আরও পড়ুনঃ Budget LIVE: বিশাল ট্যাক্স ছাড়, মধ্যবিত্তের জন্য বড় ঘোষণা মোদী সরকারের
একনজরে দেখে নিন আজকের বাজেটঃ
# কর সংগ্রহ বেড়েছে ১২ লক্ষ কোটি টাকা। তাই মধ্যবিত্তদের কর ছাড় দেওয়া হল।
# ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের তুলনায় কর সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গত আর্থিক বছরে ১২ লক্ষ কোটি প্রত্যক্ষ কর আদায় হয়েছে। প্রত্যক্ষ করা ব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে। আমরা সেই টাকা সঠিক পরিকাঠামো তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনঃ LIVE: ৫ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত ট্যাক্স ছাড়, বড় ঘোষণা মোদী সরকারের
# ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে সম্পূর্ণ করছাড়ের প্রস্তাব। এককথায় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হল করছাড়ের উর্ধ্বসীমা। আগে ছিল ২.৫ লাখ টাকা। প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অন্যান্য সেভিংস এর দৌলতে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাবেন মধ্যবিত্তরা।
# স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন অর্থাৎ করযুক্ত আয়ের উপর কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৪০ হাজার থেকে বেড়ে হল ৫০ হাজার। ফলে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ছাড়। পরিবার পিছু খরচের ক্ষমতা বেড়েছে ভারতের।
# ২ কোটি টাকা স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে কর ছাড়। ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।
# ২০২০ পর্যন্ত নতুন বাড়ি কেনা বা তৈরি করলে, আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে। বাড়ি বিক্রির মাধ্যমে হওয়া আয়ের ক্ষেত্রে ২ বছর পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যাবে।
# ব্যাঙ্ক-পোস্ট অফিসে প্রাপ্ত সুদে কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে হল ৪০ হাজার
# টিডিএস কাটার ক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব
#তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ বেড়ে প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা করা হল।
# তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে
# প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ তিন লক্ষ কোটি টাকা
# ২০১৯-২০ তে রাজস্ব ঘাটতি ৩.৪ শতাংশ। আগামী বছর কমানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রকল্পের জন্য বাড়াতে হয়েছে, নাহলে তা ৩.৩ শতাংশ হল।
# আগামী ৮ বছরের মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখলেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গ স্পেশ্যাল কেস তাই গুরুত্ব দিয়ে ভোট করাবে নির্বাচন কমিশন
আরও পড়ুনঃ মমতার স্বরাষ্ট্র সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের এক রোহিঙ্গার
# কালো টাকা উদ্ধারে গত পাঁচ বছরে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে
# তার ফলে ১.৩ লক্ষ কোটি টাকা আয়করের আওতায় এসেছে
# নতুন রেল, কলকাতা বারাণসী কন্টেনার কার্গো পরিষেবা। রেল মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ।
# পাঁচ বছরে ১ লক্ষ ডিজিটাল ভিলেজ তৈরি করবে সরকার।
# ব্রডগেজ লাইনে গোটা দেশে আর কোনও রক্ষীহীন লেভেল ক্রসিং নেই।
# বাড়ি কেনা বা তৈরির ক্ষেত্রে জিএসটি কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে জিএসটি কাউন্সিলকে
# সিনেমার টিকিটে কর জিএসটি কমিয়ে ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব
# ব্যবসায়ীদের রিটার্ন এখন সম্পূর্ণ অনলাইন, সহজ ও সরল
# এক পদ এক পেনশনে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।
# প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট ৩ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বাড়ানো হল, সেনায় কর্মরতদের বেতন অনেকটা বাড়িয়েছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় কর্মরত সেনা জওয়ানদের অতিরিক্ত ভাতা।
আরও পড়ুনঃ বাগরি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চার্জশিট দিল পুলিশ
আরও পড়ুনঃ মোবাইলেই রাজনাথ সিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমুল কথা কাটাকাটি
# শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের বোনাসের পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার থেকে বেড়ে ৭ হাজার টাকা করা হচ্ছে। যাদের বেতন ২১ হাজার টাকার কম, তারা এই সুবিধা পাবেন।
# শ্রমিকদের পেনশন বেড়ে দ্বিগুণ হল, ১৫ হাজারের কম বেতনের শ্রমিকদেরও পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে।
# উজ্বলা যোজনার আওতায় ৬ কোটি রান্নার গ্যাস বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর পর্যন্ত ৮ কোটি পরিবারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।
# গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ পরিমাণ ১০ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা।
# উত্তর-পূর্বের জন্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বরাদ্দ ২১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, বরাদ্দ হয়েছে ৫৮১৬৬ কোটি টাকা
# রেলের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে
# গত পাঁচ বছরে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ১০ লক্ষ
# ইপিএফ-এর সদস্য হলে মিলবে ৬ লক্ষ টাকার বিমা
# সেনা বিভাগের কর্মী-অফিসারদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব
# ‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা’য় এক কোটি যুবককে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
আরও পড়ুনঃ বিরোধীদের অভিযোগ ও মমতা প্রশাসনের রিপোর্ট নিতে বাংলায় নির্বাচন কমিশন
আরও পড়ুনঃ কেবল টিভি দেখা নিয়ে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মানুষকে স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট
# ৯৯.৫৪ শতাংশ রিটার্ন পাশ করে দেওয়া হয়েছে
# জন ধন যোজনায় ৬৪ কোটি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে
# সিনেমা নির্মাতাদের জন্য সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু হবে
# অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা অবসরের পর মাসিক ৩ হাজার টাকা করে নিশ্চিত পেনশন পাবেন।
# কর্মরত শ্রমিকদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ আড়াই লক্ষ থেকে বেড়ে ৬ লক্ষ হয়েছে। ইএসআই সুবিধাভোগী শ্রমিকদের মাসিক সাহায্যের পরিমাণ ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করা হল।
# আগামী অর্থবর্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’য় ৮ কোটি গ্যাস কানেকশন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে
# অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের পেনশন ন্যূনতম ৩০০০ টাকা করা হল
# মাছ চাষে উৎসাহ বাড়াতে ও সাহায্য করতে তৈরি হবে পৃথক মৎস্য দফতর
# গো-রক্ষায় ‘রাষ্ট্রীয় গোকুল যোজনা’, বরাদ্দ ৭৫০ কোটি
# দুই হেক্টরের কম জমির মালিক কৃষকদের সাহায্য করতে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা’
# প্রান্তিক কৃষকদের বছরে ৬০০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে
# এই প্রকল্পে ১২ কোটি কৃষক পরিবার উপকৃত হবে
# ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে ১০ লক্ষ পরিবার উপকৃত হয়েছে
# হরিয়ানায় ২২তম এইমস প্রতিষ্ঠিত হবে
# ৩ লক্ষ কোটি টাকার অনাদীয় ঋণ উদ্ধার হয়েছে
# ২০১৮-১৯ সালে রাজস্ব ঘাটতি কমে হয়েছে ৩.৪
# এই সময়ে ২৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ এসেছে
# কৃষকদের আয় দ্বিগুণ বেড়েছে, কমেছে দুর্নীতি
# মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক কমেছে
আরও পড়ুনঃ নিয়ম মেনে ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে রাখা যায় রাতেও
আরও পড়ুনঃ জয় হিন্দ, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সোনার অক্ষরে লেখা ইতিহাস
# চাকরি ক্ষেত্রে উচ্চ বর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করেছে সরকার
# রাজস্ব ঘাটতি জিডিপি-র ২.৫ শতাংশ হয়েছে
# প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা নির্মাণ ৩ গুণ বাড়ানো হয়েছে
# প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গত চার বছরে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছে, যা আগের সরকারের চেয়ে প্রায় তিন গুণ
# একশো দিনের কাজে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব বাজেটে
# গোমাতার সুরক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছে কামধেনু যোজনা। পশুপালনে বরাদ্দ ৭৫০ কোটি টাকা।
# আলাদা মৎস্য মন্ত্রক তৈরি করছে সরকার। এবার পশুপালনের ক্ষেত্রেও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ পাওয়া যাবে। যে কৃষকরা পশুপালন এবং মৎস্যচাষের জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নেবেন তাদের ২ শতাংশ সুদে ছাড়।
আরও পড়ুনঃ জওহরলাল নেহেরুর গলায় মালা দিয়ে ৬০ বছর পরেও একঘরে ‘নেহেরুর বউ’
আরও পড়ুনঃ আম দরবারে প্রকাশ্যে মহিলার ওড়না ধরে টান কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর
# প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি নামের ঐতিহাসিক যোজনা আনছে সরকার। যাদের ২ হেক্টর পর্যন্ত জমি আছে তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি বছরে ৬ হাজার টাকা দেবে সরকার। কৃষকদের সহায়তার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা করে পৌঁছাবে। প্রায় ১২ কোটি কৃষক এই সুবিধা পাবেন।
# রাজ্যগুলিকে মোট আয়ের ৪২ শতাংশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
# বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা যোজনার আওতায় প্রায় ৫০ কোটি মানুষ পরিষেবা পাবেন। ইতিমধ্যেই গরিব, মধ্যবিত্তদের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ বেঁচেছে।
আরও পড়ুনঃ মাঠ দিল না রাজ্য, মোদীর সভা ও হেলিকপ্টারের জন্য ফসল ত্যাগ শিক্ষকের
আরও পড়ুনঃ কালামের নামে ছাত্রদের তৈরি হালকা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে নজির ভারতের
# পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনরা অধীনে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ঘর তৈরি করেছে সরকার।
# ১০০ দিনের কাজের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
# উচ্চবর্ণের সংরক্ষণের জন্য যাতে অন্য সংরক্ষণ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে ২ লক্ষ অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করা হবে।
# দেশে ২১৯ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে বিদেশি সংস্থাগুলি।
# মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে গতবছর ৩.৮ শতাংশ করা হয়েছে।
২০১৩-১৪ সালে বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম অর্থনীতি ছিল ভারত, কিন্তু আপাতত ষষ্ঠ স্থানে, বাজেট পেশ করে বললেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বাজেট শুরুর আগেই সংসদে বিক্ষোভ টিডিপি সাংসদদের। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়ুনঃ LIVE: ৫ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত ট্যাক্স ছাড়, বড় ঘোষণা মোদী সরকারের
ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বাজেট ঘোষণায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে সম্পূর্ণ কর ছাড়ের প্রস্তাব। এককথায় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হল কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা। এর আগে এই সীমা ছিল আড়াই লাখ টাকা। প্রভিডেন্ট ফান্ড, এলআইসি ও অন্যান্য সেভিংস এর দৌলতে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন মধ্যবিত্তরা। এরপর ষ্ট্যাণ্ডার্ড ডিডাকশন আরও ৫০ হাজার টাকা ধরলে মোট ৭ লাখ টাকা অব্দি আয়ে ইনকাম ট্যাক্স ছাড় পাবেন সাধারণ মানুষ।
৫ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত একবারে সম্পূর্ণ কর ছাড়। এছাড়াও ৮০সি তে বিনিয়োগে আরও দেড় লাখ ছাড় পাবেন আমজনতা। ফলে মোট সাড়ে ৬ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় পাছছেন। এরপর ষ্ট্যাণ্ডার্ড ডিডাকশন আরও ৫০ হাজার টাকা ধরলে মোট ৭ লাখ টাকা অব্দি আয়ে ইনকাম ট্যাক্স ছাড় পাবেন সাধারণ মানুষ।
এছাড়াও ২ কোটি টাকা স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে কর ছাড়। ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে। ২০২০ পর্যন্ত নতুন বাড়ি কেনা বা তৈরি করলে, আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে। বাড়ি বিক্রির মাধ্যমে হওয়া আয়ের ক্ষেত্রে ২ বছর পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যাবে।
বিরোধীদের অভিযোগ ভোটের দিকে তাকিয়েই এই ট্যাক্স ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই ট্যাক্স ছাড়ে দারুণ খুশি সাধারণ মধ্যবিত্ত ও বিশেষ করে চাকুরিজীবিরা। প্রায় ৩ কোটি মানুষ এই ট্যাক্স ছাড়ে উপকৃত হবেন বলেই জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তবে ভোটের আগে এই ঘোষণায় ছক্কা মারল মোদী সরকার, বলছে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহল।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>লোকসভা ভোটের আগে শেষ বাজেট মোদী সরকারের। অরুণ জেটলির অসুস্থতার জন্য লোকসভায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ভোটের আগে শেষ বাজেটে একাধিক জনমোহিনী প্রকল্প ঘোষণা।
বাজেট ঘোষণা সরাসরিঃ কৃষকদের আয় দ্বিগুন করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান যোজনা চালু করা হয়েছে। ছোট কৃষকদের জন্য বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে। ২ হেক্টর জমি আছে এমন সব কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। ২ হেক্টরের কম জমির মালিকদের সাহায্য করতে বছরে ৬০০০ টাকা করে দেবে কেন্দ্র। এই টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। ১২ কোটি কৃষক এর ফলে উপকৃত হবেন।
সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে গোয়েল এদিন দাবি করেন, জিডিপি বৃদ্বির হার বৃদ্ধি হয়েছে। বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ। উল্টো দিকে কমে গিয়েছে মূদ্রাস্ফীতির হার। এ ছাড়া গোয়েলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণের পরিমাণ তিন গুণ বেড়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির পরিমাণও বেড়েছে তিন গুণ।
রেলের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। যাত্রী নিরাপত্তার নিরিখে এটাই নিরাপদতম বছর। গত পাঁচ বছরে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ১০ লক্ষ। অপ্রচলিত শক্তির উৎস বাড়াতে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছে। ব্রডগেজ লাইনে সমস্ত রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং তুলে দেওয়া হয়েছে। ইপিএফ-এর সদস্য হলে মিলবে ৬ লক্ষ টাকার বিমা। সেনা বিভাগের কর্মী-অফিসারদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব।
ফসলের নুন্যতম সহায়ক মুল্য চালু করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার বরাদ্দ বৃদ্ধি। দেশে ২১৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে, যা সবচেয়ে বেশি আগে কোনোদিন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১.৫ কোটি বাড়ি তৈরি হয়েছে। মুদ্রা প্রকল্পে ১৫ লক্ষ্য কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে।
২০২১ এর মধ্যে দেশের সব মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। শিল্প শ্রমিকদের বোনাস বাড়িয়ে দ্বিগুন করা হল। অবসরের আগে মারা গেলে শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড দ্বিগুন দেওয়া হবে। শ্রমিকদের নুন্যতম পেনশন ১০০০ টাকা করা হল। শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের পরিমাণ ২.৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হল। গ্রাচুইটির পরিমাণ ১০ লক্ষ্য টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ্য টাকা করা হল।
‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা’য় এক কোটি যুবককে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী অর্থবর্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’য় ৮ কোটি গ্যাস কানেকশন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সংরক্ষিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের পেনশন ন্যূনতম ৩০০০ টাকা করা হল। মাছ চাষে উৎসাহ বাড়াতে ও সাহায্য করতে তৈরি হবে পৃথক মৎস্য দফতর।
বাজেটে গো-রক্ষায় নয়া প্রক্লপের ঘোষণাও করলেন পীযূষ গোয়েল। গো-প্রজনন এবং রক্ষণাবেক্ষণে এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হল। ‘রাষ্ট্রীয় গোকুল যোজনা’ নামে এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা। এছাড়া মাছ চাষে উৎসাহ দিতে এবং সাহায্য করতে আলাদা দফতর গঠন করার প্রস্তাবও দেওয়া হল অন্তর্বর্তী বাজেটে।
শ্রমিক পেনশনে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। প্রতিরক্ষা খাতে ৩ লক্ষ্য কোটি টাকা দেওয়া হল বাজেটে। এক পদ এক পেনশন প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। পশুপালনে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। ১২ লক্ষ্য কোটি টাকা প্রত্যক্ষ কর আদায় হয়েছে গত আর্থিক বছরে। আগামী ৫ বছরে ১ লক্ষ্য ডিজিটাল গ্রাম তৈরি হবে।
প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা ও আয়কর রিটার্ন ব্যবস্থা অনেক সহজ করা হয়েছে। রেল মানচিত্রে প্রথমবার যুক্ত হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ। ১ কোটি যুবককে জীবিকা অর্জনের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জন ধন যোজনায় ৬৪ কোটি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। উত্তর-পূর্বের জন্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বরাদ্দ ২১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, বরাদ্দ হয়েছে ৫৮১৬৬ কোটি টাকা।
‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে ১০ লক্ষ পরিবার উপকৃত হয়েছে। হরিয়ানায় ২২তম এইমস প্রতিষ্ঠিত হবে। ৩ লক্ষ কোটি টাকার অনাদীয় ঋণ উদ্ধার হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে রাজস্ব ঘাটতি কমে হয়েছে ৩.৪। চাকরি ক্ষেত্রে উচ্চ বর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করেছে সরকার। রাজস্ব ঘাটতি জিডিপি-র ২.৫ শতাংশ হয়েছে। একশো দিনের কাজে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব বাজেটে।
৫ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কোন ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে না। এলআইসি, সেভিংস সার্টিফিকেট জাতীয় কোন কিছু থাকলে আরও দেড় লাখ মানে ৬.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকামে ট্যাক্স দিতে হবে না। ভোটের আগে বড় ঘোষণা মোদী সরকারের। ২ কোটি টাকা স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে কর ছাড়। ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।
২০২০ পর্যন্ত নতুন বাড়ি কেনা বা তৈরি করলে, আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে। বাড়ি বিক্রির মাধ্যমে হওয়া আয়ের ক্ষেত্রে ২ বছর পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যাবে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে করছাড়ের প্রস্তাব। এককথায় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হল করছাড়ের উর্ধ্বসীমা। প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সেভিংস বিনিয়োগের দৌলতে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন মানুষ। মধ্যবিত্তরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আগামী এপ্রিল-মে মাসে দেশে লোকসভা ভোট। তার আগে এটাই বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। বাজেট পেশ করবেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অন্তর্বর্তী বাজেট বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গোটা বছরের বাজেটের মতোই হয়। ভোটের আগে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত মোদী সরকার এই বাজেটে ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ হবে আজ শুক্রবার। ভোটের মুখে জনমুখি বাজেট এর আশা মানুষের। আশঙ্কা কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির। বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতির ভাষণে আয়কর ছাড়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই পেশ হচ্ছে মোদী সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রায় পৌনে পাঁচ বছরের জমানায় পেশ হয়েছে পাঁচটি বাজেট। আগামী লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই পেশ হচ্ছে এই অন্তর্বর্তী বাজেট। ওই বাজেট যেহেতু নির্বাচন-মুখী, স্বাভাবিক ভাবেই কর ছাড়ের বহর বাড়তে পারে বলেই ধারণা করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গত সপ্তাহেই একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, মধ্যবিত্ত সম্পর্কে ধারনা পাল্টে দিতে হবে দেশে। এরপরই, মধ্যবিত্তের জন্য একাধিক পরিকল্পনা করে ফেলে কেন্দ্র। যার ঘোষণা হতে পারে মোদী সরকারের শেষ বাজেটে। সূত্রের খবর, মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে বিশেষ সুরাহা দিতে আয়করে অতিরিক্ত ছাড়ের ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
প্রশ্ন একটাই, আয়কর স্তরে কোনও পরিবর্তন আনবে কি বিজেপি সরকার? লোকসভা ভোটের মুখে এই নিয়েই আশায় বুক বাঁধছে আমজনতা। ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মুখ থেকে বড় কিছু ঘোষণা আশা করছে দেশের মানুষ। লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী। পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে ভোটের পর। ফলে ভোটের আগে বাজেটের মতো একটি ইভেন্টকে নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে ছাড়বে না মোদী সরকার, আশা মানুষের। আশঙ্কা বিরোধীদের।
জানা যাচ্ছে, আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ২.৫ লক্ষ্য টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩.৫ লাখ টাকা করতে পারে মোদী সরকার। ৮০সি ধারায় করমুক্ত সঞ্চয়ের সীমা ১.৫ লক্ষ্য টাকা থেকে বাড়ানো হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। গৃহঋণে কর ছাড়ের পরিমাণও বাড়াতে পারে মোদী সরকার, আশা মানুষের।
সূত্রের খবর, এবারের বাজেটে বেতনভূক মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে আয়করের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দিতে পারে সরকার। এছাড়া, জমায় ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে পেনশনভোগীদের জন্য করে ছাড় এবং গৃহঋণে সুদের হারে অতিরিক্ত ছাড়ের ঘোষণা হতে পারে বাজেটে। গত ৪ বছরে আয়করের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, করের স্ল্যাবও কমানো হয়েছে। ফলে একজন নাগরিক সর্বাধিক ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বছরে সাশ্রয় করতে পারছেন।
২০১৪ লোকসভা ভোটের আগে ২০১৪-র ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিলেন ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সে বছর জুলাইয়েই পূর্ণ বছরের বাজেট পেশ করেন অরুণ জেটলি। সূত্রের খবর, ভোটের কথা মাথায় রেখে আজকের অন্তর্বর্তী বাজেটে দেশের আপামর মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বাজেট ঢেলে সাজিয়েছে মোদী সরকার।
আর বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়ে আগামী লোকসভা ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যাবে ভোটের আগে ঠিক কতটা কল্পতরু হলেন নরেন্দ্র মোদী।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>