People of India – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Tue, 05 Mar 2019 12:53:08 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg People of India – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 ভোটের আগে ভারতবাসীকে নতুন উপহার মোদীর https://thenewsbangla.com/narendra-modis-digital-gift-to-the-people-of-india-before-elections/ Tue, 05 Mar 2019 12:22:06 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=7550 দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটা নতুন প্রকল্প চালু করলেন। এই নতুন প্রকল্পের নাম ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান কার্ড’। এই কার্ড সারা ভারতবর্ষের যেকোন যানবাহনের ভাড়া দিতে ব্যবহার করা যাবে। ভাড়া দেওয়া ছাড়াও এই কার্ডের বেশ কিছু বিশেষত্ব থাকবে।

আরও পড়ুনঃ ভারতের চাপে মাথা নত করল পাকিস্তান

‘ওয়ান নেশন ওয়ান কার্ড’ ন্যাশনাল কমন মবিলিটি কার্ডের অনুবর্তী হিসেবে ব্যাবহার করা হবে। ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া(এনপিসিআই) এর RuPay কার্ড পেমেন্ট স্কিমের সাহায্য নিয়ে ব্যাবহার করা হবে এই কার্ড। ভোটের আগে ভারতবাসীকে নতুন উপহার মোদীর।

জেনে নিন এই কার্ডের বিষয় সব কিছুঃ

১। ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান কার্ড’ আপনি আপনার ব্যাংক থেকে পাওয়া RuPay ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মত ব্যবহার করতে পারেন।
২। এই কার্ড আপনার ব্যাংক থেকে আপনি ডেবিট, ক্রেডিট কিংবা প্রিপেড কার্ডের মতই ইস্যু করতে পারেন।
৩। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি মেট্রো রেলে ব্যাবহারিত স্মার্ট কার্ডের মতোও এই কার্ড ব্যাবহার করা যাবে।
৪। এই কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে আপনার ব্যাঙ্কের সাহায্য নিতে হবে। ব্যাঙ্কের সাহায্য নিলেই আপনি এই কার্ডে ন্যাশনাল কমন মবিলিটি কার্ড সাপোর্ট পাবেন।

আরও পড়ুনঃ মোদীকে হত্যা কর, কংগ্রেস নেতার প্রকাশ্য নির্দেশ

৫। এই রুপে কার্ড, যার সাথে থাকবে ন্যাশনাল কমন মবিলিটি কার্ডের সাপোর্ট, তা আপনি পেতে পারবেন স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মত ২৫টা ভারতীয় ব্যাঙ্ক থেকে।
৬। পেটিএম পেমেন্ট ব্যাংক থেকেও আপনি পেতে পারেন ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান কার্ড’।
৭। বাস ভাড়া, মেট্রো ভাড়ার পাশাপাশি, আপনি এই কার্ড ব্যাবহার করতে পারেন বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটি করতেও।
ভারত সরকারের আবাসন ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব দুর্গা শঙ্কর মিশ্র জানিয়েছেন, বাস, মেট্রো এমনকি শহরতলির ট্রেনের ভাড়া দিতেও এই কার্ড ব্যাবহার করা যাবে।
৮। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন গাড়ি পার্ক করার জায়গায়ে এবং টোল প্লাজাগুলোতেও এই কার্ড ব্যাবহার করা যাবে।

আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সাবমেরিনের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান

৯। এই প্রকল্পকে সমর্থন করছে ‘স্বাগত’ আর ‘স্বীকার’। ‘স্বাগত’ এবং ‘স্বীকার’ দুটিই ভারতের যানবাহনের ভাড়া সংগ্রহ করার স্বয়ংক্রিয় মাধ্যম।
১০। এই রুপে কার্ড ব্যবহারকারিরা এটিএম থেকে পাঁচ শতাংশ ক্যাশব্যাকও পাবেন। এর পাশাপাশি বিদেশে ভ্রমন করলে, বিদেশি জিনিস ক্রয় করলে পাবে দশ শতাংশ ক্যাশব্যাক।
১১। আন্তর্জাতিক ডিস্কোভার ও ডাইনারস ক্লাবেও এই কার্ড ব্যাবহার করা যাবে।
১২। এই কার্ড থাকলে টাকা না থাকলেও বাসে ট্রেনে চাপা যাবে।

আরও পড়ুনঃ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে মাসুদ আজহারকেও কি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা

ভোটের আগে সরকারকে ব্যবহার করে মোদী ভোটের বাজার গরম করছে বলেই অভিযোগ কংগ্রেস সহ বিরোধীদের। তবে এই সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে খতম জইশ জঙ্গি ও ডেরা স্বীকার মাসুদ ভাইয়ের

আরও পড়ুনঃ ইমরান খানকে ভারতের পরমাণু অস্ত্র হুমকি দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়েসি

আরও পড়ুনঃ ম্যাডাম খুব তাড়াতাড়ি যুদ্ধ বিমানে বসতে চাই, নির্মলাকে অভিনন্দন

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
পাক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোদীকেই যোগ্য বলছেন দেশের মানুষ https://thenewsbangla.com/people-of-india-thinks-narendra-modi-is-eligible-to-counter-pak-terrorism/ Mon, 25 Feb 2019 03:58:59 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=7142 ভারত-পাক যুদ্ধ চায় ভারতের ৩৬% মানুষ। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারতে চালান এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ চায় ভারতের ৩৬ শতাংশ মানুষ। এই জঙ্গি হামলার বদলা হিসেবে ভারতের কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেই প্রশ্নের উত্তরে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধই একমাত্র সমাধানের পথ বলে রায় দিয়েছেন অনেকেই।

ইন্ডিয়া টুডে ও এক্সিক মাই ইন্ডিয়ার যৌথ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, ভারতের শতকরা ৩৬ শতাংশ মানুষই চাইছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পুরোদমে যুদ্ধ করা হোক। ২৩ শতাংশ মানুষ যুদ্ধের বদলে চাইছেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, অর্থাৎ সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হোক।

সিবিআই ইডি তদন্ত থেকে বাঁচাতেই কি স্বামীকে রাজনীতিতে আনছেন প্রিয়াঙ্কা

১৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে গোপনে অপারেশন চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে যেভাবে আমেরিকা হত্যা করেছিল, ঠিক সেভাবেই জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকেও নিকেশ করা হোক। আর ১৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হোক।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পরই ভারতের ২৯টি রাজ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। ওই সমীক্ষায় উত্তরদাতাদের শতকরা ৪৯ শতাংশ মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতম ব্যক্তি হলেন নরেন্দ্র মোদী। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চেয়ে অনেকটাই পেছনে রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

আরও পড়ুনঃ ভারতের নদী থেকে একফোঁটাও জল দেওয়া হবে না পাকিস্তানকে

ওই সমীক্ষায় ১৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে রাহুল গান্ধীই যোগ্য নেতা। অন্যদিকে ৩ শতাংশ মানুষ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে সন্ত্রাসবাদ দমনে যোগ্য নেতা বলেই মনে করেছেন। এ ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব প্রত্যেকেই মাত্র এক শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ চিরশত্রুকে শিক্ষা দিতে ভারত পাক যুদ্ধ চান বাবা রামদেব

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরই দেশজুড়ে ওই ঘটনার বদলার দাবি উঠেছে। হামলার পরই পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে ভারত। এরই মধ্যে পাকিস্তানকে দেওয়া মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) বা সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের তকমা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত।

এরপর পাকিস্তান থেকে সমস্ত পণ্যের ওপরই আমদানি শুল্ক ২০০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানকে নদীর জল সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ভারত। সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, শতকরা ৪৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, পাকিস্তান ও কাশ্মীর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতি বিগত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট, ইউপিএ (২২ শতাংশ) এবং অটল বিহারি বাজপেয়ি প্রশাসনের (১২ শতাংশ) চেয়ে অনেক ভালো।

আরও পড়ুনঃ বিশ্ব জুড়ে প্রভাব ফেলে শান্তি পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় এত সংখ্যক ভারতীয় জওয়ানের প্রাণ চলে যাওয়ার পেছনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকেই প্রধান দায়ী হিসেবে মনে করেন ৩০ শতাংশ মানুষ। ১৯ শতাংশ মানুষের অভিমত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানই এর জন্য দায়ী। ১৩ শতাংশ মানুষ দায়ী করেছেন, জইশ-ই-মহম্মদকে।

এত বড় হামলা কিভাবে সংগঠিত হলো? এই প্রশ্নের উত্তরে ১৩ শতাংশ মানুষ গোয়েন্দা ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন। ১৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সন্ত্রাস দমনে কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বল নীতিই এর জন্য দায়ী। আর ৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণে এই হামলা হয়েছে।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
সাধারণ মানুষের জীবনের দাম এখন কুকুর ছাগলের চেয়েও কম https://thenewsbangla.com/the-cost-of-the-lives-of-ordinary-people-in-india-is-now-less-than-the-dogs-and-goats/ Wed, 24 Oct 2018 06:00:21 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=1385 কলকাতা: শুধুই কি দুর্ঘটনা ? শুধুই কি মানুষের ব্যক্তিগত গাফিলতি ? একের পর রেল সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর আসল কারণটা কি ? আসলে সাধারণ মানুষের জীবনের কোন মূল্যই নেই। শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি, আমজনতার জীবন ঠিক বাড়ির পোষা গরু-ছাগলের মত। বাঁচলো কি মরলো, কিছুই এসে যায় না।

একদম তাই। আপনার আমার সাধারণ মানুষের জীবনের কোন দামই নেই। সরকার বা প্রশাসনের কাছে আমজনতার জীবনের কোন মূল্য নেই। এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনা আবার সেটাই প্রমান করে। সাধারণ মানুষের জীবনের দাম এখন কুকুর ছাগলের চেয়েও কম।

ঘটনা ১: পাঞ্জাবের অমৃতসরের ধোবিঘাটে, দশেরায় রাবণদাহ অনুষ্ঠান চলছিল। সেটি দেখতে কমপক্ষে সাত হাজার লোক জড়ো হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই ধোবিঘাটের জোড়া ফটক ক্রসিংয়ের কাছে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়েছিলেন। কারণ সেখান থেকে রাবণ দাহের দৃশ্য অনেক ভালো দেখা যায়। বাজির তীব্র আওয়াজের মধ্যেই জলন্ধর-অমৃতসর ট্রেন, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকদের পিষে দিয়ে চলে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে পাশের লাইনে চলে আসে অমৃতসর-হাওড়া এক্সপ্রেস। ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু।

ঘটনা ২: পশ্চিমবঙ্গের সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনের ফুটব্রিজে পদপিষ্ট হন বহু যাত্রী। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। আহতদের মধ্যে আরও ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। সাঁতরাগাছি স্টেশনে একসঙ্গে ৩ টি ট্রেন এসে দাঁড়ায়। ফলে, একসঙ্গে অনেক লোক ফুটব্রিজে উঠে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। সেই সময় পদপিষ্ট হন যাত্রীরা।

অমৃতসর এর ঘটনা প্রমান করে দেয়, সাধারণ মানুষের জীবনের কোন দামই নেই। রেললাইনের কাছে সাধারণ মানুষের এত বড় একটা উৎসবের খবরই নেই রেলের কাছে। উদ্যোক্তারাও রেলকে জানানোর বা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কোন প্রয়োজন বোধ করেন নি।

অন্যদিকে, বাস স্ট্যান্ডে বাস ধরার কথাই বলুন বা রেল স্টেশনে ট্রেন ধরার কথাই বলুন, পাবলিক আড্ড্রেস সিস্টেমে যে কোন পরিষেবার ঘোষণা হয় একেবারে শেষ মুহূর্তে। সেই কারণেই, প্রতিদিন ভারতের কোথাও না কোথাও জীবন হাতে নিয়ে সাধারণ মানুষকে ছোটাছুটি করতে হয়। যে কোনদিন সাঁতরাগাছি-র মত পদপিষ্ট হবার ঘটনা আবার যেখানে খুশি ঘটতে পারে।

বিহার, উত্তরপ্রদেশ বা ভারতের যে কোন বড় মন্দিরেই বলুন বা পুরিতে জগন্নাথ দেবের রথ টানার কথাই বলুন, এটা ধরেই নেওয়া হয়, পদপিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু যে কোনদিন হতে পারে। হুড়োহুড়িতে মহিলা-বাচ্চা সহ মানুষ মরবে এটাই যেন স্বাভাবিক। ব্যপারটা এখন এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে, ১৩০ কোটির দেশে কটা লোক মরলো তো কি এসে গেল !!!

সরকারি হিসাব বলছে, শেষ কয়েক বছরে ভারতে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। মানুষের হাতে টাকা এসেছে। কিন্তু, এই সব রিপোর্টই হচ্ছে উচ্চবিত্তদের জন্য। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রার মান কতটা কমেছে বা চাষী কৃষক মজদুরদের জীবনধারণ কতটা কঠিন হয়েছে তা আর হিসাবে আসে না।

উচ্চবিত্ত সমাজের একটি দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর খবর যতটা হইচই ফেলে আমজনতার জীবনের বড় দুর্ঘটনাও অতটা প্রভাব ফেলতে পারে না। একজন রাজনীতিবিদের জীবনে একটি দুর্ঘটনা বা মৃত্যু যতটা খবরের শিরোনামে আসে, শয়ে শয়ে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা কিছুই রেখাপাত করে না।

শুধু দেশ নয়। আমাদের রাজ্যের কথাই দেখুন। বিষ মদ খেয়ে প্রায়ই লোক মরছে। প্রশাসন ২ লাখ দিয়েই জীবনের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। অথবা, বিষ মদ রুখতে রাজ্য সরকার নিজেই পাড়ায় পাড়ায় মদের লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে। রাজস্ব বাড়াবার নামে খেয়ালখুশি সিদ্ধান্ত। আসল কথা কিন্তু সেই গোড়াতেই লুকিয়ে। আমার আপনার জীবনের কোন দামই নেই।

কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। গরিব আরও গরিব হচ্ছে। তার চেয়েও পাল্লা দিয়ে কমছে সাধারণ মানুষের জীবনের দাম। দেশ হোক বা রাজ্য, আমজনতার জীবনের কোন দামই নেই। মানুষের জীবনের মূল্য শুন্য।

শুধু একদিন সেই জীবনের মূল্য বোঝা যায়, ভোটের দিন। ভোটের আগে হাত জড়ো করে নেতা নেত্রীদের আপনাকে সম্মান দেওয়াটাই আপনার জীবনের মূল্য। বাকি দিনগুলিতে সরকার বা প্রশাসনের কাছে বা সরকারি আধিকারিকদের কাছে নেতা নেত্রী বা উচ্চবিত্ত মানুষ ছাড়া আমজনতার জীবনের কোন নিরাপত্তাও নেই,কোনও মূল্যই নেই।

দুর্ঘটনা ঘটছে, ঘটবেও। কারণ কোন মতে বেঁচে থাকা সাধারণ মানুষের জীবনের দাম কানাকড়িও নয়। মৃত্যুর পর দানের ২ লাখ বা ৫ লাখেই মানব জীবনের দাম ধরা থাকে। কীট পতঙ্গের জীবন আমজনতার, মরলেই কি আর বাঁচলেই কি ? আমাদের রাজ্য তথা দেশে এটাই ধ্রুব সত্য।

]]>