Indian Politicians – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Thu, 09 May 2019 07:58:17 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Indian Politicians – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 জনগণকে বোকা বানিয়ে নেহেরুর পরিবারতন্ত্রের পথেই দেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ https://thenewsbangla.com/indian-politicians-followed-the-path-of-jawaharlal-nehru-on-family-rules/ Wed, 08 May 2019 16:20:16 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=12623 মুখে নেহেরু পরিবারের তুমুল সমালোচনা; কিন্তু কাজে সবাই সেই পরিবারতন্ত্রেরই অন্ধ সমর্থক। এই বিষয়ে ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দলের ‘শিক্ষাগুরু’ সেই জওহরলাল নেহেরু। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। নেহেরু পরিবারকে সমালোচনা; অথচ ভারতে সবাই সেই পরিবারতন্ত্রের পক্ষেই।

পুরসভা থেকে রাজ্য হয়ে দেশ। নেহেরু পরিবারের মতই; সবাই চায় পরিবারতন্ত্র। মুখে কিন্তু নেহেরু পরিবারের তুমুল সমালোচনা। কারণ নেহেরু পরিবার; ভারতে পরিবারতন্ত্রের সূচনা করেছে। জওহরলাল নেহেরু; ইন্দিরা গান্ধী; রাজীব গান্ধী; সনিয়া গান্ধী; রাহুল গান্ধী; বংশপরম্পরায় কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্র চলেছে।

সেই পরিবারতন্ত্র এখনও চলছে। আর তার তুমুল সমালোচনা করে এসেছে; কংগ্রেস বিরোধী সব রাজনৈতিক দল। কংগ্রেসকে ‘নেহেরু-গান্ধী পরিবারের লিমিটেড কোম্পানী’; বলেছেন মোদী-অমিত শাহ। কিন্তু মুখে কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে বললেও; কাজে সেই জওহরলাল নেহেরুকেই অন্ধ অনুসরণ করছে ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল।

তেলেঙ্গানায়; তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির অবস্থা দেখুন। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-র মন্ত্রিসভার; একাধিক মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়। তাঁর প্রায় সব আত্মীয়ই বিভিন্ন পদের মাথায়। চন্দ্রশেখরের ছেলে কে রামা রাও; রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। রিগেশন, মার্কেটিং এবং লেজিসলেটিভ অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী; টি হরিশ রাও চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভাইপো। শুধু ছেলে ভাইপোই নন। মেয়ে কবিতাও সাংসদ। এছাড়াও আরও অনেক আত্মীয়কে; বিভিন্ন পদের মাথায় বসিয়ে নেহেরু-গান্ধী পরিবারের পরিবারতন্ত্রের সুযোগ্য বাহক তিনি।

মধ্যপ্রদেশের দিকে তাকান। একসময় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের পাশাপাশি; মধ্যপ্রদেশে যার বিরুদ্ধে ডাম্পার দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিল কংগ্রেস; সেই সঞ্জয় সিং মাসানিকে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সবচেয়ে বড় কথা; সঞ্জয় সিং মাসানি আর কেউ নন; খোদ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের শ্যালক।

এখানেও কংগ্রেসকে টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র পুত্র আকাশকে; টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। অটলবিহারী বাজপেয়ির ভাইপো অনুপ মিশ্রকেও; মধ্যপ্রদেশে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল গৌড়ের পুত্রবধূ কৃষ্ণাও; বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। রাজনৈতিক মহলে চর্চা; যে বিজেপি পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে; সেই বিজেপিই মধ্যপ্রদেশে একই কাজ করছে!

তবে নেহেরু গান্ধী পরিবারতন্ত্রকেও টেক্কা দিয়েছেন; বর্তমানের ‘নেতাজী’ মুলায়ম সিংহ যাদব। যাদব পরিবারের কর্তা প্রথম থেকেই সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি। সেই পদ এখন গিয়েছে ছেলের দখলে। মুলায়ম নিজে দুদফায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। এখন আজমগড়ের বিদায়ী সাংসদ। বড় ছেলে অখিলেশ যাদব; ২০০০ সালে কনৌজ থেকে প্রথমবার সাংসদ। এখন দলের জাতীয় সভাপতি ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

বড় বউমা ডিম্পল যাদব সাংসদ। ছোট ছেলে প্রতীক যাদব এর স্ত্রী অপর্ণা যাদবও বিধায়ক। বড় ভাই শিবপাল যাদব; একসময় রাজ্যের ডি-ফ্যাক্টো মুখ্যমন্ত্রী; সেচ এবং পুর্ত দফতরের মন্ত্রী থেকেছেন। মুলায়ম ও শিবপালের সব আত্মীয় স্বজনই এমএলএ বা এমপি হয়ে পরিবারতন্ত্রের ফসল।

বিহারে লালুপ্রাসাদ যাদবের পরিবারতন্ত্রের কথা; কে না জানে। স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করা; ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কমেডি বলেই মনে করা হয়। ছেলে, শ্যালক, মেয়ে মিশা ভারতী ছাড়াও আরও অনেক আত্মীয়; এমএলএ বা এমপি বা উচুঁ পদে। লালুর পরিবার নেহেরু-গান্ধী পরিবারের যোগ্য অনুসরণকারী।

জম্মু ও কাশ্মীরের মুফতি মহম্মদ সাঈদ-মেহবুবা মুফতি; ফারুক আবদুল্লা-ওমর আব্দুল্লা; মহারাষ্ট্রে বাল থাকারে-উদ্ধব থাকারে-আদিত্য থাকারে; প্রণব মুখোপাধ্যায়-অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়; মানেকা-সঞ্জয় গান্ধীর ছেলে বরুণ গান্ধী। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা; রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া; প্রমোদ মহাজনের মেয়ে। কাকে ছেড়ে কার কথা শুনবেন! প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম-পুত্র কার্তি পি চিদাম্বরম; প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা-ছেলে জয়ন্ত সিনহা; রাজ্যসভার সাংসদ মুরলী দেওয়ারা-ছেলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মিলিন্দ দেওয়ারা।

এনসিপি প্রধান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পাওয়ার-মেয়ে সুপ্রিয়া পাওয়ার; প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়া-ছেলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া; প্রয়াত নেতা রাজেশ পাইলট-ছেলে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সচিন পাইলট; প্রয়াত জিতেন্দ্র প্রসাদ-ছেলে জিনিত প্রসাদ; প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা অভিনেতা সুনীল দত্ত-মেয়ে প্রিয়া দত্ত।

প্রমোদ মহাজন-মেয়ে পুনম মহাজন। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সাহিব সিং বর্মা- ছেলে প্রবেশ। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং হুড্ডা-পুত্র দীপেন্দ্র। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-ছেলে গৌরব। শীলা দীক্ষিত-ছেলে সন্দীপ।

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন কুমার-ছেলে অভিষেক। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং-ছেলে রাজবীর। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল- ছেলে কুলদীপ। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতলা-ছেলে দুষ্মন্ত চৌতলা। রামবিলাস পাশোয়ান-ছেলে চিরাগ। কর্ণাটকে জনতা দল(সেকুলার) প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়া-তাঁর ছেলে এইচ ডি কুমারস্বামী এখন কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কর্ণাটকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস বাঙ্গারাপ্পা-মেয়ে গীতা শিবরাজকুমার। উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রীয় লোকদল প্রধান অজিত সিং-ছেলে জয়ন্ত চৌধুরি।

তামিলনাড়ুর করুণানিধি ও তাঁর পরিবার পরিবারতন্ত্রে; কোন অংশে নেহেরু-গান্ধি পরিবারের চেয়ে কম নয়। ওড়িশায় বিজু পট্টনায়েক পরিবার; পাঞ্জাবে অমরিন্দার সিং পরিবার; উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর ভাই-ভাইপো। উদাহরণ আরও আছে; আরও অনেক। ভারতে পরিবারতন্ত্রের এই গল্প শেষ হবার নয়। পরিবারতন্ত্রের ঘটনা লিখতে শুরু করলে; তা মহাভারত হয়ে যাবে। গোটা ভারতে সব রাজনৈতিক দলেরই একই হাল। জনগণকে গাধা বানিয়ে রেখে; চলছে সেই পরিবারতন্ত্রেরই পুনরাবৃত্তি।

বাংলার দিকে তাকালে সেখানেও সেই এক ইতিহাস। গানিখান চৌধুরী পরিবার যদি বাংলায় পরিবারতন্ত্রের শিক্ষক হয়; তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই শিক্ষায় শিক্ষিত। পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবার থেকে ‘ভাইপো’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়; মুকুল রায়-শুভ্রাংশু, মানস ভুঁইয়া-তাঁর স্ত্রী গীতা রানী ভুঁইয়া; সবই তো মমতার হাত ধরে।

এমনকি বিধানসভা লোকসভা আসনগুলোর পর; কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর পদগুলোকেও এবার কুক্ষিগত করে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেদিকেই তাকাবেন সেই পরিবারতন্ত্র। সে অরূপ-স্বরূপ-জুঁই বিশ্বাস বলুন বা একদম হালে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে জেতা মেয়র পারিষদ তারক সিং এর ছেলে অমিত সিং। ইতিহাস সেই এক; পরিবারতন্ত্র। কংগ্রেসের প্রিয়রঞ্জন-দীপা দাশমুন্সী বা বামেদের ক্ষেত্রে লক্ষণ শেঠ- তমালিকা পণ্ড শেঠ সেই পরিবারতন্ত্রেরই উদাহরণ।

এটাই সত্য যে, মঞ্চে উঠে নেহেরু-গান্ধী পরিবারের পরিবারতন্ত্রের কথা বললেও; প্রায় সব রাজনৈতিক দলই জওহরলাল নেহেরুর দেখানো পথেই হাঁটতে পছন্দ করে। আর সেই পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এই নেতাদেরই; ভাষণ শুনে আমরা হাততালিও দি। সেই হাততালিটা যে আমাদের বোকামোর জন্যই; সেটাই এখনও বুঝতে পারি নি আমরা। শিরদাঁড়াহীন ভারতবাসী; ‘রাম-দুর্গা-গরু-পাকিস্তান’ নিয়ে বোকার মত ব্যস্ত থাকা ভারতবাসী; আদৌ কি কোনদিন সেটা বুঝতে পারবে?

]]>
দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ https://thenewsbangla.com/shahid-jawans-and-irresponsible-politicians-of-india/ Mon, 18 Feb 2019 16:13:41 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=6962 ১৪ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা। এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শহিদ হন ৪৪জন সিআরপিএফ জওয়ান। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশবাসী। এই ক্ষোভের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আর সেই শোকের মহলেই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করে মানুষের ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন ভারতের রাজনীতিবিদরা।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় যুবরাজ হবার পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

কী বিচিত্র এই দেশ! কী বিচিত্র দেশের রাজনীতিবিদ! গত বৃহস্পতিবার থেকে ৪৪ জওয়ানের ভয়াবহ মৃত্যুর শোক পালন করছে এই দেশ। নৃশংস ও ভয়ানক সেই জঙ্গি হানায় কোনও মায়ের কোল খালি হয়েছে, কোনও স্ত্রী হারিয়েছেন তাঁর প্রিয়তমকে। কোনও সন্তান হয়ত এখনও বুঝে উঠতে পারেনি কী ঘটে গিয়েছে তার জীবনে। অথচ সেই শহিদ জওয়ানের অন্তিমযাত্রায় গাড়ি থেকে হাসি মুখে জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়লেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ।

দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ/The News বাংলা
দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ/The News বাংলা

এই নিয়েই শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। গত শনিবার উন্নাওয়ের রাস্তায় শহিদ জওয়ান অজিত কুমারের মরদেহ নিয়ে অন্তিমযাত্রায় সামিল হন হাজার হাজার মানুষ। সেই যাত্রাতেই একটি গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে হাসি মুখে সকলকে হাত নাড়তে দেখা যায় মহারাজকে। ঠিক যেন ভোটের প্রচারে বেড়িয়েছেন। তফাৎ একটাই, এবার শুধু সঙ্গে একজন শহিদ জওয়ানের পার্থিব শরীর।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানির

শহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলফন্স কান্নাথনমও। পুলওয়ামায় শহিদদের মধ্যে আছেন কেরলের এক জওয়ান বসন্ত কুমার। শনিবার ওই জওয়ানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কেরলে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী আলফন্স কান্নাথনম। জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানোর সময় বিজেপি নেতাকে শহিদ জওয়ানের দেহের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয় সেই ছবি তুলে তিনি নিজের ফেসবুকে পোস্টও করেন।

দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ/The News বাংলা
দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ/The News বাংলা

ফেসবুকে তিনি লেখেন, বসন্ত কুমারের মতো বীর জওয়ানের বলিদানের জন্যই দেশ নিরাপদে রয়েছে। সীমান্তে থেকে তারা দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দেয়। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই বিতর্ক বাধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হওয়ার পরেই সব মহল থেকে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতাকে আক্রমণ করে সবাই। বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হন মন্ত্রী। শহিদ জওয়ানের মৃতদেহের সামনেও কেউ সেলফি তুলতে পারে তা তিনিই দেখিয়ে দিলেন। তবে সেই পোস্টটি ভাইরাল হতেই কিছুক্ষণের মধ্যে তা তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ/The News বাংলা
দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ/The News বাংলা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো জুতো পরেই শ্রদ্ধা জানালেন শহিদদের। পালাম বিমানবন্দরে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জুতোটুকুও খোলার প্রয়োজন বোধ করলেন না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটাও জানেন না, যে ভারতে জুতো পরে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান হয় না। ছবি ভাইরাল হতেই দেশ জুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। যদিও আর্মি অফিসাররা কিন্তু জুতো পড়েই শেষ শ্রদ্ধা জানান, সেখানে জুতো খোলার কোন রেওয়াজ নেই।

আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনার বদলা, খতম পুলওয়ামা কাণ্ডে জড়িত দুই পাক জঙ্গি

শুধুই কি বিজেপি নেতারা? শহীদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চে নিজের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন রাহুল গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবিও। যা নিয়ে দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন তুলেছেন সেনাদের প্রতি রাহুল গান্ধীর মনোভাব নিয়ে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি বিমানবন্দরে শহীদ জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে একমনে মোবাইল চেক করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ/The News বাংলা
দেশরক্ষায় শহিদ জওয়ান আর দায়িত্বজ্ঞানহীন ভারতের রাজনীতিবিদ/The News বাংলা

আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ওই ছবিকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেস সভাপতিকে তুলোধোনা করছে বিরোধী শিবির। বিজেপি সাংসদ পরেশ রাওয়াল রাহুল গান্ধীর সেই ছবি তুলে ধরে টুইটও করেছেন। কংগ্রেস সভাপতির সেই ছবি ঝড়ের মত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিযায়। কেউ বলছে, এই ছবিই প্রমাণ করে দেয় দেশ তথা সেনার প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই কংগ্রেসের। কেউ কেউ আবার এই ঘটনার জন্য কংগ্রেস সভাপতির শাস্তিও দাবি করছে।

আরও পড়ুনঃ সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হানা, পাক জঙ্গিদের টার্গেটে এবার পাকিস্তানই

শহিদ জওয়ানদের মৃত্যু নিয়ে চলছে চরম রাজনীতি। চলছে কাদা ছোড়াছুঁড়ি। রবিবার অসমের লাখিমপুরে এক জনসভা থেকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দাবি করলেন, পুলওয়ামায় ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ানের আত্মবলিদান বৃথা যাবে না। কোনও মূল্যেই পাকিস্তানি জঙ্গিদের রেয়াত করা হবে না। কারণ কেন্দ্রে আছে বিজেপি সরকার। আগের কংগ্রেস সরকারের মতো এই সরকার আপোষের রাজনীতি করে না। লাখিমপুরে যুব মোর্চার সভায় কিন্তু পুলওয়ামার ঘটনা টেনেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ঠুকলেন আগের কংগ্রেস সরকারকে।

আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তা তুলে নিল মোদী সরকার

এদিকে নরেন্দ্র মোদীও ঘটনার পর থেকেই একের পর এক জনসভা করে যাচ্ছেন আর ভোট প্রচারের পাশাপাশি পাকিস্তানকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন। মোদীর উদ্দেশ্যে তোপ দেগেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আবার মমতাও দেশবাসীর মনোভাবের বিরুদ্ধে গিয়ে, বিজেপি বিরোধিতা করার জন্যই বলেছেন তদন্তের আগেই পাকিস্তানকে দোষী বলা ঠিক নয়। যখন পাকিস্তানে বসে মাসুদ আজাহারের জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে, তখনও পাকিস্তানকে ‘ক্লিন চিট’ মমতার।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার অনুমতি চাইল দেশের সেনা

একের পর জওয়ান মরলেও বামেরা শান্তি চায়। তারাও নেমেছে বিজেপি বিরোধিতায়। শিবসেনা আবার বালাসাহেব থ্যাকারের মত অনুযায়ী সব বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি মুসলিমকেই দেশ থেকে ভাগাতে চায়। বিরোধীদের অনেকেই নেমে পরেছেন বিজেপি বিরোধিতায়। ভোট সামনে বলে কথা! আবার বিজেপি সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করছে কংগ্রেসকে।

ভারত পাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে বললেই তাকে হেনস্থা করতে গোটা দেশেই সক্রিয় গেরুয়া বাহিনী। সেনাদের শহিদ বলা যাবে কিনা বা কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় বসা যাবে কিনা, সেই নিয়ে আবার ব্যস্ত কংগ্রেস ও বাম নেতারা। সব মিলিয়ে সুবিধাবাদীরা যে যার জায়গাতেই ঠিক দাঁড়িয়ে। শুধু ৪ দিনে অকালে ঝরে গেল দেশের প্রায় ৫০জন সেনা। আর সবকিছু যেমন ছিল তেমনই আছে। মেরা ভারত মহান। ধন্য ভারত, ধন্য ভারতের রাজনীতিবিদ।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আরও পড়ুনঃ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলা হবে জানিয়েছিলেন কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিক
আরও পড়ুনঃ পাক জঙ্গিদের খুঁজে বের করে মারতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিল মোদী সরকার
আরও পড়ুনঃ দেশ জুড়ে বদলার দাবি, কাউকে ছাড়া হবে না জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>