President of India – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Mon, 27 May 2019 09:17:39 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg President of India – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 এপিজে আবদুল কালাম, রাষ্ট্রপতি ভবনে বন্ধ করেছিলেন ইফতার পার্টি https://thenewsbangla.com/apj-abdul-kalam-former-president-of-india-closed-ramadan-iftar-party/ Mon, 27 May 2019 08:34:49 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13373 রাষ্ট্রপতি ভবনে ইফতার পার্টির রেওয়াজ বহুকাল ধরে চলে এলেও; ছন্দপতন ঘটিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম। তিনি যদিও ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন; কিন্তু রাষ্ট্রপতি ভবন তার আমলে ছিল ইফতার পার্টি মুক্ত।

আবদুল কালামের প্রাক্তন সচিব; অবসরপ্রাপ্ত আইএএস পিএম নায়ারের একটি লেখা থেকে জানা যায় এই সিদ্ধান্তের পিছনের আসল কারণটি। ‘দি কালাম এফেক্ট; মাই ইয়ার্স উইথ দি প্রেসিডেন্ট’ বইটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০০২ সালে; সেখনেই আছে এই ঘটনাটি।

সেখানে পিএম নায়ার বলেছিলেন; ২০০২ সালে ডক্টর আবদুল কালাম যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন; তখন রমজান ছিল জুলাই-আগস্ট মাসে। রাষ্ট্রপতির জন্যে একটা নিয়মিত রেওয়াজ ছিল যে; তিনি রমজানে ইফতার পার্টির আয়োজন করবেন।

সে অনুযায়ী এ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ার পর ডক্টর কালাম তার সচিব পিএম নায়ারকে প্রশ্ন করেন; কেন তিনি ইফতার পার্টির আয়োজন করবেন? কারণ এই পার্টিতে যে সব অতিথিরা আসবেন; তারা তো সবসময় ভালো খাবার খেয়েই অভ্যস্ত।

রাষ্ট্রপতি এও জানতে চান; একটি ইফতার পার্টির আয়োজনে কত খরচ পড়ে। সচিবের তরফ থেকে জানানো হয়; প্রায় ২২ লাখ টাকা খরচ করা হয় এই ইফতার পার্টিতে। ডক্টর কালাম তখন নির্দেশ দেন; ঐ টাকা দিয়ে খাবার; পোশাক ও কম্বল কিনে কয়েকটি অনাথ আশ্রমে দান করতে।

ডক্টর কালামের নির্দেশে অনাথ আশ্রম বাছাইয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মকর্তাদের একটি টিম গঠন করা হয়; এরপর ডক্টর কালাম পিএম নায়ারকে ডেকে এক লাখ টাকার চেক দেন এবং জানান; সরকারী সাহায্যের সাথে তিনি তার ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকে এই অর্থ দান করছেন।

পিএম নায়ার তখনই এই খবর সবাইকে জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আবদুল কালাম বলেন; এ তথ্য কারো কাছে প্রকাশ করা যাবে না। নায়ার তাঁর বইয়েতে লেখেন তিনি সবাইকে জানাতে চেয়েছিলেন। কারণ; মানুষের জানা উচিত এমন একজন মানুষ আছেন; তার যা অর্থ খরচ করা উচিত; তিনি সেটা শুধু দানই করেননি; তিনি সেই সঙ্গে নিজের অর্থও বিলিয়ে দিয়েছেন।

পিএম নায়ার এমন অনেক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন তাঁর বইতে। ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম যখনই বিদেশ যেতেন; তখন তিনি দামি উপহার পেতেন। এই উপহার প্রত্যাখ্যান করা হলে তা হত কোনো জাতির প্রতি অসম্মান করা এবং তা দেশের পক্ষে বিব্রতকর।

সুতরাং তিনি বিনা বাক্য ব্যয়ে এসব উপহার নিতেন। কিন্তু ফিরে আসার পর তাঁর নির্দেশ থাকত; সব উপহারসামগ্রীর ছবি তুলতে হবে; ক্যাটালগ করতে হবে; এরপর তা রাষ্ট্রপতি ভবনের সংগ্রহশালায় রেখে দিতে হবে।

পিএম নায়ার জানান; আবদুল কালাম যখন রাষ্ট্রপতি ভবন ত্যাগ করেন; তখন তাকে কোন জিনিস তো দূরে থাক; একটি পেনসিলও নিয়ে যেতে দেখা যায়নি। নায়ার জানান; ডক্টর কালাম তার আত্মীয়দের একবার দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাদের নগর পরিদর্শন করাতে তিনি একটি বাস ভাড়া করেছিলেন; এবং সেই টাকা তিনি নিজে শোধ করেন।

কোনো সরকারি গাড়ি তার আত্মীয়দের জন্যে ব্যবহৃত হয়নি। ডক্টর কালামের নির্দেশে তাঁর আত্মীয়দের থাকা-খাওয়ার খরচ হিসাব করা হয়েছিল; বিল দাঁড়াল দুই লাখ টাকা; যা তিনি নিজে পরিশোধ করেছিলেন। দেশের ইতিহাসে এটা আর কেউ করেননি।

]]>
অভিনন্দনের ছবি ব্যবহার করে বন্ধ হোক ভোট প্রচার দাবি সেনাকর্তাদের https://thenewsbangla.com/over-150-veterans-write-to-president-over-politicisation-of-armed-forces/ Fri, 12 Apr 2019 07:26:51 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=10675 সেনাবাহিনীর অরাজনৈতিক ভাবমূর্তি বজায় রাখার দাবিতে প্রাক্তন সেনা কর্তারা চিঠি দিয়ে আবেদন করলেন রাষ্ট্রপতির কাছে। ৮ প্রাক্তন সেনাপ্রধানের উদ্যোগে ১৫৬ জন বিশিষ্ট সেনা কর্তাদের সই করা চিঠি দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। তবে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এখনও কোন চিঠি তারা পান নি। অথচ সংবাদমাধ্যমে সেই চিঠি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাহলে কি এটা ফেক চিঠি? উঠেছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুনঃ প্রতিশ্রুতি মতো ১০০ ভারতীয় বন্দীকে মুক্তি দিল পাকিস্তান

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর পরে উইং কমান্ডার অভিনন্দন এর ছবি যেভাবে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল ব্যবহার করছে তাতে সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে। সেনার কাজ নিয়ে রাজনীতি করা যায় না, এই মর্মে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধানরা। তবে বিবৃতিতে সই করা ১৫৬ জন সেনাকর্তার অনেকেই বলেছেন তাঁরা এই নিয়ে কিছুই জানেন না।

আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয় দফা ভোটে আরও ২৫ কোম্পানি সশস্ত্র বাহিনী আসছে বাংলায়

এটি একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাক্তন সেনা কর্তাদের তরফ থেকে। চলতি লোকসভা নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর “রাজনৈতিকীকরণ” এর বিরুদ্ধে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাবাহিনী কর্তা, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রধানসহ ১৫০ জনেরও বেশি সেনা কর্তা ও সদস্য সাক্ষর করেছেন এই আবেদন পত্রে।

আরও পড়ুনঃ সেনার পোশাকে বুথে রাজ্য পুলিশ কর্মী, গাদা বন্দুক নিয়েই ধরা পরে গেলেন

‘ভেটেরিনার্স গ্রুপ অফ আওর সুপ্রীম কমান্ডার’, শীর্ষক আবেদনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘মোদিজী কি সেনা’ মন্তব্যকে তীব্র প্রতিবাদ জানায় প্রাক্তন সেনা সদস্যরা। তাদের মতে এই ধরনের কথা সেনার পক্ষে অত্যন্ত অপমান ও অসম্মানজনক। এই ধরনের কথা পরবর্তীকালে যেন কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি বা রাজনৈতিক দল ব্যবহার না করে সে রকম আর্জি এই চিঠিতে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন

নজিরবিহীন চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে বলা হয়েছে, “আমরা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসাবে, কিছু কিছু ঘটনা যা আমাদের উদ্বেগের কারন হয়েছে, বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট বিপদ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে”। অভিনন্দন বর্তমান যিনি এই দেশের প্রত্যকের গর্ব, বীরত্বের প্রতীক তাকে রাজনীতির মঞ্চে কোন দলের ব্যবহার করা উচিত না।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস

আবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে হামলা চালানোর মতো সামরিক অভিযানকে, রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের প্রচারে ব্যাবহার করা খুবই অস্বাভাবিক এবং পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বিষয়, এমনকি সেনাবাহিনীকে “মোদি জি কি সেনা” বলে দাবি করা বা প্রচারাভিযানের সময় সামরিক বাহিনী ও ভারতীয় বিমান বাহিনী উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান এর ছবি উল্লেখ করা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে

চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন তিন প্রাক্তন সেনাপ্রধান, সুনিথ ফ্রান্সিস রড্রিগুজ, শঙ্কর রায়চৌধুরী, দীপক কাপুর। চার প্রাক্তন নৌবাহিনীর প্রধান, লক্ষ্মীনারায়ন রামদাস, বিষ্ণু ভাগওয়াত, অরুণ প্রকাশ, সুরেশ মেহতা এবং প্রাক্তন বিমানবাহিনী প্রধান এনসি সুরি। এছাড়াও আবেদনে সই করেছেন ১৫০ জন প্রাক্তন সেনা কর্তা।

আরও পড়ুনঃ জঙ্গি ঘাঁটিতে ফের হামলার পরিকল্পনা করছে ভারত, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
কেন্দ্রীয় সরকারের তিন তালাক অর্ডিন্যান্সে সই রাষ্ট্রপতির https://thenewsbangla.com/president-ram-nath-kovind-approves-triple-talaq-ordinance-by-modi-govt/ Thu, 21 Feb 2019 15:10:03 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=7097 রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এদিন অনুমোদন দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের আনা তিন তালাক অর্ডিন্যান্সে। যার ফলে এবার থেকে তিন তালাক বিলে মুসলমান পুরুষরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেই বিবেচিত হবেন। এদিন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের ফলে এক বছরের মধ্যে তৃতীয়বার তিন তালাক বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

তাৎক্ষণিক তিন তালাক বন্ধে ফের অর্ডিন্যান্স নিয়ে এসেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অর্ডিন্যান্সে তাৎক্ষণিক তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে আনা এই তিন তালাক অর্ডিন্যান্সে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

আরও পড়ুনঃ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদ বাড়িয়ে চাকুরিজীবীদের মুখে হাসি ফোটালেন মোদী

তিন তালাক অর্ডিন্যান্সকে আইনের রূপ দিতে সংসদে বিল এনেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত ২৭ ডিসেম্বর এই বিল পাশও হয়ে যায় লোকসভায়। কিন্তু রাজ্যসভায় বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই রাজ্যসভায় বারবার আটকে যাচ্ছে এই বিল। এদিকে বিরোধী দলগুলি এই বিলের বিরোধীতায় সরব। বর্তমানে বিলটি রাজ্যসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

এদিকে, আগামী ৩ জুন বর্তমান লোকসভার মেয়াদ ফুরোচ্ছে। ফলে বিলটির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। যে কারণে তিনতালাক ইস্যুতে পুনরায় অর্ডিন্যান্স জারি করতে চলেছে মোদী সরকার।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান চিনকে ভয় পাইয়ে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত হল তেজস

দ্য মুসলিম উইমেন বিল (প্রোটেকশন অব রাইটস অন ম্যারেজ), রাজ্যসভায় পাশ হওয়া এখনও বাকী রয়েছে। লোকসভায় তা পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। শেষ বাজেট অধিবেশনে তা পাশ করানোর জন্য উঠলেও রাজ্যসভায় বিরোধীদের চাপে তা শেষ পর্যন্ত সরকার পাশ করাতে পারেনি।

আরও পড়ুনঃ চিরশত্রুকে শিক্ষা দিতে ভারত পাক যুদ্ধ চান বাবা রামদেব

সংসদে আলোচনা না হওয়ায় আগামী ৩ জুন বিলের মেয়াদ ফুরোবে। তার আগে নতুন লোকসভা গঠিত হবে না। ফলে বিলটি অকার্যকর হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এর আগে গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অর্ডিন্যান্সে সম্মতি দিয়েছিল।
বিরোধীরা এই বিলের বারবার বিরোধিতা করে এসেছে। মুসলমান পুরুষদের সাজা দিতেই এই বিল তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। এদিকে সরকারের দাবি, মুসলমান মহিলাদের সুরক্ষায় এই বিল আনা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি

তবে অর্ডিন্যান্স জারি হলেও সেটাকে সংসদে অনুমোদন করাতেই হবে। তিন তালাক অর্ডিন্যান্স জারি করে বিলটি বাঁচিয়ে রাখল এটাই বলা যায়। তবে ফের বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে কেন্দ্র সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, “লোকসভা ভোটে মুসলিম মহিলাদের ভোট টানতেই রাজ্যসভায় পাশ না হওয়ার পরেও অর্ডিন্যান্স জারি করেছে মোদী সরকার। আর রাষ্ট্রপতিও সই করে দিলেন অর্ডিন্যান্সে। সংসদকে এড়িয়ে এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ঘটনা”।

“তিন তালাক বিল পাশ করতে দিচ্ছে না বিরোধীরা, এই জন্যই সরকারের আনা অর্ডিন্যান্সে সই রাষ্ট্রপতির”, দাবি বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপির কাছে তিন তালাক-ই ২০১৯ লোকসভা ভোটের অন্যতম বড় ইস্যু, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরোধীরাও এটা নিয়ে বিজেপিকে ইস্যু করতে না দিতে সমান সচেষ্ট। তাই এই নিয়ে ভোটের বাজার যে সরগরম হবে সেটা বলাই যায়।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায় https://thenewsbangla.com/pranab-mukherjee-the-former-president-of-india-will-be-conferred-with-bharat-ratna/ Fri, 25 Jan 2019 15:43:46 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=6014 দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ পাচ্ছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি মরণোত্তর এই সম্মান পাচ্ছেন সমাজসেবী নানাজি দেশমুখ ও সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে এই খবর জানা গেছে। শুক্রবার রাতেই এই ঘোষণা করা হল। নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকার বাঙালি রাজনীতিবিদ ও দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর নামই এবার ভারতরত্ন-র জন্য বেছে নিয়েছেন।

ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই খবর জানিয়ে টুইট করেছেন। মোদী লিখেছেন, “প্রণবদা আমাদের আমলের সেরা রাষ্ট্রনায়ক। তিনি নিঃস্বার্থভাবে ও অক্লান্তভাবে দেশের সেবা করেছেন। দেশের বৃদ্ধিতে তিনি এক উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানকে শ্রদ্ধা জানাতেই হয়। এমন একজন মানুষ ভারতরত্ন পাচ্ছেন জেনে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত”। প্রণব মুখোপাধ্যায় এর ভারতরত্ন পাবার খবরে খুশির ছোঁয়া কংগ্রেস শিবিরেও।

আরও পড়ুনঃ

কালামের নামে ছাত্রদের তৈরি হালকা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে নজির ভারতের

কলেজে অধ্যাপক পিটিয়ে এগিয়ে বাংলার মুখে ফের চুনকালি দিল তৃণমূল

প্রথম রাষ্ট্রপতি হবার আগে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রায় পাঁচ দশক ভারতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি প্রথমবার কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিস্বরূপ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৫, ১৯৮১, ১৯৯৩ ও ১৯৯৯ সালেও তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন উপমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রথম ক্যাবিনেটে যোগদান করেন।

১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে ইউরোমানি পত্রিকার একটি সমীক্ষায় তাঁকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাঁচ অর্থমন্ত্রীর মধ্যে অন্যতমের শিরোপা দেওয়া হয়। কিছুদিনের জন্য তাঁকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই সময় তিনি রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস নামে নিজস্ব একটি দলও গঠন করেছিলেন। তবে ১৯৮৯ সালে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে মিটমাট করে নেওয়ার পর এই দল নিয়ে তিনি আবার কংগ্রেসে যোগ দেন।

আরও পড়ুনঃ

পিটিটিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের

নেতাদের পর সিনেমার প্রয়োজক, চিটফান্ড দুর্নীতিতে গ্রেফতার শ্রীকান্ত মোহতা

পরবর্তীকালে পিভি নরসিমা রাও তাঁকে পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নিযুক্ত করলে তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবনের পুনরুজ্জীবন ঘটে। রাওয়ের মন্ত্রিসভায় পরে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীরূপেও যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি রাওয়ের মন্ত্রিসভায় বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ সাংসদ পুরস্কারে ভূষিত হন।

প্রণব মুখোপাধ্যায় জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ শাখারও সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট কেন্দ্রে সরকার গঠন করে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ রাজ্যসভার সদস্য হওয়ায়, প্রণব মুখোপাধ্যায় লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতার দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য, এই বছরই তিনি প্রথমবার জঙ্গীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হন।

প্রণব মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে প্রতিরক্ষা, অর্থ, বিদেশ, রাজস্ব, জাহাজ-চলাচল, পরিবহন, যোগাযোগ এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের মতো একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব গ্রহণের বিরল কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি সারা দেশের কংগ্রেস সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে গঠিত যথাক্রমে কংগ্রেস সংসদীয় দল ও কংগ্রেস বিধানসভা দলেরও প্রধান ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মা দুর্গার সাক্ষাৎ অবতার, পোস্টার কংগ্রেসের

জন্মদিনে নেতাজি সুভাষের মৃত্যুদিন নিয়ে ছেলেখেলা রাহুলের কংগ্রেসের

পঞ্চদশ লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বাইপাস সার্জারির সময় তদনীন্তন বিদেশমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় রাজনীতি বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্যাবিনেট পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।

মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় সরকারে প্রণব মুখোপাধ্যায় পুনরায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে তিনি এই মন্ত্রকেরই দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই তিনি সরকারের বার্ষিক বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে তিনি কয়েকটি কর সংস্কারের প্রস্তাব রেখেছিলেন। যেমন, ‘অস্বস্তিকর’ ফ্রিঞ্জ বেনেফিট ট্যাক্স ও কমোডিটিজ ট্র্যানজাকশান ট্যাক্সের অবলোপন ইত্যাদি।

আরও পড়ুনঃ

মোদীর মাস্টারস্ট্রোকে দেশ পেতে পারে প্রথম মহিলা বাঙালি সিবিআই প্রধান

ব্রিগেড থেকে ফিরেই ভোলবদল, মমতা নয় রাহুলকেই প্রধানমন্ত্রী চাইলেন নেতারা

এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে, অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নামে একটি কর চালু করবে সরকার। তখন এই করের কাঠামোটির প্রশংসা করেন বিভিন্ন কর্পোরেট কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদগণ। এছাড়াও তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পে অর্থবরাদ্দ করেন ওই বাজেটেই।

এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ আইন, শিশুকন্যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এছাড়াও অর্থবরাদ্দ করেন জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুদয়ন প্রকল্প, এবং জওহরলাল নেহেরু জাতীয় নগরোন্নয়ন মিশনের মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতেও।

২০১২ সালে, তৎকালীন এনডিএ প্রার্থী ও লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মেঘালয়ের ভূমিপুত্র পিএন সাংমাকে ৭১ শতাংশের বেশি ভোটে হারিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে ইউপিএ প্রাথী প্রণব মুখার্জি নির্বাচিত হন। তিনিই হন প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ

রাজ্যের হাতে টাকা নেই বাজারে ধার, তারপরেও বিধায়কদের ভাতা বাড়ছে

পাহাড়ে মোর্চা বিজেপির সঙ্গেই, গোপন আস্তানা থেকে বার্তা বিমল গুরুংয়ের

প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কীর্ণাহার শহরের নিকটস্থ মিরাটি গ্রামে। তাঁর পিতার নাম কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও মাতার নাম রাজলক্ষ্মী দেবী। বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী কামদাকিঙ্কর ১৯২০ সাল থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ব্রিটিশ শাসনকালে তিনি দশ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।

পরে কামদাকিঙ্কর অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদের সদস্য (১৯৫২-৬৪) হন। তিনি বীরভূম জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদও অলংকৃত করেন। বাবার দেখানো পথ ধরেই জাতীয় কংগ্রেসের নেতা হয়ে দেশসেবার কাজে নিজেকে সঁপে দেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। ২০১২ তে হন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>