কারণ নিজের সঙ্গে গাড়ুলিয়া পুরসভার আরও বারোজন তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে রবিবারই দিল্লি চলে গিয়েছেন সুনীল সিংহ। তিনি গাড়ুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন। অর্জুন সিংহ বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই; সুনীলের অবস্থান নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ অজানা জ্বরে রাজ্যে শিশু মৃত্যুর মিছিল, চরম আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
অর্জুন এবং তাঁর ছেলে পবন সিংহ বিজেপি-র টিকিটে সাংসদ এবং বিধায়ক হওয়ার পরে; সুনীলেরও দল ছাড়ার জল্পনা আরও জোরালো হয়। যদিও কিছুদিন আগেও উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে গিয়ে সুনীল দাবি করেছিলেন যে; তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। একই সঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেছিলেন; ভবিষ্যতে কী হবে তা কেউ জানে না।
লোকসভায় এরাজ্যে চমকপ্রদ ফল করার পর থেকেই; তৃণমূলের দল ভাঙানো জারি রেখেছে বিজেপি। ইতোমধ্যে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা; বিধায়ককে দলে নিয়েছে বিজেপি। আর এরপরই আরও বেশ কিছু তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে যাচ্ছেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল আন্দোলনের মাঝেই জন্ম নিল আর এক ছোট্ট আন্দোলন
সম্ভবত আজই; দিল্লিতে বিজেপি-র সদর দফতরে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন সুনীল। তাঁর প্রতি আস্থা ছিল না দলীয় নেতৃত্বেরও; তাই ভোট পরবর্তী সময়ে নোয়াপাড়া কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়িত্বও সুনীল সিংহকে দিতে রাজি হয়নি দল। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল নেতাদের আশঙ্কাই সত্যি হল।
সুনীলের বিজেপি যোগদানের সম্ভাবনা যে প্রবল; তা স্বীকার করে নিয়েছেন অর্জুন সিংহের পুত্র এবং ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংহও। তিনি বলেন; “আমিও শুনেছি উনি দিল্লি গিয়েছেন। হয়তো উনি বিজেপি-তেই যোগ দেবেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উনিই নেবেন; আমি কিছু বলতে পারব না”।
]]>তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে; ময়নার দেউলির নির্বাচনী জনসভায়; শেষ দিনে এসে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন; ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিপ্লব দেব। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে খোদ প্রধানমন্ত্রীই বলে গিয়েছেন; তৃণমূল নেতারা তলেতলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এবার এক কদম এগিয়ে গেলেন; ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
আরও পড়ুনঃ বুদ্ধ পূর্ণিমায় বাংলায় মন্দিরে, স্কুলে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ছক, মমতাকে জানাল কেন্দ্র
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ৪০জন তৃণমূল বিধায়ক; গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বিপ্লবের কথায় সেই সংখ্যা আরও বাড়ল।
শুক্রবার বিপ্লব দেব বলেন; বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক। তারা গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়িয়েই রয়েছেন। শুধু তাই নয় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারীও।
শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় প্রচারে এসে বিপ্লবের দাবি; তৃণমূলের একশোর বেশি এমএলএ তৈরি হয়ে বসে আছে। ২৩ মে ফল প্রকাশের পরে; দিদির পিছনে আর এমএলএ-রা থাকবে না। সব মোদীর পিছনে চলে যাবে। তখন দেখবেন আপনাদের শুভেন্দুবাবুও চলে যাবেন। আর এই ঘোষণার পরেই বিপ্লবকে পাগল বলে উল্লেখ করে; ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুনঃ ঘর, রাস্তা ও স্কুলের দাবিতে ভোট বয়কটে পুরুলিয়ার শবর গ্রাম
বিপ্লবকে বিঁধে শুভেন্দু এদিন বলেন; ওঁদের তো বাতানুকূল জীবন। তাই রোদে প্রচারে এসে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। উন্মাদের মতো কথা বলছেন। শুভেন্দুর কটাক্ষ; ২৩ মে-র পরে ওঁদের নিজেদের লুকোনোর জায়গা দেখতে হবে। বাকিদের কথা ভাবার সময়ই পাবেন না।
তারপরেই ২৩ তারিখ ভোটের ফল বেরোনোর পর; ১০০ জন বিধায়কের সাথে শুভেন্দুবাবু ও চলে যাবে বিজেপিতে; এই ঘোষণার বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। মানহানির মামলা দায়ের করতে চলেছেন তিনি। বিপ্লব দেব নিঃশর্তে ক্ষমা না চাইলে মামলা করবেন বলেই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের মধ্যেই বিপদে পড়লেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
]]>আরও পড়ুনঃ মোদীর উদ্বোধন করা সার্কিট বেঞ্চের ফের উদ্বোধন মমতার
২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিগত ২০ বছরের তুলনায় সবথেকে ভালো ফলাফল করে কংগ্রেস। গুজরাত বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে ৭৭টিতে জয়লাভ করে কংগ্রেস। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপিই। কিন্তু অন্যান্যবারের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ফল করলেও তার সাফল্য ধরে রাখা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি জওহর ছাবদা কংগ্রেসের ৪বারের জয়ী বিধায়ক, বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অন্য এক বিধায়ক পরশতম সাবারিয়াও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। সাবারিয়ার বিরুদ্ধে সেচ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল এবং তিনি সদ্য কোর্টের রায়ে জামিন পেয়েছেন। ভয় দেখিয়েই তাকে বিজেপিতে টানা হচ্ছে বলে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুল, জল্পনা তুঙ্গে
তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গুজরাতে কংগ্রেস নেতৃত্বের সংকটে ভুগছে, যার ফলে কংগ্রেসের জয়ী বিধায়করা নিজেদের দলের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। মুখে সরাসরি কংগ্রেসকে নিশানা না করলেও একজন দলত্যাগী বিধায়ক জানিয়েছেন, তার এলাকায় আরও বেশি উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ফাঁসি হওয়া জঙ্গি পুত্রের ভারতের সেরা ডাক্তার হবার স্বপ্ন
বিজেপি সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগেই আরও কিছু বিধায়ক বিজেপিতে সামিল হবেন। গুজরাতে কংগ্রেসের অন্যতম বড় মুখ দলিত নেতা অল্পেশ ঠাকুরও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। অল্পেশ ঠাকুর নিজের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই তিনি অনুন্নয়নের অভিযোগ এনেছেন।
আরও পড়ুনঃবৈশাখীর হাত ধরে বিজেপিতে শোভন, জল্পনা তুঙ্গে
বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেও লোকসভার আগে এইভাবে দলে ভাঙন ধরবে তা আশা করেনি রাহুলের কংগ্রেস। তবে এতে ভোটের ফলে কোন প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। তবে, লোকসভা ভোটের আগেই আরও বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কেবল অপারেটররা
গত ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গুজরাত থেকে একটিও আসন পায়নি। এবারের লোকসভা ভোট সন্নিকটে। বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা ভালো ফলাফল করলেও যেভাবে ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগেই একের পর এক বিধায়ক দলত্যাগ করছেন, তাতে আবার ধরাশায়ী হতে পারে কংগ্রেস, সাথে নিজভূমে পুনরায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারেন নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ মরে গিয়েও তৃণমূল বিজেপির হাত থেকে রেহাই পেলেন না বড়মা
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাথায় ভারতীয় সেনার টুপি
আরও পড়ুনঃ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল মোদীর ১০০ কোটির বাংলো
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>