Rakesh Asthana – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Fri, 11 Jan 2019 11:20:30 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Rakesh Asthana – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 ঘুষ নেবার দায়ে সিবিআই হাতে গ্রেফতার হবেন সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর https://thenewsbangla.com/rakesh-asthana-special-director-of-cbi-faces-arrest-to-be-probed-for-bribe/ Fri, 11 Jan 2019 11:14:43 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=5479 The News বাংলা: সিবিআই গ্রেফতার করবে সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডাইরেক্টরকে। ঘুষ কান্ডে সিবিআই নাম্বার ২ রাকেশ অস্থানাকে জেরা করে তদন্ত করার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বহাল থাকল এফএইআর ও। এর ফলে রাকেশ আস্থানাকে গ্রেফতার করতে আর বাধা রইল না সিবিআই এর। আদালতের এই রায়ে মানুষের কাছে সিবিআই এর মান সম্মান, ভরসা আরও তলানিতে।

আরও পড়ুনঃ নরেন্দ্র মোদী সরকারের ইচ্ছে বহাল, ফের অপসারিত সিবিআই প্রধান

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ কাণ্ডের কোন ভিত্তি নেই, জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট এ যান সিবিআই স্পেশ্যাল ডাইরেক্টর রাকেশ অস্থানা। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা এফআইআর বাতিল করার আর্জিও জানানো হয় আদালতে।

ঘুষ নেবার দায়ে সিবিআই হাতে গ্রেফতার হবেন সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর/The News বাংলা
ঘুষ নেবার দায়ে সিবিআই হাতে গ্রেফতার হবেন সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর/The News বাংলা

এদিন দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরি সেই আবেদন খারিজ করে ১০ সপ্তাহের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ কাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন। বহাল রাখা হয়েছে এফআইআর ও। এর ফলে ঘুষ কান্ডে রাকেশ আস্থানাকে গ্রেফতার করতেই পারে সিবিআই।

আরও পড়ুনঃ

ভারতের কৃষকের মেয়ে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘ভাবনার বিপ্লব’ ভাবনা কস্তুরীর হাত ধরে

ডাইরেক্টর অলোক বর্মার পর, সিবিআই-এর দ্বিতীয় শীর্ষ কর্তা রাকেশ আস্থানার নাম আগেই জড়িয়েছে ঘুষ কেলেঙ্কারিতে। আস্থানার অধীনে থাকা তদন্তকারী ডেপুটি এসপি দেবেন্দ্র কুমারকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। রাকেশ আস্থানার কাছ থেকে তাঁর হেফাজতে থাকা মোবাইল ফোন এবং মেসেজ সংরক্ষণের ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি আগেই আদায় করে নেয় আদালত।

দুর্নীতি কান্ডে সিবিআই-এর এফআইআরে নাম রয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, র-এর কর্তা সামন্ত কুমার গোয়েলেরও। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। মঈন কুরেশি দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত বিশেষ তদন্ত দলের দায়িত্বে ছিলেন রাকেশ আস্থানা। সেই তদন্তের সময়েই এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আস্থানা ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

ঘুষ নেবার দায়ে সিবিআই হাতে গ্রেফতার হবেন সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর/The News বাংলা
ঘুষ নেবার দায়ে সিবিআই হাতে গ্রেফতার হবেন সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর/The News বাংলা

রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিবিআই তদন্তাধীন একটি মামলা থেকে সানা সতীশের নাম বাদ দেওয়ার বিনিময়ে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিনি। এবং সানা সতীশ জানিয়েছেন, টাকা নেওয়ার পরেও মামলা থেকে তাঁর নাম সরানো হয়নি। এ ছাড়া মইন কুরেশি দুর্নীতি কাণ্ডেও বিশেষ তদন্তকারী দলের দায়িত্বে থাকা রাকেশ আস্থানা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ

অশ্লীল গালাগাল দেবার জন্যই যুবককে নিজেদের ব্যক্তিগত গ্রুপে যোগ করেন নন্দিনী

প্রকাশ্যে গ্রুপ চ্যাট রেকর্ডিং, জেলাশাসকের স্ত্রীর ভাষাও সমান অশ্লীল

গত অক্টোবরেই সিবিআই এই দুর্নীতিতে এক নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে রাকেশ আস্থানার নাম ঘোষণা করে। সানা সতীশ স্বীকার করেছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে একাধিক খেপে তিন কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল আস্থানাকে। মিথ্যে তথ্য প্রমাণ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন রাকেশ আস্থানার অধীনে থাকা সিবিআই আধিকারিক দেবেন্দ্র কুমার।

ঘুষ নেবার দায়ে সিবিআই হাতে গ্রেফতার হবেন সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর/The News বাংলা
ঘুষ নেবার দায়ে সিবিআই হাতে গ্রেফতার হবেন সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর/The News বাংলা

নিজের এবং সহকর্মী দেবেন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ ও তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন রাকেশ আস্থানা। সেই মামলাতেই এফআইআর রেখেই তদন্ত শেষ করার রায় দিল দিল্লি আদালত।

আরও পড়ুনঃ

একদিনে বহিষ্কৃত দুই তৃণমূল সাংসদ, দিদিকে ছেড়ে মোদীর দলে আর কে কে

মমতার বাছাইয়ে কারা হবেন বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী

সিবিআইকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার অস্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করে সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোনিয়া পুত্র টুইট করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চোখের মণি, সিবিআই-এর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিককে এবার ঘুষ নিতেও দেখা গেল। এই প্রধানমন্ত্রীর শাসনকালে সিবিআই একটি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অস্ত্র ছাড়া আর কিছুই না, এ প্রতিষ্ঠান এখন নিজেই নিজের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে’।

প্রসঙ্গত, রাকেশ আস্থানা ১৯৮৪ সালের গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। ২০০২ এর গোধরা কাণ্ডে তদন্ত চালানোর লক্ষ্যে বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি আছে তাঁর। তবে দিল্লি আদালতের রায়ে এবার চরম সমস্যায় একসময়ের সিবিআই নাম্বার ২ রাকেশ আস্থানা।

আরও পড়ুনঃ

সুপ্রিম রথ জেতার অপেক্ষায় কলকাতায় নরেন্দ্র মোদী, শিলিগুড়িতে অমিত শাহ

ঐতিহাসিক কুম্ভমেলা সম্পর্কে একনজরে সব কিছু জেনে নিন

কুম্ভমেলায় বিশ্বরেকর্ড গড়ল যোগীর রাজ্য, তৈরি হল আস্ত একটা শহর

মোদীর প্রকল্পে আর টাকা দেবেন না মমতা, কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
দুই কর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে সিবিআইয়ে হাল ফেরানোর চেষ্টা মোদীর https://thenewsbangla.com/narendra-modi-attempt-to-reinstate-cbi-to-send-two-officers-into-holiday/ Wed, 24 Oct 2018 10:13:29 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=1407 নিউ দিল্লি: সিবিআই-য়ের মধ্যে ঝামেলা মেটাতে এবার হস্তক্ষেপ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল সিবিআই-এর ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে। একইসঙ্গে ছুটিতে পাঠানো হল স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকেও। সরকারি তরফে নির্দেশিকা দিয়ে এম নাগেশ্বর রাওকে অন্তবর্তীকালীন ডিরেক্টর নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যে কাজে যোগও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

আইপিএস নাগেশ্বর রাও সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজও করেছেন। সরকারি নির্দেশ নামায় বলা হয়েছে, তিনি সিবিআই-এর ডিরেক্টরের কাজ সামলাবেন। একইসঙ্গে ২ জয়েন্ট ডিরেক্টরকেও সরানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং রাকেশ আস্থানার গণ্ডগোল গড়ায় দিল্লি হাইকোর্টে। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট সিবিআইকে রাকেশ আস্থানার বিষয়ে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত স্থিতবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। শুনানি চলাকালীন সিবিআই-এর তরফে তোলাবাজি ও জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করা হয় রাকেশ আস্থানা এবং দেবেন্দ্র সিং-য়ের বিরুদ্ধে। দেবেন্দ্র সিংকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ আনেন অলোক বর্মা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিবিআই-এর সদর দফতরের কয়েকটি তলা সিল করে দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে তল্লাশি। দফতরে কাউকে ঢুকতে কিংবা বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না।

বর্তমানে, ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই কার্যত এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যা নরেন্দ্র মোদীর এনডিএ সরকারের জন্য বেশ বিব্রতকর। সংস্থার শীর্ষ দুই কর্মকর্তার মধ্যে প্রকাশ্য লড়াই শুরু হয়েছে। সিবিআইয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধেই ঘুষ গ্রহণের মামলা করেছে সিবিআই। অর্থাৎ সিবিআই-য়ের বিরুদ্ধেই ঘুষ নেবার অভিযোগ সিবিআই-য়ের।

ওদিকে রাকেশ আস্থানাও অভিযোগ তুলেছেন সিবিআই ডাইরেক্টর অলোক বর্মার বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করছেন অলোক বর্মা। সরকারের কাছে তিনি লিখিত বিবৃতিও দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যে এফআইআর করা হয়েছে। একটি ঘুষ গ্রহণ মামলায় সংস্থাটি স্পেশাল ডাইরেক্টর রাকেশ আস্থানা’র নাম উল্লেখ করেছে।

সিবিআইয়ের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার তদন্ত করছে। আবার এ টিমেরও প্রধান তিনি। অভিযোগ আছে, মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির কাছে ঘুষ দাবি করেছেন তিনি ও অন্যরা। শুধু তা-ই নয়। তাদের কাছ থেকে তারা ঘুষ নিয়েছেনও।

তবে এই তদন্তের আগে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)কে এ বিষয়ে অবহিত করেছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। তারা জানিয়ে দিয়েছে যে, আস্থানার বিরুদ্ধে ৬টি দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে তারা। গোয়েন্দা এজেন্সি আরো দাবি করেছে, সিবিআই ডাইরেক্টর অলোক বর্মার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছিলেন আস্থানা।

একই সঙ্গে তিনি সিভিসি’তে অলোক বর্মার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ পাঠিয়ে কর্মকর্তাদের ভীতি প্রদর্শন করছিলেন, বলেও অভিযোগ আনা হয়। দুবাইয়ের বাসিন্দা ‘ঘুষের’ মধ্যস্থতাকারী মনোজ প্রসাদকে গ্রেপ্তারের পর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বলেই জানিয়েছে সিবিআই।

২০১৪ সালে আয়কর বিভাগ, মইন কুরেশির বাড়ি ও দফতর ঘেরাও করে তল্লাশি করে। তিনি সিবিআইয়ের প্রাক্তন পরিচালক এ পি সিংয়ের কাছে যেসব এসএমএস পাঠিয়েছিলেন তাকে কেন্দ্র করে এ পি সিং ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিসেস কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করেন।

২০১৭ সালে এই নিয়ে একটি মামলা করে সিবিআই। রাকেশ আস্থানা যতগুলো মামলা নিজের হাতে নিয়েছিলেন। তার একটি এটি। এ মামলার অভিযোগকারী সানা সতীশ ৪ঠা অক্টোবর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রাকেশ আস্থানার নাম প্রকাশ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, আরও অধিক অর্থ দেয়ার জন্য তাকে হয়রান করছিলেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। সতীশ আদালতে বলেন, তিনি কীভাবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১০ মাস সময়ে ৩ কোটি টাকা দেন সিবিআইয়ের মামলা থেকে দূরে থাকার জন্য।

দুই সিবিআই কর্তার ঝগড়া ও মামলায় গোটা দেশে মুখ পুড়েছে সিবিআই-য়ের। দেশের অন্যতম প্রধান গোয়েন্দা দফতর আজ সাধারণ মানুষের হাসির খোরাক। দুজনকেই সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে আপাততঃ সেই ঝগড়া চাপা দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এর মধ্যেই সিবিআই মানুষের যে বিশ্বাস হারিয়েছে তা কি ফিরে আসবে ? প্রশ্ন কিন্তু উঠেছে।

]]>