙ্গজেব-ও আমাদের মাধ্যমিকের বইয়ে উদারমনা, শিক্ষিত, ধর্মপ্রাণ শাসক; যে হিন্দুদের একের পর এক মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে গেছে। কংগ্রেসের লেখা ইতিহাস কি পরিবর্তন করা হবে?

২. ‘মন্দির ওহি বনেগা’; ফের ডাক দিয়েছে বিজেপির মন্দির কমিটিগুলো। ২০২৪ এর লোকসভা ভোট বৈতরণী পার করার বড় হাতিয়ার কি গেরুয়া শিবির পেয়ে গেল; ঠিক রামমন্দির ইস্যুর মত?

৩. বেকারত্ব, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন, পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া, দেশের ব্যাঙ্ক লুঠ করে দুর্নীতিবাজদের বিদেশে কেটে পরা; সব কি মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়া যাবে ফের এই মন্দির ইস্যুতে?

৪. বিরোধীরা চুপ কেন ? বিরোধীরা কি বুঝতেই পারছেন না; পক্ষে বলবেন না বিরুদ্ধে। মন্দিরের পক্ষে বললে বিজেপিকে সমর্থন করা হবে; আর বিরুদ্ধে বললে মন্দিরের বিরুদ্ধেও যেতে হবে। কি করবে বুঝতে না পেরেই কি এই ইস্যুতে চুপ বিরোধীরা?

লিখলেন, মানব গুহ

]]>
রামমন্দির তৈরি করতে না পারায় মোদীকে তোপ মমতার https://thenewsbangla.com/cm-mamata-banerjee-attacks-pm-modi-for-unable-to-make-ram-mandir/ Tue, 07 May 2019 13:07:13 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=12546 ভোটের শেষ মুহূর্তে রাম নিয়ে জমজমাট বাংলার রাজনীতি; এতদিন উত্তর ভারতসহ গোবলয়ে রাম রাজনীতি সীমাবদ্ধ থাকলেও বিগত ৫ বছরে তা গোবলয়ের সীমা অতিক্রম করে বাংলায় ঢুকে পড়েছে; আর ভোটের মধ্যে রাম রাজনীতি যেন আরও বেশিমাত্রায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে; মোদী মমতা তরজাতেও চলছে রামকে নিয়ে টানাটানি।

সোমবার ঝাড়্গ্রাম ও হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জোড়া জনসভা অনুষ্ঠিত হয়; ঝাড়গ্রামের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন; এই রাজ্যে কেউ জয় শ্রী রাম বললেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন; রাম তাঁর শিরায় শিরায় রয়েছেন; রামই তাঁর অনুপ্রেরণা।

আরও পড়ুনঃ ফনী দুর্গতদের সাহায্যে ১ কোটি টাকা দান করলেন অক্ষয় কুমার

মোদীর রামভক্তির কড়া সমালোচনা করে সোমবার জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী; বিষ্ণুপুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন; বিজেপি মন্দির নিয়ে এতো হইচই করেও রামমন্দির তৈরি করতে পারেনি; ৫ বছরে মোদী একটি মন্দির বানাতে পারলেন না বলে তোপ দাগেন তিনি।

এদিকে রাজ্যের তারাপীঠ; দক্ষিনেশ্বর; কালীঘাট মন্দিরের উন্নয়নের জন্য অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন বলে জানান; প্রসঙ্গত শনিবার চন্দ্রকোনা হয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি রোড শোতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় চন্দ্রকোনার রাধাবল্লভপুরে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে থাকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

আরও পড়ুনঃ মহরম ঈদে বিদ্যুৎ দিলেও, হোলি দিওয়ালিতে দিত না আগের সরকার, মন্তব্য আদিত্যনাথের

মুখ্যমন্ত্রীর এরপরেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন; তৎক্ষনাৎ শ্লোগান দেওয়া ব্যক্তিরা পালাতে শুরু করে; মুখ্যমন্ত্রী জোর গলায় তাদের বলেন, ” কি রে, পালাচ্ছিস কোথায়? সব হরিদাসের দল”। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন; তাকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করে বিজেপি কর্মীরা। এরপরই পুলিশকে তৎপর হতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রেফতার করা হয় ৩ বিজেপি কর্মীকে।

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা শুরু হয় দেশ জুড়ে; শুধুমাত্র জয় শ্রী রাম বলার কারনে গ্রেফতার করে মুখ্যমন্ত্রী স্বৈরাচারী ও অগনতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ করেছেন বলে অনেকে মন্তব্য করেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তুষ্ট করতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমন অভিযোগও তোলা হয়।

]]>
পাঁচ বছরে একটাও রাম মন্দির করতে পারল না বিজেপি, রানীগঞ্জে বললেন মমতা https://thenewsbangla.com/bjp-could-not-make-a-single-ram-mandir-in-five-years-mamata-in-raniganj/ Fri, 26 Apr 2019 10:10:16 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=11690 শেষে মমতার মুখেও রাম মন্দির! পাঁচ বছরে একটাও রাম মন্দির করতে পারল না বিজেপি, রানীগঞ্জে এমনটাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে এদিন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে আক্রমণ করেন মমতা। শুক্রবার আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের সমর্থনে আর কি কি বললেন মমতা? দেখে নিন একনজরে।

ভোট এলেই রাম সীতা নিয়ে ব্যস্ত হয় বিজেপি
পাঁচ বছরে একটাও রাম মন্দির বানায় নি বিজেপি
আর এস এস বাংলার ভোটে টাকা ছড়াচ্ছে
কয়লা মাফিয়াদের টাকা যাচ্ছে বিজেপির কাছে
আসানসোলের সাংসদ দাঙ্গা করেন
এখানকার সাংসদ কেন্দ্রে মন্ত্রী ছিলেন, কোন কাজ করেন নি

আরও পড়ুনঃ প্রচারে বেড়িয়ে দুষ্কৃতীর ভোজালি হামলার মুখে বিজেপি প্রার্থী, কর্মীর গলায় কোপ

রানিগঞ্জের জনসভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের সমর্থনে জনসভা থেকে মমতা বলেন, “আমায় কর্নেল বলছিল, এখানকার এমপি নাকি আমাকে কুত্তা বলেছে”। এর পরেই বাবুলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, “আরে আমি যদি কুত্তা, বিল্লি হই তুমি কে হনু? কোন হরিদাস?” এদিন আর কি কি বললেন মমতা?

অনেক ভেবে চিনতে এখানে মুনমুনকে প্রার্থী করেছি
ওকে এখানে প্রার্থী করেছি একজনকে হারাতে
আসানসোলের সাংসদ বাংলার সংস্কৃতি জানেন না, বিহারেরও না
নরেন্দ্রর মোদীর খুব অহঙ্কার
জওয়ানদের রক্ত নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি
কেন্দ্রের সাহায্যে আসানসোল রানীগঞ্জে চলছে কয়লা মাফিয়া রাজ

আরও পড়ুনঃ টার্গেট মুর্শিদাবাদ, অধীরকে হারাতে বহরমপুরে ইমামদের নিয়ে সভা শুভেন্দুর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক এতটা তিক্ত ছিল না। কয়েক বছর আগেও দেখা গিয়েছিল দিদির গাড়িতে চেপে বাবুল ঝালমুড়ি খাচ্ছেন। গায়ক সাংসদ নিজেপি জানিয়েছিলেন, সেই ঝালমুড়ির দামও দিদি তাঁকে দিতে দেননি। নিজেই দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত বাবুল যেমন মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন, উল্টোদিকে মমতাও ঠিক ততটাই। এ দিন যা একেবারে চরমে পৌঁছে গেল বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিন আর কি কি বললেন মমতা?

আরও পড়ুনঃ প্রার্থী না পেয়ে এক মাতালকে টিকিট তৃণমূলের, মদনকে কটাক্ষ অর্জুনের

কয়লা অঞ্চলে সিআইএসএফ পাহারা দেয়
সিআইএসএফ কেন্দ্রীয় পুলিশ
বাংলায় বিজেপিকে টাকা যোগাচ্ছে কয়লা মাফিয়ারা
আরএসএস কে টাকা যোগাচ্ছে মাফিয়ারা
আসানসোলে দাঙ্গা করছে এখানকার সাংসদ
আমাকে কুত্তা বলে গালাগাল দিয়েছে
খারাপ ভাষা ব্যবহার করে এই ছেলেটা

আরও পড়ুনঃ বাড়ি নেই, গাড়ি নেই, বাংলার অন্যতম গরিব প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

তবে রানীগঞ্জ ও আসানসোল মমতা এদিন বিজেপি রাম মন্দির তৈরি করতে পারে নি বলেই দাবী করেন মমতা। আসানসোল রানীগঞ্জে অবাঙালিদের ভোট টানতেই কি রাম মন্দির ইস্যু সামনে আনলেন মমতা? উঠচ্ছে প্রশ্ন।

]]>
লোকসভার আগেই রামমন্দির রায় দিতে সুপ্রিম কোর্টকে আর্জি মোদীর মন্ত্রীর https://thenewsbangla.com/modi-minister-asked-supreme-court-for-ram-temple-verdict-before-parliament-election/ Tue, 25 Dec 2018 14:11:10 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=4748 The News বাংলা: ভোট বড় বালাই। তারপর তিন রাজ্যে কংগ্রেসের কাছে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। লোকসভা ভোট আর মাত্র ৩-৪ মাসের মধ্যেই। লোকসভা ভোটের আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দির ইস্যুতে রায় দিতে এবার সুপ্রিম কোর্টকে আর্জি জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

আরও পড়ুনঃ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ‘আজাদ লড়াই’কে সম্মান নরেন্দ্র মোদীর

রামমন্দির রায় না হওয়ায় শরিকরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। শিবসেনার মত অনেকেই এনডিএ জোট ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন। সমালোচনা করছে সাধু সন্ত সংগঠন। রাম মন্দির নিয়ে ব্যপক চাপে মোদী সরকার। ভোট বৈতরণী পার হওয়ার জন্য রাম মন্দির রায় খুব দরকার বিজেপির, বলে সমালোচনা বিরোধীদের। আর তাই রাম মন্দির মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এবার সুপ্রিম কোর্ট এর বিচারপতিদের আবেদনই জানিয়ে ফেললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

আরও পড়ুনঃ স্বীকৃতি না রাজনৈতিক ফায়দা, নেতাজীকে নিয়ে বিতর্কে মোদী

শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁর প্রশ্ন, শবরীমালা মন্দিরের ক্ষেত্রে চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হলে, অযোধ্যায় রামমন্দির মামলায় এত দেরি হচ্ছে কেন? লখনউতে অখিল ভারতীয় অধিভক্ত পরিষদের একটি সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।

আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদীর হাতেই উদ্বোধন হচ্ছে ভারতের দীর্ঘতম দোতলা সেতু

অখিল ভারতীয় অধিভক্ত পরিষদের যে অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রেখেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ, এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর সহ অন্যান্য বিচারপতিরা।

আরও পড়ুনঃ শহীদ জওয়ানকে সম্মান নয়, সেনাকে পাথর ছুঁড়ে দেশদ্রোহীরাই ভারতে ‘নায়ক’

সেখানেই সরকারের তরফ থেকে নিজেই অনুরোধ করে বসেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। অবশ্য শুধু দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির অনুরোধ জানিয়েই থামেন নি রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘৭০ বছর ধরে কেন আইনি জটিলতায় আটকে আছে রামজন্মভূমি নির্মাণের বিষয়টি’?

আরও পড়ুনঃ ‘মুসলিম’ নাম বদলে ‘রামরাজ্য’ আনতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

আগামী ৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি এস কে কউলের বেঞ্চে ফের উঠবে এই মামলা। রাম জন্মভূমি বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি। ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের প্রেক্ষিতেই এই শুনানি হবে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় ছিল বিতর্কিত এলাকার ২.৭৭ একর জমি সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে নির্মোহী আখড়া, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং রাম লালা, এই তিনটি পক্ষের মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ লোকঠকানির লোন মাপ, রাহুলকে লজ্জায় ফেলে আত্মঘাতী কৃষক

৪ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের এই মন্তব্যে স্পষ্ট, রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে ফের দেশ জুড়ে আন্দোলনের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। সরকারে আসার পর চার বছর কেটে গেলেও মন্দির তৈরিতে এখনও পর্যন্ত এক পাও এগোতে পারেনি গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদীর হাতেই উদ্বোধন হচ্ছে ভারতের দীর্ঘতম দোতলা সেতু

‘রাম মন্দির হবেই’, ২০১৪ লোকসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী সহ প্রায় সব বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রে মোদী এবং রাজ্যে যোগী এই জোট হওয়ার পরেও মন্দির তৈরিতে বিজেপির ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে খোদ গেরুয়া শিবিরের মধ্যেই। সেই ব্যর্থতা ঢেকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পেরোতে ফের মন্দির আন্দোলনেই ফিরতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে

কিন্তু, নিজেদের পুরনো অবস্থানে অনড় থাকে সুপ্রিম কোর্ট। অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা ও অন্যান্যদের রাম মন্দির মামলার দ্রুত শুনানির দাবি খারিজ করে পুজোর আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই অযোধ্যা মামলার শুনানির দিন ঠিক হবে। পরে ঠিক হয়, আগামী ৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি এস কে কউলের বেঞ্চে ফের উঠবে এই মামলা।

আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: দিল্লীর নির্ভয়া ধর্ষণ কাণ্ডের পরেও নিরাপত্তাহীন কলকাতার বাস

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে, অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমিকে রাম লালা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখাড়ার মধ্যে সমান তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০১০ সালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই সব মামলারই শুনানি আবার শুরু হবে।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর ফের ভূস্বর্গে রাষ্ট্রপতি শাসন

সেই মামলায় ফের শুনানি শুরু হবে আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে। এখানেও খুব দ্রুত রায় দেবার সম্ভাবনা নেই বলেই আইনী মহলের মত। আর লোকসভা ভোটের আগে সেই রাম মন্দির রায়কেই হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে বিজেপি। আর তাই বিচারপতিদের প্রকাশ্যে অনুরোধ করতেও পিছপা হচ্ছেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। আইনমন্ত্রীর এই সরাসরি অনুরোধকে চরম সমালোচনা করা হয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তরফ থেকে।

]]>
রামমন্দির নয়, হিন্দু ক্ষোভ থামাতে অযোধ্যায় রামমূর্তির ঘোষণা যোগীর https://thenewsbangla.com/no-rama-temple-but-the-idol-of-lord-rama-is-announced-in-ayodhya-to-stop-hindu-agitation/ Sun, 25 Nov 2018 04:28:09 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=3063 The News বাংলা, অযোধ্যা: শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও শিবসেনা, আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কে সন্তুষ্ট করতে পারল বিজেপি সরকার। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের দাবির মাঝেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করে দিলেন, অযোধ্যায় রাম মূর্তি হচ্ছে।

Image Source: Google

স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পর এবার আরও বড় এক মূর্তি। ২২১ মিটার উঁচু রামের মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার, জানিয়েছেন মুখ্যসচিব অবিনাশ অবস্থী। একটি বিবৃতিতে যোগী সরকার জানিয়েছে ২২১ মিটার উঁচু রাম মূর্তিটি তৈরি হবে অযোধ্যায়। সম্পূর্ণ ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি এই মূর্তির আসল উচ্চতা হবে ১৫১ মিটার ও রামের মাথায় থাকবে ছাতা যার উচ্চতা হবে ২০ মিটার। স্তম্ভমূল বা মূর্তিটির পাদভূমির উচ্চতা হবে ৫০ মিটার।

আরও পড়ুনঃ ‘পহেলে মন্দির, ফির সরকার’ আশঙ্কায় ‘বাবরি মসজিদের’ অযোধ্যা

Image Source: Google

মূর্তির সংলগ্ন স্থানে থাকবে একটি বিশেষ মিউজিয়াম যেখানে রাম জন্মভূমি ও অন্যান্য লোকগাথা সম্পর্কিত বিষয়ক তথ্য ও ভাস্কর্য প্রদর্শিত হবে। রাম-মূর্তির আশেপাশে গেস্ট হাউস, মাঠ, রাম কুঠি ও গুরুকূল করার পরিকল্পনা রয়েছে যোগী সরকারের। ক্ষমতায় আসার পরই, যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যায় রামের জন্মস্থানে তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জমায়েতে অশান্তির আশঙ্কায় সংখ্যালঘুরা

এই কাজের ভার দেওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত পাঁচটি সংস্থার নাম প্রস্তাবিত হয়েছে। এই মুহূর্তে চলছে মাটি পরীক্ষা। তবে এই মূর্তি নির্মাণ করতে ঠিক কত টাকা খরচ হবে ও কোথায় নির্মাণ করা হবে তা স্পষ্ট করে জানায় নি যোগী সরকার।

The News বাংলা

পাশাপাশি প্রশ্ন উঠে গেল, রাম মন্দির নির্মাণের দাবির চাপ কমাতে ও অযোধ্যা-ইস্যুকে আরও স্পটলাইটে আনতেই কি যোগীর এমন কৌশল! যোগী সরকার কিন্তু সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিশ্বের সব থেকে উঁচু রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই।

Image Source: Google

লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে মোদী সরকারের উপর রীতিমত ক্ষুব্ধ হিন্দু সংগঠনগুলি। রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ইতিমধ্যেই রবিবার ধর্মসভা করতে, অযোধ্যায় জমায়েত হয়েছে শিবসেনা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও আরএসএস এর লক্ষ্য লক্ষ্য ভক্ত ও সমর্থক।

আরও পড়ুনঃ “নীচু জাতের মোদীর হিন্দু ধর্ম নিয়ে বলার অধিকার নেই” বিতর্কে কংগ্রেস নেতা

Image Source: Google

তবে রাজনৈতিক বিশেষঙ্গরা বলছেন, এই সকল অস্বস্তির নাগপাশ থেকে বেরোতেই বিজেপি আবার রাম নামে শান দিয়ে পুরোনো হাতিয়ারকে ইস্যু করেই ভোটে এগোতে চাইছে। সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্টের রায়ে রামমন্দির সংক্রান্ত মামলার রায় পুনরায় স্থগিত করা হয়েছে। অতএব, লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দির সংক্রান্ত কোনো আশা যে দেখানো সম্ভব হচ্ছেনা, সেটাও পরিষ্কার। আর তাই আপাতত রাম মূর্তির ঘোষণা।

]]>
রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ, লড়াই পিছিয়ে গেল https://thenewsbangla.com/ram-mandir-or-babri-masjid-the-fight-will-be-in-the-new-year/ Mon, 29 Oct 2018 06:52:44 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=1627 নিউ দিল্লি: রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ, অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির মালিকানা কার ? আসল লড়াই শুরুর আগেই সুপ্রিম কোর্ট পিছিয়ে দিল শুনানির দিন। সোমবার, দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মূল মামলার শুনানি শুরুর আগেই থামিয়ে দেওয়া হয়। মুল মামলা শুরু হতে পারে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। নতুন ডিভিশন বেঞ্চ নতুন বছরে ঠিক করবে কবে মুল মামলার শুনানি শুরু হবে।

রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ ? জানা যায়, মসজিদটি ১৫২৭ খ্রীষ্টাব্দে ভারতের প্রথম মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে নির্মিত হয় এবং তাঁর নাম অনুসারে নামাঙ্কিত হয়। মুঘল সম্রাট বাবর ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর ভারতের কিছু অংশ দখল করেন।

কিন্তু শাসন সংক্রান্ত সংগঠন গড়ে তোলার আগেই বাবর মারা যান। বাবরি মসজিদ বাবর নির্মাণ করেন নি। বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন বাবরের সঙ্গে আসা মীর বাকী নামে একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি। বাবরি মসজিদের মধ্যে প্রাপ্ত প্রস্তরফলক থেকে জানা যায়, মীর বাকী মসজিদটি স্খাপন করেন ৯৩৫ হিজরিতে, খ্রিষ্টাব্দের হিসাবে যা দাঁড়ায় ১৫২৭ ১৫২৮।

আরও পড়ুনঃ রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ, সুপ্রিম কোর্টে শুরু আসল লড়াই

অন্যদিকে হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্যাই ছিল রাজা রামের রাজত্বের রাজধানী। রাম কেবল রাজা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিষ্ণুর অবতার। রামের মৃত্যুর পর অযোধ্যায় স্খাপিত হয় রাম মন্দির। মীর বাকী এই রাম মন্দির ভেঙে সেখানে নির্মাণ করেন বাবরের নামে বাবরি মসজিদ। রামায়ণ ভারতের বিখ্যাত একটি কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থে বলা হয়েছে, অযোধ্যা রামের জন্মভূমি।

১৯৯২ সালে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের উদ্যোক্তারা, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু করে। যা পরে ১,৫০,০০০ জন করসেবক সম্মিলিত একটি- দাঙ্গার রূপ নেয় এবং মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ভূমিসাৎ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ সনাতন হিন্দু ধর্মকে ছোট করার চেষ্টা সফল হবে না

যার ফলে, ভারতের প্রধান শহরগুলোতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয় যা মুম্বাই ও দিল্লী শহরে প্রায় ২০০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। ভারতের অনেক রাজ্যে ধর্মীয় লড়াই শুরু হয়ে যায়।

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট বাবরি মসজিদ যে স্থানে ছিল সেই ভূমি সম্পর্কিত রায় দেয়।এলাহবাদ হাইকোর্টের তিন জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের রায়ে ২.৭৭ বা ১.১২ হেক্টর ভূমি সমান তিনভাগে ভাগ করার রায় প্রদান করেন।

Image Source: Google

সেই রায় অনুযায়ী, তিন ভাগের এক অংশ পাবে হিন্দু মহাসভা। রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য। দ্বিতীয় অংশ পাবে ইসলামিক সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, মসজিদ নির্মাণের জন্য এবং বাকি তৃতীয় অংশ পাবে নির্মোহী আখরা নামে একটি হিন্দু সংগঠন।

এই স্থানে রামমন্দির ধ্বংস বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল এ বিষয়ে তিনজন বিচারকের দুজন একমত হয়েছিলেন। তবে তিনজন বিচারকই এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান যে, পূর্বে বাবরি মসজিদের জায়গায় একটি সুপ্রাচীন হিন্দু মন্দির বিদ্যমান ছিল।

আদালতের তিন জন বিচারপতি, বিচারপতি এস আর আলম, বিচারপতি ভানওয়ার সিং এবং বিচারপতি খেমকারণের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের আদেশে আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়া ওই স্থান খনন করে একটি সুবৃহৎ হিন্দু ধর্মীয় স্থাপত্য বা মন্দিরের সন্ধান পায়।

Image Source: Google

এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যায় সব পক্ষই। সোমবার, দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার মূল শুনানি শুরু হবার আগেই থামিয়ে দেওয়া হল। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়া এই মামলার ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষেন কওল ও বিচারপতি কে এম জোসেফ।

মামলার গুরুত্ব বিচার করে প্রতিদিনই এই মামলার শুনানি হবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। আগামী লোকসভা ভোটের আগে, দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত এই মামলা নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে বিতর্ক চরমে উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ সিবিআই এর নিজেদের ঝামেলা বাংলায় স্বস্তিতে রাখবে তৃণমূলকে

তবে ইতিমধ্যেই গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর তাদের এক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি অশোক ভূষণ জানিয়েছিলেন, ‘এই আদালত বিবেচনা করে দেখেছে যে হিন্দুদের কাছে অযোধ্যার একটি বাড়তি গুরুত্ব আছে, যেখানে ভগবান রামের জন্মস্থান ছিল বলে সুপ্রাচীন প্রবাদ রয়েছে’।

আর এখানেই মামলা জেতার ব্যপারে আশাবাদী হিন্দু মহাসভা। তবে মসজিদ গড়ার ব্যপারেই রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট, বিশ্বাস মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের। তবে আদালত বিশেষজ্ঞরা মনে করছিলেন, ২০১০ এর এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখতে পারে দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালত। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আপাতত এই নিয়ে জটিলতা কিছুদিনের জন্য মুলতবি রইলো।

সোমবার সকাল থেকেই গোটা দেশের নজর ছিল দেশের শীর্ষ আদালতের দিকে। কি রায় দেবে দেশের সর্ব্বোচ্চ আদালত ? রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ ? নাকি ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে পাশাপাশি সহাবস্থান মন্দির আর মসজিদের ? তবে সেই লড়াই আদালতের নির্দেশে এখন পিছিয়ে গেল। নতুন বছরে শীর্ষ আদালতের নতুন ডিভিশন বেঞ্চের নতুন বিচারপতিরা এই মামলা শুনবেন। ততদিন মুলতবি রইল মন্দির বনাম মসজিদের লড়াই।

]]>