HR 2123 – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Sun, 14 Apr 2019 15:11:17 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg HR 2123 – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 ন্যাটো সহযোগীদের সমান মর্যাদা পাবে ভারত, সেনার হাতে আসবে আধুনিক অস্ত্র https://thenewsbangla.com/us-congress-bill-introduced-in-aims-to-put-india-on-par-with-nato-allies/ Sun, 14 Apr 2019 15:03:27 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=10843 ভারতকে ন্যাটো সহযোগীদের সমান মর্যাদা দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ সফল হলে ন্যাটো সহযোগীদের সমান মর্যাদা পাবে ভারত। আর এর ফলে ভারতের হাতে আসবে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র।

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্ক আরেক ধাপ উন্নীত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে আবার উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের একটি দল। আইনটি পাস হলে আর্মস এক্সপোর্ট কন্ট্রোল অ্যাক্টের জন্য ভারতকে ন্যাটোর একটি সহযোগী দেশ হিসেবে বিবেচনা করবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

আরও পড়ুনঃ ভোট বাজারে ফের খবরের শীর্ষে অনিল আম্বানি ও ফ্রান্সের রাফাল চুক্তি

গুরুত্বপূর্ণ এই আইন নিয়ে কাজ করছে ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম (ইউএসআইএসপিএফ)। ভারতের কাছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির বিষয়ে কাজ করছে ফোরামটি। আইনটি আবার উত্থাপনের মাধ্যমে ভারতের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে শক্তিশালী ইঙ্গিত দেওয়া হলো।

আরও পড়ুনঃ মোদীকে ভোট দিতে চাকুরী ছেড়ে ভারতে এলেন এই প্রবাসী ভারতীয়

চলতি সপ্তাহে ‘এইচআর ২১২৩’ নামে একটি বিল উত্থাপন করেন হাউজ অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য জো উইলসন। তিনি বলেন, ভারত বিশ্বের শীর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ এবং আঞ্চলিকভাবে স্থিতিশীলতার একটি স্তম্ভ। একই সঙ্গে দেশটি রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতির প্রতি জোরালোভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ বিজেপিকে হারাতে সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতি ভোট ভাগ না করার অনুরোধ মমতার

তিনি বলেন, মার্কিন আইনের সঙ্গে ভারতের সমন্বয়ের ফলে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের যে নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অংশীদারিত্ব আরো সমৃদ্ধ হবে। আমি মুকেশ আঘির নেতৃত্বাধীন ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের প্রতি কৃতজ্ঞ। গুরুত্বপূর্ণ এ আইনের প্রতি তাদের সমর্থন ছিল।

আরও পড়ুনঃ মাস্টার্স না করেই এম ফিল কীভাবে, রাহুলকে প্রশ্ন জেটলির

আইনটির মূল পৃষ্ঠপোষকদের একজন কংগ্রেস সদস্য অমি বেরা। তিনি মার্কিন কংগ্রেসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করা মার্কিন-ভারতীয় নাগরিক। অন্য পৃষ্ঠপোষকরা হলেন হাউজ অব ককাসের সহপ্রধান এবং কংগ্রেস সদস্য জর্জ হোল্ডিং, ব্র্যাড শেরমান, তুলসি গ্যাবার্ড ও টেড ইয়োহো।

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির জনসভায় মাছি মারার অবস্থা, চিন্তায় তৃণমূল নেতৃত্ব

ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার একটি স্বতন্ত্র প্রতিরক্ষা সম্পর্কের উল্লেখ করা হয়। সেখানে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদার’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। অ্যাক্টটিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের বিষয়ে বিশেষ বিবেচনার কথা বলা হয়। এছাড়া সামরিক বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের ক্ষেত্রে সহায়তা ও মনোযোগ বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুনঃ বিমানের সঙ্গে হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বহু

ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম জানায়, আইনটি জাতীয় নিরাপত্তাকে জোরদার করবে এবং প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একাত্মতা নিশ্চিত করবে। এ ধরনের পরিবর্তন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অর্জনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এবং দুই দেশের মধ্যে একটি স্থায়ী ভিত্তি গড়ে দেবে, যার মাধ্যমে উভয় দেশ এই বিশেষ প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে কাজে লাগাতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ ভোটবাজারে কলকাতায় কার্নিভ্যাল, কুমোরটুলি ফেস্টিভ্যালে মজেছে পুজোর দুনিয়া

ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মুকেশ আঘি বলেন, এ গুরুত্বপূর্ণ বিল আবার উত্থাপন করায় আমরা কংগ্রেস সদস্য জো উইলসনের নেতৃত্বের প্রশংসা করি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, মার্কিন কংগ্রেস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের এ আইনটি পাসে এগিয়ে আসবে। যেসব কংগ্রেস সদস্য ভারতের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের কৌশলগত অপরিহার্যতা বুঝতে পেরেছেন, তাদের কাছে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টিও বোধগম্য।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূল বিধায়ককে তুলে নিয়ে যাবার হুমকি বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জীর

ফোরামটির চেয়ারম্যান জন চ্যাম্বারস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ আইনটি একটি মাইলফলক হবে। ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এ পদক্ষেপকে সমর্থন করি। কারণ এ পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে জোরদার করবে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং আমরা আশা করছি আইনটি শিগগিরই পাস হবে।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>