আশঙ্কা ছিলই। কাঁচড়াপাড়ায় গেরুয়া শিবির মুখ্যমন্ত্রীকে ফের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান শোনাতে পারে। সূত্রের খবর ছিল; মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা ব্যানার; ফেস্টুন দেখাতে পারেন বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন: শয়ে শয়ে ডাক্তারের গণ ইস্তফা, তালা ঝুলবে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে
কল্যাণী থেকে কাঁচড়াপাড়া যাওয়ার রাস্তাতেও; বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দিতে পারে বলে খবর ছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে; চন্দ্রকোণা এবং নৈহাটির ঘটনার পর বিজেপি এই কৌশলই নিয়েছে। যাতে মুখ্যমন্ত্রী চটে যান; তাতেই গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল। দেখার বিষয় ছিল; শুক্রবার কী হয় কল্যাণী কাঁচড়াপাড়ার রাস্তায়।
কিন্তু এদিন নবান্ন থেকে হেলিকপ্টারে কাঁচড়াপাড়ায় যান মমতা। জয় শ্রী রামের ভয়েই মমতা আকাশ পথে গেছেন; দাবি বিজেপির। সময় নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতেই হেলিকপ্টারে জানিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল কাণ্ডে রাজ্যের জবাবদিহি চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
ভোটের আগে ওই এলাকায় গিয়ে নাম না করে মুকুল রায় এবং অর্জুন সিংকে; ‘দুই গদ্দার’ বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন দিদি। যদিও বীজপুরের বিধায়ক; মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় তখন তৃণমূলেই ছিলেন। এখন তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ফেলেছেন।
সঙ্গে কাঁচড়াপাড়া ও হালিশহর পুরসভার কাউন্সিলররাও সদলবলে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে; ওই এলাকার দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই শুক্রবার কাঁচড়াপাড়ায় সভা করতে যান যান মমতা।
আরও পড়ুন: মমতার হুঁশিয়ারির উপেক্ষা করে ডাক্তারদের পাশে বাংলার বুদ্ধিজীবীরা
ইতিমধ্যে মমতার সভার পাল্টা কর্মসূচিও নিয়েছে বিজেপি। শনিবার স্থানীয় আদর্শ সংঘের মাঠে সভা করবেন মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংরা। মমতার সভার পাল্টা বক্তব্য রাখবেন বিজেপি নেতারা।
এদিন কাঁচড়াপাড়ায় বাংলায় অশান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন মমতা। বললেন; “বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না; বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে”। তাঁর বক্তব্য, “সিপিএম নিজেই নিজেদের সাইনবোর্ড বানিয়েছে; তৃণমূল সাইনবোর্ড হবে না; আমাদের লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই”।
]]>বাকি আর মাত্র ১ দফার নির্বাচন। আগামী রবিবারেই শেষ লোকসভার ভোট। তারপরেই কার ভাগ্যে শিকে ছেড়ে; তা ২৩শে মে ভোট গননার মাধ্যমে ঠিক হবে। আর ফলাফল বের হলেই মানুষ নমো নমোর পরিবর্তে; উচ্চারণ করবে জয় ভীম, এক নির্বাচনী প্রচারে এমনই জানালেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী।
আরও পড়ুনঃ পুলিশি গাফিলতিতে দেড় মাস ধরে অকেজো বিদ্যাসাগর কলেজের সিসিটিভি
উত্তরপ্রদেশে বিএসপি-র এক জনসভায় মায়াবতী বলেন; ভোটের ফলাফল বের হলে আর নমো নমো উচ্চারিত হবে না। কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠিত হলে জয় ভীম উচ্চারিত হবে। জয় শ্রী রামের বদলে; মানুষ জয় শ্রী ভীম বলবে।
জনসভায় কংগ্রেসের ন্যায় স্কীমের কটাক্ষ করে মায়াবতী বলেন; এই ঘোষনার আদৌ কোনও ভিত্তি নেই। দারিদ্র্য দূরীকরণে কংগ্রেসের এই ঘোষনা; কোনও ফল দেবে না বলে জানান তিনি। মায়াবতীর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে; বেকারদের জন্য সরকারী ও বেসরকারী চাকুরীক্ষেত্রে স্থায়ী চাকুরীর ব্যবস্থা তিনি করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ বাংলা থেকে সরিয়ে রাজীব কুমারকে পাঠান হল দিল্লির স্বরাষ্ট্র দফতরে
কংগ্রেস, বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমস্ত প্রতিশ্রুতিকে; আই ওয়াশ বলে মন্তব্য করেন মায়াবতী। এই সমস্ত প্রতিশ্রুতিই মিথ্যা এবং ভোটের স্বার্থে বলা হচ্ছে; বলেই তিনি দাবি করেন। আচ্ছে দিনের আশা দেখিয়ে; তার পরিবর্তে মানুষের হয়রানি করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে হিংসা, বাংলায় ভোট প্রচার ১ দিন কমিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন
কংগ্রেস এই মুহূর্তে বেশিরভাগ রাজ্যেই ক্ষমতায় নেই। বিজেপিও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে; জমি হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা, জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে মোদী সরকার আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না বলেই; আশাপ্রকাশ করেন মায়াবতী।
এরপরেই তিনি বলেন, ভারতের মানুষ এবার জয় শ্রী রামের বদলে; জয় শ্রী ভীম বলবে। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর জোট হয়েছে। ৮০ সদস্য বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশই; ভারতের সিংহাসনে কে বসবে তা ঠিক করে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
]]>