Governor Keshari Nath Tripathi – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Fri, 14 Jun 2019 17:36:39 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Governor Keshari Nath Tripathi – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 হাসপাতাল কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তলব রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর https://thenewsbangla.com/chief-minister-mamata-banerjee-called-by-governor-keshari-nath-tripathi/ Fri, 14 Jun 2019 17:36:39 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13857 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করলেন; রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তবে মমতা যাবেন কিনা; তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন; “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সাড়া পাইনি। তিনি এলে কথা হবে”। আহত পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে শুক্রবার দেখতে যান রাজ্যপাল।

এদিন এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনকারী; জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে ছদফা দাবি পেশ করা হয়। তারা জানান; “মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস হাসপাতালে এসেই; ক্ষমা চাইতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন; আমরা পদবী দেখে চিকিত্সা করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর আলোচনা”।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে এসেই ক্ষমা চাইতে হবে, সাফ জানিয়ে দিল জুনিয়ার ডাক্তাররা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এন আর এস হাসপাতালে এসেই ক্ষমা চাইতে হবে; সাফ জানিয়ে দিল জুনিয়ার ডাক্তাররা। শুক্রবার সন্ধ্যার পর নবান্ন থেকে এন আর এস হাসপাতালের; আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিলেন ডাক্তাররা।

নবান্নে কয়েকজন সিনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করার পর; মুখ্যমন্ত্রী মমতা নবান্নে ডেকে পাঠান আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁর বার্তা নিয়ে সন্ধ্যার পর নবান্ন থেকে এন আর এস হাসপাতালে যান; রাজ্যের শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। কিন্তু তাঁর মুখের উপর পরিষ্কার না বলে দিলেন এন আর এস হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তাররা।

এই ইস্যুতে ইস্তাফা দিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে ২০০ জন; এনআরএস হাসপাতালে ১০৭ জন; আরজিকর হাসপাতালে ১০৮ জন; উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১৯ জন; ন্যাশান্যাল মেডিক্যাল কলেজে ৩৫ জন; মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫০ জন; মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৩৬ জন; বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২৪ জন; কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২৮ জন, এখনও পর্যন্ত তাদের ইস্তফাপত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এছাড়াও রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল থেকে; একের পর ডাক্তারের পদত্যাগপত্র পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যা অবস্থা; শনিবার থেকেই বাংলার সব সরকারি হাসপাতালে তালা ঝুলবে; বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এরপরেই উদ্যোগ নেন রাজ্যপাল।

মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি রাজ্যপাল; এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিলেন না জুনিয়ার ডাক্তাররা। অন্যদিকে রাজ্যপালের ডাকেও কি সাড়া দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী?

]]>
বাংলায় অশান্তি থামাতে এবার হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী https://thenewsbangla.com/keshari-nath-tripathi-west-bengal-governor-bjp-tmc-cpim-congress/ Wed, 12 Jun 2019 12:36:16 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13700 বাংলায় শান্তি পরিস্থিতি বজায় রাখতে ও অশান্তি থামাতে; হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলিকে; বিকেল ৪টেয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজভবনে। বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই বৈঠকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্যপাল; এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

দিনকয়েক আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে; বৈঠক করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই বাংলার উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে; রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। যদিও সেটা সৌজন্য বৈঠক; বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। তারপরেই এই সর্বদলীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন; কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির লালবাজার অভিযান ঠেকাতে কলকাতা পুলিশের ইলেকট্রিক শক

রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে; কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পরেই; এই বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন; “৩৫৬ ধারার জারি হতে পারে; দাবি উঠলে ভেবে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকার”। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ১২ জন মারা গিয়েছে; বলেও জানান রাজ্যপাল।

আরও পড়ুনঃ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল পুলিশ, বিজেপির লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার

যদিও সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন; ভোট পরবর্তী হিংসায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে সেটাকে বাড়িয়ে ১২ বললেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন; আমি রাজ্যপালকে শ্রদ্ধা করি; রাজ্যপালের ভাষণকে সম্মান করি না।

আরও পড়ুনঃ কড়া পুলিশ পাহাড়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লালবাজারে তিন মহিলা বিজেপি কর্মী

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন; “রাজ্যপাল ডেকেছেন, আমাদের দলের প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখা করবেন; কোনও অসুবিধে নেই”। বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারি করা উচিত কিনা এ প্রশ্নে অভিষেক বলেন; উত্তরপ্রদেশে ৩৫৬ ধারা কেন জারি করা হবে না? সেখানে বেশি জরুরি নাকি বাংলায় জরুরি?

এদিকে রাজ্যে অরাজকতা চলতেই থাকছে; হাসপাতালে ডাক্তারদের উপরে আক্রমণ থেকে শুরু করে; শাসক ও বিরোধীদলের দাঙ্গা চলছেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে সমস্ত দলকে নিয়ে বৈঠকে বসা জরুরি বলেই ম্নে করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের ডাকা বৈঠক খুবই তাত্পর্যপূর্ণ; বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

]]>
প্রয়োজন হলে পশ্চিমবঙ্গে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন, জানালেন রাজ্যপাল https://thenewsbangla.com/president-rule-in-west-bengal-if-needed-said-governor-keshari-nath-tripathi/ Tue, 11 Jun 2019 10:13:42 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13654 প্রয়োজন হলে বাংলায় জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন; পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির এই মন্তব্যে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি বাংলায় জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন? উঠে গেছে প্রশ্ন।

নির্বাচন পরবর্তী হিংসা ক্রমেই বেড়ে চলেছে বাংলায়। এই অবস্থা চলতে থাকলে অবিলম্বেই রাজ্যে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন; এক সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে; এরকমই জানান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন; রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। রাজ্যপাল জানান, পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের সঙ্গে বিরোধী দলের কর্মীদের সংঘর্ষ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, পরিস্থিতি সেরকম হলে; কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতেই পারে। যদিও তারপরেই তিনি দাবি করেন; রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনও কথা হয়নি।

পরিস্থিতি লাগাতার অশান্তির দিকে এগিয়ে চলেছে। মানুষ খুন, অশান্তি এখন নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ; শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে; গুন্ডাবাহিনী পুরো এলাকায় তান্ডব চালায়। যাতে ৩ জন বিজেপি কর্মী খুন হয় এবং অনেকে এখনও নিখোঁজ।

এরপর থেকে লাগাতার; রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তীব্র হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সর্বত্র; রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ডায়মন্ড হারবারের পর সন্দেশখালি থেকে হিন্দুদের পালানর ঘটনা সামনে এসেছে।

সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যপালকে তলব করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে; দিল্লী উড়ে গেছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্য সরকার চাইলেই; এমন হিংসাকে আটকাতে পারে। কিন্তু পুরো পরিকল্পনা মাফিক অশান্তির ঘটনাগুলো ঘটছে।

অমিত শাহের সঙ্গে মিটিং হওয়ার পর; কেশরীনাথ ত্রিপাঠি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রশ্নকে এড়িয়ে গেছিলেন। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন; আমার যা জানানো উচিত ছিল তা জানিয়ে দিয়েছি; এবার সিদ্ধান্তগ্রহণ ওনাদের হাতে।

তবে সেই সময় সাংবাদিকদের প্ৰশ্ন এড়িয়ে গেলেও; রাজ্যপাল এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের কাছে বড় মন্তব্য করেছেন। রাজ্যপাল বলেছেন, এইভাবে অবস্থার অবনতি হলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতেই পারে। রাজ্যপাল বলেন, আমি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে; বৈঠকে কোনো আলোচনা করিনি। কিন্তু যদি পরিস্থিতি বিগড়ে যায় তবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতেই পারে।

]]>