হর্দ কাউরের বিরুদ্ধে বারাণসীতে; ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন; স্থানীয় আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য; আইনজীবীর সেই অভিযোগ পেশ করা হয়েছে অপরাধ দমন শাখায়।
আরও পড়ুনঃ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিনা হেলমেটের বাইক ধরার অভিযান পুলিশের
শশাঙ্ক শেখরের ও এক স্বেচ্ছাসেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে; হার্দ কৌরের বিরুদ্ধে পুলিশ ১২৪এ (দেশদ্রোহ), ১৫৩ (সাম্প্রদায়িকতায় উস্কানি), ৫০০ (মানহানি), ৫০৫ (হিংসায় উস্কানি) এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে; সংবাদ সংস্থা এএনআই। অপরাধ দমন শাখার বিশেষ নজরদারি শাখা; বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ বাকি ছিল এটাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতার পুলিশে এবার সিভিক গোয়েন্দা নিয়োগ
মঙ্গলবার এই গায়িকা; যোগী আদিত্যনাথকে ধর্ষণকারী বলে; একটি ছবি পোস্ট করেছেন। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য; আরএসএসকে দায়ী করেন তিনি। তিনি লিখেছিলেন, “এই লোকটি যদি সুপারহিরো হয় তবে তার নাম হবে ‘ধর্ষক যোগী’।
আরও পড়ুনঃ এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে কাটমানি ফেরত চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
“আপনি যখন আপনার বোন, মা, মেয়েদের ধর্ষণ চান; তখন তাকে ফোন করুন। তিনিই জাতীয় নায়ক। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে ডাকি গেরুয়া-ধর্ষক বলে”। যোগীর বিরুদ্ধে অশ্লীল ও অপরাধমূলক মন্তব্য করেন র্যাপ সংগীত শিল্পী; তরণ কুমার ধিলোঁ ওরফে হর্দ কাউর। শুধু তাই নয়; তিনি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগাওয়াতের বিরুদ্ধেও; বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। ২৬/১১ এবং পুলওয়ামা হামলার সহ; সকল সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য দায়ী করেন আরএসএসকে।
আরও পড়ুনঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে অশান্ত ভাটপাড়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় দল
হর্দ কাউর আরও বলেন; “সাংবাদিক গৌরী লংকেশ ও এটিএসের প্রধান হেমন্ত কারকারের মৃত্যুতে; আরএসএস জড়িত ছিল”। বর্তমানে ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামের বাসিন্দা হর্দ কাউর; আদতে তিনি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা। “পাতিয়ালা হাউজ” সহ বিভিন্ন সিনেমায় তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এবার রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ এই সংগীতশিল্পীর বিরুদ্ধে।
]]>আরও পড়ুনঃ মোদী সরকারের সাফল্য, বিজয় মালিয়াকে ভারতে ফেরতের নির্দেশ ব্রিটিশ আদালতের
লোকসভা নির্বাচনের আগে দুদিনের শিলিগুড়ি সফরে এলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত। সুত্রের খবর, সোমবার রাতে তার আরএসএস নেতৃত্বের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার কথা। পরে মঙ্গলবারও শিলিগুড়ির হিন্দি হাইস্কুলে, সকালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতৃত্ব ও সদস্যদের সাথে তার বৈঠকও রয়েছে।
সুত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও দলের ভাবমুর্তি বাড়াতে মানুষের কাছে পৌঁছে তাদের অভাব অভিযোগগুলি শোনার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতেই উত্তরবঙ্গে আগমন তাঁর। উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে তিনি বৈঠক করতে শিলিগুড়িকে বেছে নিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মোদী সরকারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পদত্যাগ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নরের
সোমবার বিকেলে তিনি বাগডোগরায় বিমান থেকে নেমে পাঞ্জাবীপাড়ায় এসে ওঠেন। তিনি আসা মাত্রই তার গতিবিধির ওপর নজর রাখতে চারিদিকে সাদা পোষাকের পুলিশ ও আইবির পুলিশ আধিকারিকরা ছড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ, নাসিকে দাম না পেয়ে আত্মহত্যা
বিজেপির রথের চাকা থমকে যাওয়ার পর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সহ হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আসার কথা ছিল শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু রথ যাত্রায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে মুষড়ে পড়ে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
তাতে প্রলেপ দিয়ে দলকে কি করে সংঘবদ্ধতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তারই পাঠ পড়াতে তার শিলিগুড়িতে আগমন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। পাশাপাশি সংঘ পরিবারের সাথে পায়ে পা মিলিয়ে চলার দিশা দিতে তার রাজ্যসফরে আসা। লোকসভা নির্বাচনের আগে মোহন ভাগবতের এই সময় রাজ্য সফরে আসা বিজেপির পক্ষে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
আরও পড়ুনঃ পুরুষদের টেক্কা দিয়ে চা বাগানে ইতিহাস সৃষ্টি এক নারীর
তবে যেহেতু সবসময়ই তাঁর সফর ঘিরে একটা রাখঢাক বিষয় থাকে, সে কারনে দুদিনের শিলিগুড়ি সফরের প্রথম দিনেই কালঘাম ছুটছে আইবি সহ সমস্ত দপ্তরের পুলিশ আধিকারিকদের। বুধবার তার ফিরে যাওয়ার কথা।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কোনরকমেই নিজেদের হাতে থাকা দার্জিলিং আসনটি হারাতে চাইছে না বিজেপি ও আরএসএস। বিমল গুরুং পালিয়ে বেড়ানোয় দার্জিলিং আসনটি জেতাই এখন সংগঠন এর কাছে চ্যালেঞ্জের। সেই কারনেই হিন্দু সংগঠন আরও শক্তিশালী করতেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত স্বয়ং উত্তরবঙ্গে এসেছেন।
]]>