Mahua Moitra – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Mon, 23 May 2022 08:05:45 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Mahua Moitra – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 ঠিকাদার থেকে ‘শাহজাহান‘, দুই বউয়ের জন্য ‘জোড়া তাজমহল’ তৃণমূলের ’শেখ‘ নেতার https://thenewsbangla.com/tmc-leader-rajib-sheikh-become-rich-after-join-mamata-banerjees-party/ Mon, 23 May 2022 08:04:57 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=15164 ঠিকাদার থেকে শাহজাহান; দুই বউয়ের জন্য ‘জোড়া তাজমহল’ তৃণমূল নেতার। ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদার, আজ সেই নেতার রমরমা; চোখ ধাঁধিয়ে দেয় এলাকার মানুষের। দুই বউয়ের জন্য দুটি পেল্লায় বাড়িও বানিয়েছেন; চাপড়ার তৃণমূল নেতা রাজীব শেখ। মুঘল সম্রাট শাহজাহান, তাঁর বেগম মুমতাজের জন্য; বানিয়েছিলেন একটি তাজমহল। আর তৃণমূল নেতা রাজীব শেখ; ছাড়িয়ে গেলেন সম্রাট শাহজাহান-কেও। এলাকার লোকেরা বলে, দুই বউয়ের জন্য; তৃণমূল নেতার জোড়া তাজমহল।

তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই; কপাল খুলে যায় রাজীব শেখের। একটা সময় চাপড়া ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে; গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণ ছিল রাজীবের হাতেই। নিজেও ঠিকাদারির কাজ করতেন। ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের সময় থেকেই; ভাগ্য পরিবর্তন হয় রাজীবের। চাপড়ার তৃণমূল প্রার্থী; রুকবানুর রহমানের ডান হাত হয়ে ওঠেন রাজীব।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের ডাকে সাড়া দিলেন না শুভেন্দু অধিকারী, যাচ্ছেন না নবান্নে

বিধায়কের হাত ধরে আরও এগিয়ে; নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে রাজীব। বড় বউ আসমাতারা বিবি বর্তমানে চাপড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। বাবা কাংলা শেখ ছিলেন দলের অঞ্চল সভাপতি। রাজীব নিজে ছিলেন চাপড়া ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। রাজীব ঘনিষ্ঠদের দাবি; দুটো বাড়ি ছাড়াও একাধিক গাড়ি, একাধিক দামি মোটরবাইকের মালিক রাজীব। এছাড়াও তিনটি ইটভাটা, শ্রীনগর মোড়ে পাটের গুদাম, কয়েকজনের সঙ্গে অংশীদারিতে সুপার মার্কেট ও জমি সহ কয়েক কোটি টাকার মালিক তৃণমূল নেতা রাজীব। তবে, এইসব অভিযোগ, পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন এই তৃণমূল নেতা।

আরও পড়ুনঃ “এটা কি তোর বাপের স্টেশন” বলার দিন শেষ, টাকা ফেললেই রেলস্টেশন আপনার নামে

সম্প্রতি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে বাবা-ছেলে পদচ্যুত হয়েছেন। তারপরেই উঠেছে রাজীবের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। যদিও রাজীবের দাবি, সব তাঁর পরিশ্রমের টাকা। সৎ ভাবে ঠিকাদারি করেই তিনি এই উপার্জন করেছেন। কোন বেআইনি কাজ করে বা দলকে ভাঙিয়ে উপার্জন করেননি। তবে, সাধারণ মানুষ এই আধুনিক শাহজাহান-কে নিয়ে; বেশ মজাই করছেন। বলছেন, দুই বউকে সামলাতে হলে; দুটো তাজমহল তো বানাতেই হবে!

]]>
ফ্যাসিবাদে আক্রান্ত দেশ, প্রথম ভাষণেই মোদীকে কটাক্ষ মহুয়ার https://thenewsbangla.com/tmc-mp-mahua-moitra-point-signs-of-fascism-against-modi-in-debut-speech/ Sat, 29 Jun 2019 07:16:47 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=14685 রাতারাতি লাইমলাইটে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রশংসায় মুখর অধিকাংশ রাজ্যবাসি। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিপুলভাবে জয়লাভের পর; বিরোধী পক্ষ নিয়ে সংশয় ছিল। বাংলার মহুয়া মৈত্রের উপস্থিতি সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে পারে বলে; প্রথম ভাষণের পরেই মনে করছেন দিল্লির রাজনৈতিক মহল।

সাংসদ হিসাবে মহুয়া মৈত্র লোকসভার প্রথম ভাষণে দাবি করেন; ভারতে ফ্যাসিবাদের প্রতিটি চিহ্ন স্পষ্ট। মহুয়ার ভাষণে যথেষ্ট অপ্রস্তুতে পরেন; বিজেপি তথা মোদী সরকার। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের সংবিধানের আদর্শের কথা; ও বিজেপি সরকারের তা অমান্য করার কথা। মোদী সরকারকে ফ্যাসিবাদের সরকার; বলে ইঙ্গিত দিয়ে বিতর্ক উসকে দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ মুসলিম স্কুলে খাবার ঘর, বিতর্কের জেরে সার্কুলার প্রত্যাহার করে নিলেন মমতা

কৃষ্ণনগরের সাংসদের বক্তৃতা টুইটার সহ; গোটা সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোড়ন ফেলেছে ইতিমধ্যেই। ইহুদি গণহত্যার একটি পোস্টার দেখিয়ে তিনি বলেন; “আমাদের ঠিক করতে হবে; আমরা ইতিহাসের কোন অংশ হতে চাই। যে পক্ষ সংবিধানের সমর্থক নাকি; যে পক্ষ হয়েছে সংবিধানের শববাহক”।

মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন; “দেশের সংবিধান আক্রান্ত। মানুষের স্বাধীনতা আক্রান্ত”। দেশ যে ভাঙতে চলেছে; তার সাতটি প্রমাণের বিশদ ব্যাখ্যা দেন সাংসদ মহুয়া। বক্তৃতা শেষ করেন উর্দু কবি রাহাত ইন্দোরির একটি কবিতা দিয়ে। যার শেষ লাইন;‘কিসিকা বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়’।

মহুয়া বলেন; “আপনারা বলতেই পারেন ‘আচ্ছে দিন’ এসে গিয়েছে; এবং ভারতীয় সাম্রাজ্যের সূর্য যাতে কখনও অস্ত না যায় সরকার সেটাই চাইছে। কিন্তু তাহলে আপনারা বিপদ সঙ্কেতটা ধরতে পারছেন না। যদি আপনি চোখ খোলেন; দেখবেন দেশের সর্বত্র প্রমাণ ছড়িয়ে রয়েছে; যা থেকে বোঝা যাচ্ছে দেশটা ভাগ হতে চলেছে”।

এনআরসি নিয়ে তিনি বলেন; যে দেশের নেতারা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণের জন্য সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন না; সেই দেশে ৫০ বছর ধরে থাকা মানুষদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য হেনস্থা করা হচ্ছে গরিবদের।

দেশজুড়ে চলতে থাকা হিংসার কথাও তিনি বলেন। ঝাড়খণ্ডের গণপিটুনির প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। মহুয়া বলেন; “২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সময়কালে বেড়েছে হিংসাজনিত অপরাধ”। মহুয়া প্রথম ভাষণেই বুঝিয়ে দিয়েছেন; আগামী ৫ বছর তিনিও বিজেপি বিরোধী মুখ হিসাবে উঠে আসতে চলেছেন।

]]>