Mumbai Police – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Sat, 26 Nov 2022 07:56:20 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Mumbai Police – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 শত্রুকে নিমেষে নিকেশ করে ভারতের সেরা ৯ কম্যান্ডো বাহিনী https://thenewsbangla.com/indias-9-special-commando-forces-to-kill-the-enemy-in-moments-part-3/ Sat, 09 Mar 2019 11:02:02 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=7901 ‘কম্যান্ডো’৷ একটা শব্দই ঝাঁকিয়ে দেয় সাধারণ মানুষকেও৷ যে কোন সাধারণ সেনাবাহিনীর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালি, অনেক বেশি ক্ষিপ্র, চোখের পলক ফেলার আগেই শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পরতে সদা প্রস্তুত ভারতের এই কম্যান্ডোরা। বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় ভারতের ৯টি কম্যান্ডো বাহিনী যেন অধিক হিংস্র, ক্ষিপ্র ও গতিসম্পন্ন।

প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরা খুব বেশি পারদর্শী। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শত্রুর সামনে সাক্ষাৎ যম হয়ে উদয় হয়ে শত্রু বিনাশ করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। বিপদ মোকাবিলায় এরা এতটাই ভয়ানক যে এই ৯ বাহিনীকে বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর কম্যান্ডো বাহিনী হিসাবে গণ্য করা হয়।

পড়ুন প্রথম পর্বঃ শত্রুকে নিমেষে নিকেশ করে ভারতের সেরা ৯ কম্যান্ডো বাহিনী
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ শত্রুকে নিমেষে নিকেশ করে ভারতের সেরা ৯ কম্যান্ডো বাহিনী

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ভারতের এই ৯ কম্যান্ডো বাহিনীকে। তৃতীয় ও শেষ পর্বে আরও ৩ কম্যান্ডো বাহিনী সম্পর্কে সবকিছু জেনে নিন।

৭. প্যারা কম্যান্ডোঃ ১৯৬৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এই কম্যান্ডো ইউনিটটি তৈরি করা হয়েছিল। এই কম্যান্ডো বাহিনী হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারাশুট ডিভিশন। এদের কাজ হলো আকাশ থেকে ঝাঁপ দিয়ে শত্রুপক্ষের উপরে হামলা করে পদাতিক বাহিনীর অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

রোজ ৬০ কেজি ওজনের জিনিসপত্র পিঠে চাপিয়ে অন্তত ২০ কিলোমিটার দৌড়তে হয় এই কম্যান্ডো বাহিনীর সদস্যদের। সাড়ে তেত্রিশ হাজার ফুট উপর থেকে ঝাঁপ দিতে সক্ষম এরা। আকাশপথে শত্রুর এলাকায় অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে সমুদ্রপথে হামলায় দক্ষ এই বাহিনী। প্যারা কম্যান্ডোরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর একমাত্র ইউনিট, যাদের শরীরে ট্যাটু আঁকার অনুমতি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

১৯৬৫ সালে ভারত পাক যুদ্ধের সময় একটা কম্যান্ডো ইউনিট গড়া হয়৷ নাম দেওয়া হয় মেঘদূত ফোর্স। মেজর মেঘ সিং এর নেতৃত্বে এই কম্যান্ডো বাহিনী কাজ করেছিল। এই বাহিনী দারুণ কাজ করেছিল ভারত পাক যুদ্ধে। তারপরেই পাকাপাকি ভাবে পদাতিক বাহিনীর একটা কম্যান্ডো ফোর্স গড়ার প্রয়োজনীয়তা লক্ষ করা হয়। তারপরেই তৈরী হয় প্যারা কম্যান্ডো বাহিনী। বিমান বা হেলিকপ্টারে প্যারা কম্যান্ডোদের নামিয়ে দেওয়া হয় ঘটনাস্থলে। শত্রু বা জঙ্গীদের উপর নিমেষে প্রথম হামলাটা করে এই কম্যান্ডোরা।

১৯৭১ সালের ভারত পাক যুদ্ধে প্রথমবারের জন্য প্যারা কম্যান্ডোদের দেখা যায়। ৬ সদস্যের প্যারা কম্যান্ডো ২৪০ কিলোমিটার ভেতরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা অতর্কিতে হামলা চালায় পাক আর্মির উপর। একটা ছোট্ট কম্যান্ডো বাহিনী ৪৭৩ জন পাকিস্থানী সৈন্যকে মেরে ফেলে, ১৪০ জনকে আহত করে।

পাকিস্থানের স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপের ১৮ জন সদস্যকে আটক করে ফেলে এই কম্যান্ডো দলের সদস্যরা। ১৯৮৪ সালের অপারেশন ব্লু স্টারে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরেও জঙ্গীদের হঠাতে অতর্কিতে আক্রমণে নামে প্যারা কম্যান্ডোরা। দেশে বিদেশে বিভিন্ন অপারেশনে সফল ভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে প্যারা কম্যান্ডো।

৮. কোবরা কম্যান্ডোঃ Commando Battalion for Resolute Action বা COBRA কম্যান্ডো। Central Reserve Police Force বা CRPF বাহিনীর এই কম্যান্ডো ফোর্সের সৃষ্টি হয়েছিল প্রধানত নকশাল ও মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে। ‘হয় মরো না হয় মারো’, এটাই কোবরা কম্যান্ডো বাহিনীর মূলমন্ত্র। জঙ্গলের মধ্যে যে কোনো ধরনের গেরিলা যুদ্ধে সক্ষম এই বাহিনী।

২০০৮ সালে মূলত নকশাল ও মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। কোবরা কম্যান্ডোরা এতটাই দক্ষ যে, মুহূর্তের মধ্যে জঙ্গলে শত্রুর চোখে ধুলো দিতে পারে। তারা এমন পোশাক এবং মুখে রঙ মেখে অভিযানে নামে যে, চট করে জঙ্গলে তাদের দেখে ফেলা কঠিন। প্যারাসুট নিয়ে ঝাঁপ দিয়েও অভিযানে সক্ষম কোবরা কম্যান্ডোরা।

কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর অধীনে আসে কোবরা কম্যান্ডো বাহিনী। অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ইনসাস রাইফেল থেকে একে ৪৭, এক্স ৯৫-এর মতো আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত কম্যান্ডোরা। কোবরা কম্যান্ডোদের নিশানা এতটাই নিখুঁত যে, যে কোনও স্থান থেকে শত্রুকে গুলি করে খতম করা এদের কাছে জলভাত। যে কোন অস্ত্র চালানোর পাশাপাশি যে কোন বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার ট্রেণিং দেওয়া হয় কোবরা কম্যান্ডোদের।

৯. ফোর্স ওয়ান কম্যান্ডোঃ ২৬/১১ মুম্বাই হামলার পর এই কম্যান্ডো বাহিনী তৈরি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। মুম্বাই পুলিশের এই কম্যান্ডো বাহিনীর মূল কাজ মুম্বইকে রক্ষা করা। বাণিজ্য নগরীর বুকে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস প্রতিরোধে এই বাহিনীকে তৈরি করা হয়েছে। ফোর্স ওয়ান-এর কম্যান্ডোদের এমনভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে যে মাত্র ১৫ মিনিটে এরা শত্রুপক্ষের ওপরে হামলা চালাতে সক্ষম।

২০০৮ এর মুম্বাই সন্ত্রাসের পরই ঠিক হয় মুম্বাই পুলিশের নিজস্ব কম্যান্ডো বাহিনী গড়ে তোলা হবে। ২৬/১১ এ মুম্বাই অ্যাটাক থেকে শিক্ষা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই কম্যান্ডো বাহিনী। ২০১০ এ তৈরী হয় মুম্বাই পুলিশের ফোর্স ওয়ান কম্যান্ডো। এই মূহুর্তে ফোর্স ওয়ানে ৩০০ জন কম্যান্ডো আছে। মুম্বাই পুলিশ বাহিনীর সেরা অফিসারদের ট্রেণিং দিয়ে কম্যান্ডো তৈরী করা হয়।

একবার ফোর্স ওয়ান কম্যান্ডো বাহিনীতে যোগদানের জন্য ৩০০০ আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ২১৬ জনকে বেছে নেওয়া হয়। ঠিক NSG বা ন্যাশান্যাল সিকিউরিটি গার্ডের মতই গড়ে তোলা হয়েছে ফোর্স ওয়ানকে। ইসরায়েলি স্পেশাল ফোর্সের অফিসাররা ট্রেণিং দেয় ফোর্স ওয়ান কম্যান্ডোদের। মুম্বাই অ্যাটাকের মত কোন হামলা হলে প্রথমেই ফোর্স ওয়ানের কম্যান্ডোরাই ঝাঁপিয়ে পরবে।

যে কোন বিপদের মোকাবিলায় সক্ষম ভারতের এই ৯ কম্যান্ডো বাহিনী। অসম্ভবকে সম্ভব করাই এদের কাজ। অবাস্তবকে বাস্তব করা এদের বাঁ হাতের খেল। ভারতের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ভারতীয় কম্যান্ডোরাও আছেন দেশের ও দশের নিরাপত্তায়। চোখের নিমেষে শত্রুনিধন করে এঁরা দেশ ও দেশবাসীকে নিশ্চিত রক্ষা করবেন যে কোন বিপদ থেকে। এই ৯ কম্যান্ডো বাহিনীকে যমের মত ভয় পায় সীমান্ত পাড়ের জঙ্গিরাও। জয় ভারতের কম্যান্ডো।

]]>
একে ৪৭ এর গুলি বুকে নিয়েও কাসভকে ছাড়েন নি তুকারাম https://thenewsbangla.com/tukaram-did-not-leave-kasab-after-getting-all-the-bullets-of-ak-47-on-the-chest/ Wed, 28 Nov 2018 09:52:04 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=3218 একে ৪৭ এর সবকটা গুলি বুক ফুঁড়ে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেলেও, তাঁর হাত থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারে নি পাক জ’ঙ্গী। তুকারাম ওম্বলের হাতই হয়ে উঠেছিল, আজমল কাসভের ফাঁসির ফাঁন্দা।

২৬,১১,২০০৮, ১৪ বছর আগে সেদিন রাতের শিফটে ডিউটি ছিল তুকারাম ওম্বলের। হালকা মেজাজে ভাবছিলেন কদিন পরেই শীতের আমেজ আসবে, মুম্বাই সেজে উঠবে উৎসবের মেজাজে। বান্দ্রা, জুহু, অন্ধেরি, সব জায়গা উঠবে ঝলমলিয়ে। ছেলেমেয়েরা ধরেছে শীতের ছুটিতে, কোথাও একটা যাবে।

হাসি পেল তুকারামের, পুলিশের আবার ছুটি। কোন উৎসবেই তাদের ছুটি চাওয়া পাপ। গণপতি উৎসব, দেওয়ালি, হোলি কিছুতেই মেলে না ছুটি। তবু পরিবারের মানুষেরা চায় তাকে। এবার একটা চেষ্টা করবে ছুটি নেবার।

The Newsবাংলা

ভাবতে ভাবতে মনটা পিছন ফিরে চলে গেল। সেই কবে আর্মিতে যোগ দেবার পর থেকেই, ছুটি বলে কিছু নেই জীবনে। তারপর কতদিন পেরিয়ে গেছে, খালি ডিউটি আর এদিক ওদিক ছুটে বেড়ানো। বাড়ি থেকে কতো দূরে থাকতে হত, সেই সৈনিক জীবনে। কিন্তু সেই জীবনে একটা রোমাঞ্চ ছিল। দেশরক্ষার গর্ব গর্বিত করত। ঝুঁকি নিতে বেশ লাগত।

দেশপ্রেমটা তার মধ্যে চিরকালই বেশি। আর্মি থেকে অবসরের পর যোগ দেন, মুম্বাই পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর পদে। ঘর থেকে ডিউটি। নিরুপদ্রব জীবন, এতেই অভ্যস্ত হয়েছেন এখন। তাও মাঝে-মাঝে আর্মির সেই দিনগুলো মনে পড়লে রক্ত গরম হয়, জীবন চায় আবার অভিযান করতে। আবার তারপর মনে হয় এই বেশ, পরিবারকে সময় দেওয়া যাচ্ছে।

ভাবনার ছেদ পড়ল ইনস্পেক্টর ইন চার্জের উত্তেজিত কন্ঠে। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এ জ’ঙ্গী হানা হয়েছে। বহু মানুষ হতাহত। জ’ঙ্গীরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে, অ্যান্টি টেররিস্ট শাখার অফিসার হেমন্ত কারকারে, এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট বিজয় সালাসকারকে।

Image Source: Google

তাদের কোয়ালিস গাড়ি নিয়ে জ’ঙ্গীরা এদিকেই আসছে। অফিসার দ্রুত পজিশন নিতে বললেন সবাইকে। রক্ত গরম হয়ে উঠল ওম্বলের। ফোর্সকে রেডি হতে বলে, লাঠি হাতে বেরিয়ে পড়লেন রাস্তায়।

এদিকে ইসলা’মিক ফি’দায়ে জ’ঙ্গী গোষ্ঠীর দুই সদস্য, আজমল কাসভ ও ইসমাইল খান শিবাজি টার্মিনাস এ হামলা চালিয়ে প্রচুর মানুষকে হ’ত্যা করে বাইরে বেরিয়ে এল। চারদিকে আতঙ্কিত মানুষের ছোটাছুটি, চিৎকার। ততক্ষণে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ। হঠাৎ জ’ঙ্গিদের গাড়ির চাকা বার্স্ট করলো। তারা একটা অন্য গাড়ি দখল করে ছুটল। মুম্বাই পুলিশের অসহায় আত্মসমর্পণ আর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এর বহর দেখে মজা করতে লাগল তারা।

আরও পড়ুনঃ ‘কাসভের বেটি’, জঙ্গি চিনিয়ে দেবার ‘পুরষ্কার’ পাচ্ছে দেবিকা

বেশ মজা লাগল পাক জ’ঙ্গীদের। ভারতীয়গুলোর রক্ত দেখা পবিত্র কর্তব্য। আবার কয়েক রাউন্ড গুলি করল, জনগনকে লক্ষ্য করে। চিৎকার আরো বাড়ল। দেখা গেল একটা টয়োটা গাড়ি আসছে লাল বাতি লাগানো। পজিশন নিলো তারা। গাড়ি থেকে সালাস্কার, হেমন্ত কারকারে প্রমুখ নামতেই গুলিবর্ষণ শুরু করল। ঝাঁঝরা হয়ে গেল অফিসাররা। গাড়িটার দখল নিল কাসভ। গাড়ি ছুটল তাজ হোটেল লক্ষ্য করে।

বাহিনী নিয়ে রাস্তায় নাকা চেকিং করছে পুলিশ। সমস্ত গাড়িতে তল্লাশি চলছে। চৌপট্টি এলাকায় ডবল ব্যারিকেড করেছে পুলিশ। দেখা গেল তীর বেগে ছুটে আসছে একটি স্কোডা গাড়ি। আটকাতেই গাড়ি থেকে ছুটে এল গুলির ঝাঁক। পুলিশও গুলি চালাল। এক জ’ঙ্গী ঝাঁঝরা হয়ে গেল।

Image Source: Google

অপরজনের কাঁধে গুলি লাগল। সে চালাচ্ছিল গাড়ি। দ্রুত ইউ টার্ন নিল গাড়ি। এই সময় এক জ’ঙ্গির উপর, ঝাঁপিয়ে পড়লেন তুকারাম। একে জ্যান্ত ধরব। শরীরে ফুটছে আর্মি রক্ত। দেশপ্রেমের আদর্শ উত্তাল সমুদ্রের মতো উথাল পাথাল করছে। কানে বাজছে সেই মিলিটারি কমান্ডারের আদেশ, “দেশকি শত্রুও কো হাম নেহি ছোড়েঙ্গে। দেশ হামারে মা হ্যায়। মিট্টিমে মিলা দুঙ্গা দেশ কি শত্রুও কো”।

তুকারাম হাতের লাঠি দিয়ে সজোরে ঘা দিলেন গাড়ির দরজায়। এক হ্যাঁচকা টানে খুলে ফেললেন গাড়ির দরজা। টেনে ধরলেন তার বন্দুকের নল। ঝাঁপিয়ে পড়লেন জ’ঙ্গীর ওপর। আর তখনই জ’ঙ্গী গুলি চালাতে শুরু করল। বুকে পরপর ঢুকে যাচ্ছে বুলেট। রক্তে ভিজছে তার ইউনিফর্ম। বুক ভেদ করে পিঠ দিয়ে ছুটছে রক্তের ফোয়ারা।

Image Source: Google

কিন্তু লৌহকঠিন দুই হাত পেঁচিয়ে ফেলেছে জ’ঙ্গীর গলা। প্রাণপণে আঁকড়ে ধরেছেন তাকে। যেভাবে ধৃতরাষ্ট্র কঠিন হাতে পিষে দিয়েছিল লোহার ভীমকে। যেভাবে শোলে ফিল্মে ঠাকুর, হাতের ফাঁসে ধরেছিলেন গব্বরকে। সেভাবেই আঁকড়ে ধরলেন কাসভকে। অক্টোপাসের নাগপাশ ছাড়াতে পারল না সে।

অন্য পুলিশরা ধরে ফেলল কাসভকে। বন্ধন আলগা হোল তুকারামের। দু হাত প্রসারিত করে, শুয়ে পড়লেন দেশের মাটির ওপর, ভারতমায়ের বুকে। ভলকে-ভলকে রক্ত ভাসিয়ে দিল তার জামা, তার পুলিশের ইউনিফর্ম। আকাঙ্ক্ষিত ছুটি মিলল তাঁর। তবে চিরদিনের মত। রাতটা ছিল ২৬/১১ সালটা ২০০৮। শহিদ হলেন তুকারাম ওম্বলে।

Image Source: Google

তাঁর অসম সাহসী এই লড়াই সেদিন ধরিয়ে দিয়েছিল, মুম্বই হামলার একমাত্র জীবিত জ’ঙ্গী কাসভকে। তার থেকে জানা গিয়েছিল, তার পাকিস্তানি পরিচয়। আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেবার অকাট্য প্রমান পেয়েছিল ভারত।

সরকার সম্মান জানিয়েছিল এই বীর শহিদকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁকে মরণোত্তর অশোক চক্র সম্মান দেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রমান করেছিলেন দেশদ্রো’হীদের থেকে দেশপ্রেমিকদের ক্ষমতা অনেক বেশী। সম্মান জানাই তাঁকে। জয়হিন্দ। জয় তুকারাম ওম্বলে।

]]>