আরও পড়ুনঃ আদালত নাক গলাবে না, শুক্রবারেই রিলিজ হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক
মোদীর সভার জন্য এবার চারটে আস্ত ট্রেন বুক করল বিজেপি। বুধবার ব্রিগেডের সভায় এইসব ট্রেনে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপির কর্মী, সদস্য ও সমর্থকরা আসবে বলে জানা গেছে। আর এই জন্য চারটি আস্ত ট্রেন বুক করে নিয়েছে বিজেপি, এমনটাই জানা গেছে। এক্ষেত্রে লালগোলা থেকে একটি, রামপুরহাট থেকে একটি, একটা ঝাড়গ্রাম ও একটা পুরুলিয়া থেকে ট্রেন আসবে।
আরও পড়ুনঃ জম্মু কাশ্মীরের জন্য আলাদা প্রধানমন্ত্রী, মোদী জবাব চাইলেন রাহুল ও মমতার কাছে
জানা গেছে, প্রায় ৫০ লাখ টাকায় বুক করা হয়েছে ওই চারটে ট্রেন। বুধবার সকালেই এই চারটি ট্রেনে লালগোলা, রামপুরহাট, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া থেকে ট্রেন এসে পৌঁছবে কলকাতায়। বাংলার রাজনীতিতে এর আগে ট্রেন বুক করে কর্মী, সদস্য ও সমর্থকদের আনার কথা শোনা যায়নি। বিজেপি সেই দিক থেকে রেকর্ড করল বলা যায়।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ৭ পর্বের ভোটে ঝড় তুলতে ১০ দিন জনসভা করবেন মোদী
কলকাতায় IRCTC বা রেলের দফতর থেকেই সরাসরি বুক করা হয়েছে এই ৪ টি ট্রেন। ৪ টি জায়গা থেকেই প্রতিটি ট্রেনে কমসেকম ৭-৮ হাজার করে মানুষ আসবেন ব্রিগেডে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। বিজেপির তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, তাঁরা বাস বুক করার চেষ্টা করেছিলেন আগে। কিন্তু শাসক দলের ভয়ে কেউ বাস দিতে চাননি। তাই বাসের চিন্তা ছেড়ে এবার রেল দফতর থেকে সরাসরি ৪ টে ট্রেনই বুক করে নিলেন বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুনঃ হিন্দু সন্ত্রাস উল্লেখ করে সংখ্যাগুরুদের অসম্মান করেছেন রাহুল, কটাক্ষ মোদীর
বাসের ভরসা নয়। এবার আর কোন রিস্ক না নিয়েই একেবারে আস্ত ট্রেন বুক করে নিয়েছে বিজেপি। ৪ টি জায়গা লালগোলা, রামপুরহাট, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া থেকে মঙ্গলবার রাতেই ছাড়ছে এই মোদী স্পেশাল ট্রেন। বুধবার সকালের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছাবে এই ৪ টি ট্রেন। আসতে পারবেন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী, সমর্থক। আর এই পরিকল্পনা করে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের, ‘দেখ কেমন দিলাম’ হাবভাব।
আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে হেলিকপ্টার পাচ্ছেন না মমতা, অভিযোগের তীর কেন্দ্রের দিকে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>রামচন্দ্রের জন্মস্থান অযোধ্যা থেকে শুরু করে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থান দর্শনের সুযোগ থাকছে এই ট্রেন যাত্রায়। ত্রেতা যুগে রামচন্দ্র অযোধ্যা ছেড়ে দন্ডকারণ্য হয়ে যে পথ ধরে লঙ্কায় পাড়ি দিয়েছিলেন, এবার জনসাধারণকে সেই পথই অনুসরণ করাবে এই বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেন।
আরও পড়ুনঃ সমালোচনার মধ্যেই রেকর্ড আয়ের লক্ষ্যে মোদীর ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’
ভারতীয় রেলের সূত্রে জানানো হয়েছে, একটি ট্যুরে মোট ৮০০ যাত্রী ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। দিল্লির সফদরজং স্টেশন থেকে মূল যাত্রাপথের শুরু। প্রাথমিক গন্তব্য হবে অযোধ্যা। সেখান থেকে পর পর নন্দীগ্রাম, সীতামারহি, জনকপুর, বারাণসী, প্রয়াগ, শৃঙ্গভার্ণপুর, চিত্রকূট, নাসিক, হাম্পি হয়ে সবশেষে পৌঁছবে রামেশ্বরম।
ভারতে এই ট্যুর হবে সর্বমোট ষোলো দিনের। তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে যাত্রা শেষ করবে এই ট্রেন। তার জন্য মাথাপিছু টিকিট মূল্য ধার্য করা হয়েছে ১৫,১২০ টাকা। যাত্রাপথে থাকা খাওয়া সহ স্টেশনের নিকটস্থ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘোরার যাবতীয় খরচ এই টিকিট মূল্যের মধ্যেই ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মুসলিম’ নাম বদলে ‘রামরাজ্য’ আনতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
ভারত ভ্রমণ শেষে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের ব্যবস্থাও থাকছে। তবে সেটা পর্যটকদের জন্য ঐচ্ছিক হিসেবে রাখা হয়েছে, যার জন্য যাবতীয় খরচের হিসেবও হবে আলাদা। শ্রীলঙ্কা ভ্রমনের জন্য রামায়ন এক্সপ্রেসের শেষ গন্তব্য রামেশ্বরম দর্শন করে চেন্নাই থেকে প্লেনে করে কলম্বো যাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে।
শ্রীলঙ্কায় মোট ৫ রাত ও ৬ দিনের ট্যুর। সেখানে কান্দি, নুরা ইলাইয়া, নিগম্বো প্রভৃতি স্থানে ভ্রমনের ব্যবস্থা থাকছে। তবে ভারত ভ্রমণ শেষে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে ইচ্ছুক পর্যটকদের জন্য মাথাপিছু গুনতে হবে ৪৭,৬০০ টাকা।
আরও পড়ুন: মোদীর ভারতে সর্দার প্যাটেলের রেকর্ড ভাঙবে ছত্রপতি শিবাজীর মূর্তি
ভারতীয় রেলের আশা, একই সাথে যেহেতু সকলের পক্ষে এতোগুলো দর্শনীয় স্থান ভ্রমনের সুযোগ হয় না, সেহেতু রেলের এই থিমভিত্তিক দর্শনের উদ্যোগে অতি সুলভেই বহু পর্যটক উপকৃত হবেন।
সফদরজং স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করলেও ‘শ্রী রামায়ণ এক্সপ্রেস’ এর যাত্রা শুরু অযোধ্যা থেকেই বলা যায়। শ্রীলঙ্কা ঘুরে শেষ আবার রামেশ্বরমেই। ঠিক যে ভাবে রাম লক্ষণ সীতা বনবাসে গিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কা যাঁরা যাবেন তাদের আলাদা ব্যবস্থা হিসাবে চেন্নাই থেকে কলম্বো প্লেনের ব্যবস্থা থাকছে।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ, লড়াই পিছিয়ে গেল
কংগ্রেস সহ বিরোধীরা এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, আসল কথা হল পর্যটনের নামে লোকসভা ভোটের আগে দেশকে রামের মাধ্যমে জুড়তে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কে না জানে, যে কোন নেতার চেয়ে, ‘রাম নাম’ অনেক বেশি ভোট আনবে নরেন্দ্র মোদীর ঝুলিতে।
তবে, এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি নেতারা। দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি-পুরাণ শিক্ষাই এই পর্যটনের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এখন, ভগবান রাম ও তাঁর রামায়ণ লোকসভা ভোটে বিজেপি ভোটব্যাঙ্কে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেটাই দেখার।
]]>