কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত পোস্টের জেরে; প্রথমে নেটিজেনদের রোষানলে পড়ে অটো কোম্পানি হুন্ডাই (Hyundai)। হুন্ডাই পাকিস্তানের একটি টুইট ঘিরে; এই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই টুইটে লেখা হয়;’আমরা যেন ভুলে না যাই কাশ্মীরি ভাইদের আত্মত্যাগ। তাঁদের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাশে থাকব’। এর সঙ্গে #KashmirSolidarityDay যোগ করা হয়। এই টুইটে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ভারতে। ভারতিয়রা হন্ডাইকে বয়কটের দাবি তোলেন। টুইটারে ট্রেন্ডিং হতে থাকে #BoycottHyundai। বিতর্ক সামাল দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার অটো কোম্পানিটির ভারতীয় বিভাগের তরফে জানানো হয়; তারা ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে সম্মান করে। এমনকি চাপের মুখে পড়ে ভারতকে হুন্ডাই ব্র্যান্ডের Second Home বলেও ঘোষণা করা হয়।
এরপরেই একইরকম বদমাইশি করে কেএফসি (KFC)। পাকিস্তানের কেএফসি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে একটি টুইট করে; কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে খোঁচা দেওয়া হয় ভারতকে। তাতে লেখা হয়, ”আমরা কাশ্মীরের সংহতি দিবসে তাদের স্বাধীনতার অধিকারের দাবিকে অনুভব করে তাদের পাশেই দাঁড়াচ্ছি”। স্বাভাবিকভাবে এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। কিন্তু সেখানেই না থেমে; পরের দিন আরও একটি পোস্ট করা হয়। তাতে কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে লেখা হয়; ”কাশ্মীর কাশ্মীরিদেরই”। পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে এই ধরনের পোস্টের পর; ক্রমশ চড়তে থাকে বিক্ষোভের পারদ। এরপরই কেএফসি ইন্ডিয়ার তরফে টুইট করে; ক্ষমা চাওয়া হয়। বলা হয়; ”দেশের বাইরে কেএফসির কোনও সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল থেকে করা পোস্টটির জন্য আমরা গভীর ভাবে ক্ষমা চাইছি; আমরা ভারতকে সম্মান করি এবং গর্বের সঙ্গে সমস্ত ভারতীয়র সেবা করতে দায়বদ্ধ”।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বের অন্যতম ফুড-চেন সংস্থা ও গাড়ি-প্রস্তুত সংস্থাকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন ভারতীয় নেটিজেনরা। যদিও ভারতীয়দের প্রবল চাপে পড়ে, শেষ পর্যন্ত ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে ওই দুই সংস্থা। কিন্তু এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে; ১৩০ কোটির দেশের উপর ভরসা করে চলছে ব্যবসা; তারপরেও ভারত বিরোধী বক্তব্যের সাহস হয় কি করে?
]]>