শিখদের যারা খুন করেছিল তারা এখনও কংগ্রেসেই আছে; লোকসভায় এদিন কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শিখ নিধনে অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতারা; এখনও দলেই আছেন বলে সমালোচনা করেন মোদী। এরপরেই শুরু হয়ে যায়; কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে জোর বাক বিতণ্ডা।
আরও পড়ুনঃ ইভিএম থেকে ব্যালটে ফিরে পিছবে না ভারত, লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী
মোদীর দাবী; কংগ্রেসের উপর ক্ষোভ থেকেই ২০১৪ সালে জনগন বেছে নেন বিজেপি সরকারকে। কংগ্রেসের উদ্ধত আচারণই; মোদী সরকারকে জয়ী হতে সাহায্য করেছে। জনগন কংগ্রেস সরকারকে শাস্তি দিয়েছে তাঁদের সরকার হিসাবে বেছে নিয়ে। গত পাঁচ বছরের কাজই তাঁদের ফের ক্ষমতায় এনেছে।
প্রথমবারের থেকে আরও বেশি সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার। ২০১৯-এ বিজেপি একাই ৩০০-র বেশি আশন পেয়েছে লোকসভা ভোটে। তবে প্রথম পাঁচ বছর খুব সহজ ছিল না বলে জানান নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ অসমে আবার এনআরসি-এর খসড়া থেকে বাদ লক্ষাধিক মানুষ
প্রতি ক্ষেত্রেই বিরোধিতা করা হয়েছিল মোদী সরকারের। রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় পরিস্থিতি অনেক কঠিন হয়েছিল সরকারের জন্য। সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করতে চেয়েও পিছিয়ে পরতে হয়েছিল বিরোধিতার কারনে।
আরও পড়ুনঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাশ্মীর সফর, সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে নিকেশ দুই জঙ্গি
বিরোধী দলগুলোর সরকার-বিরোধী প্রচারের জন্য মানুষ ভুল খবর পায়। এতে দেশ আরও পিছিয়ে পরে। প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন; “কংগ্রেস চাইছে পুরনো ভারতে ফিরে যেতে”। রাহুল গান্ধীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মোদী বলেন; “এত উপরে আপনারা উঠে গেছেন যে জমি দেখতে পাননা। শিকর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন আপনারা”।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে; অপারেশন ব্লু স্টারের কথা। মোদী বলেন; “যারা শিখদের খুন করেছিল; তারা এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসেই আছে”। ১৯৮৪ সালের ৪ঠা জুন জঙ্গিবাদী ধর্মীয় নেতাদের অপসরনের জন্য; পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে ইন্দিরা সরকার আক্রমণের নির্দেশ দেন ভারতীয় সেনাকে। এমনকি ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরও; শিখ নিধনে মত্ত ছিলেন কংগ্রেস নেতারা।
]]>তৃনমূল-কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানান তিনি। কিন্তু মমতা মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন তিনি ওই বৈঠকে যাচ্ছেন না। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী নিজেই।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি নারীরা বিয়েতে বিক্রি হচ্ছে চীনে, সহ্য করছে ধর্ষণ
মমতা জানিয়েছেন; বৈঠকের আলোচ্যসূচি খতিয়ে দেখার পরই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে এত অল্প সময়ের মধ্যে মতামত দেওয়া সম্ভব না; বলে জানিয়েছেন মাননীয়া। বিষয়টি নিয়ে সংবিধান ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সর্বোপরি; দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে শ্বেতপত্র প্রকাশের আবেদন করেন। তাতে মতামত দেওয়ার জন্য; সব দলকে যথেষ্ট সময় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মানুষের ক্ষতি করে, হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা নয় জানাল সুপ্রিম কোর্ট
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে; প্রধানমন্ত্রী ওইদিন যে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে চান; তার মধ্যে অন্যতম ‘এক দেশ এক নির্বাচন’। মোদী তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম থেকেই; একসঙ্গে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন করতে আগ্রহী। এতে সময় ও খরচ দুইই বাঁচে। আবার উন্নয়নের কাজও কম বাধাপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলা, ভারতীয় সেনার হাতে নিকেশ তিন জঙ্গি
বিরোধী দলগুলোর মতামতের জন্য; এই বৈঠক ডেকেছেন মোদী। এছাড়াও সরকার আগামী দিনে কী বিল আনতে চলেছে; কোন বিলে কার আপত্তি; তা প্রধানমন্ত্রী আগে থেকে জেনে নিতে চাইছেন। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়; নীতি আয়োগ বৈঠকেও। সেখানেও যাননি তিনি। বলেছিলেন, “নীতি আয়োগ কোনও কাজের কাজ করে না। যোজনা কমিশন তবু কিছু কাজ করত”।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা কান্ডে জঙ্গিদের ব্যবহৃত গাড়ির মালিককে খতম করল ভারতীয় সেনা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে; তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রকে কোনরকম সাহায্য করবে না বলেই এই সিদ্ধান্ত। অবশ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন; দিল্লি যাওয়ার মুখ নেই মমতার। মোদীকে ‘এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী’ বলেছিলেন তিনি। তাই তাঁর ডাকা মিটিং-এ এখন; যেতে হয়ত লজ্জা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
]]>