Dogs roaming – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Wed, 16 Jan 2019 06:50:58 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Dogs roaming – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন https://thenewsbangla.com/dogs-roaming-around-in-govt-hospitals-administration-cant-avoid-liability/ Wed, 16 Jan 2019 06:13:43 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=5692 কলকাতা থেকে বর্ধমান। শিলিগুড়ি থেকে পুরুলিয়া। সব সরকারি হাসপাতালেই কুকুর বেড়ালের দাপট। ওয়ার্ড থেকে অপারেশন থিয়েটার, ডাক্তারদের চেম্বার থেকে নার্সিং হস্টেল, অবাধ যাতায়াত কুকুর বেড়ালদের। রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন হাসপাতালে কুকুর কামড়ের শিকার, বেড়ালের খাবার খেয়ে নেওয়ার সমস্যায় পরছেন অনেকেই। ডাক্তার থেকে নার্স, রোগীর আত্মীয় থেকে নার্সিং ছাত্রী সবাই। বারবার বলেও কোন কাজ হয় নি। এনআরএস কান্ডে ১৭টি কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পর আসল বিষয়টি আবার সবার সামনে এসেছে।

আরও পড়তে পারেন: নৃশংসভাবে কুকুর বাচ্চা খুনে দুই নার্সিং ছাত্রী গ্রেফতার, নজরে আরও কয়েকজন

কলকাতার এনআরএস, এসএসকেএম বা আরজিকর হোক আর বর্ধমান, পুরুলিয়া, হুগলি বা মুর্শিদাবাদ হোক। সরকারি হাসপাতালের ছবিটা একেবারে এক। ওয়ার্ডে রোগীর শয্যার নীচে দিব্যি হুটোপাটিও চলছে ওদের। গোটা হাসপাতালে জুড়ে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য কুকুর ও বেড়াল। সমস্যায় মানুষ। মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর-বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসনও। কুকুর হত্যায় অপরাধ করেছে নার্সিং ছাত্রীরা। কিন্তু সব দোষ কি তাদের?

আরও পড়তে পারেন: সপ্তশৃঙ্গর পর সপ্ত আগ্নেয়গিরি, বিরল বিশ্বরেকর্ডের চূড়ায় বাঙালি

মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন/The News বাংলা
মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন/The News বাংলা

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কুকুরছানাদের মেরে ফেলার ঘটনায় চারদিকে যখন তোলপাড় চলছে, তখন শহর ও রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ঘুরে প্রায় এক ছবিই দেখা গেছে। যা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, কুকুর-বেড়ালের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে প্রায় কোথাও কর্তৃপক্ষের কোনও তৎপরতা বা নজরদারি নেই। বেলেঘাটা আইডি হোক বা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এসএসকেএম বা আরজিকর চারপেয়েদের জন্য সবসময় অবারিত দ্বার। এমনকি, বিতর্কের এনআরএস হাসপাতালেও এখনও কোনও পরিবর্তন নজরে পড়েনি।

আরও পড়তে পারেন: সুপ্রিম কোর্টেও মমতার হাতে আটকে গেল মোদীর গেরুয়া রথ

ঘটনার কেন্দ্রস্থল এনআরএস হাসপাতালে গেলে মনে হতেই পারে এটা পশু হাসপাতাল না মানুষের হাসপাতাল? কুকুর-বিড়ালে ছয়লাপ গোটা হাসপাতাল। নার্স হস্টেল থেকে ডাক্তারের চেম্বার হয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড। রাজার মত ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর ও বিড়ালরা। ঢুকে যাচ্ছে ক্যান্টিনে। ডাক্তার, নার্স ও রোগীর আত্মীয়দের কামড়ানোটাও বেশ স্বাভাবিক। গত কয়েক মাসে প্রায় ৩৫জনকে কুকুরে কামড়েছে এই হাসপাতালে, অভিযোগ এমনই।

আরও পড়তে পারেন: মন্দিরে ঢুকে বিপ্লবের শাস্তি, পিটিয়ে বৌমাকে হাসপাতালে পাঠাল শাশুড়ি

মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন/The News বাংলা
মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন/The News বাংলা

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবার রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগে ঘোরাফেরা করছে বেড়ালছানারা। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গেলে দেখা যাবে, রোগীর শয্যার পাশেই অবাধে হেঁটে বেড়াচ্ছে বেড়াল। রোগীরা জানালেন, দুপুরে খাবার নিতে যাওয়ার সময়েও কয়েকটি বেড়ালছানা পায়ে পায়ে ঘুরতে থাকে। সুযোগ পেলেই মুখ দেয় খাবারে।

আরও পড়তে পারেন: ভোটের আগে মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে মোদী সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট

ন্যাশনাল মে়ডিক্যাল কলেজেও কুকুরের দাপট। হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতেই তারা দৌড়তে শুরু করে। সার্জারি আর স্ত্রী-রোগ বিভাগের একতলায় তাদের অবাধ যাতায়াত। রোগীর পাশে অবাধে বেড়াল ঘুরে বেড়ায়। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, বেড়ালের জন্য এক মুহূর্তও খাবার ফেলে রাখার উপায় নেই। রয়েছে প্রচুর কুকুর।

মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন/The News বাংলা
মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন/The News বাংলা

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা এসএসকেএম সহ কলকাতার সব হাসপাতালেই এখন চিত্রটা প্রায় এক। হাসপাতালের ঢোকার গেট থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ড, ক্যান্টিন বা হস্টেল, সব জায়গাতেই কুকুর বেড়ালের দাপট। অভিযোগ হয়েছে, কাজ কিছুই হয়নি। সমস্যা সেই একই থেকে গেছে।

আরও পড়তে পারেন: শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা

আমাদের প্রতিনিধিরা মঙ্গল ও বুধবার রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে যান। বর্ধমান, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, হুগলি, ২৪ পরগনা, শিলিগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ সব সরকারি হাসপাতালেই কম বেশি এই সমস্যা রয়েছে। বারবার বলেও কোন সমাধান হয় নি কোথাও। ডাক্তার নার্সরা বা রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর কাছে অভিযোগ করেছেন বারবার। কোথাও কোথাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগও জানিয়েছেন পুরসভার কাছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয় নি।

ভয়াবহ নৃশংসতার নজির, হাসপাতালে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে ১৭টি কুকুরকে/The News বাংলা
ভয়াবহ নৃশংসতার নজির, হাসপাতালে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে ১৭টি কুকুরকে/The News বাংলা

সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের পরিজনদের অনেকেরই অভিযোগ, ওয়ার্ডে বেড়াল-কুকুর ঘুরে বেড়ালেও তাদের তাড়ানোর কোনও চেষ্টা হয় না। রোগী শৌচালয়ে গেলেই তারা ফাঁকা বিছানাও দখল করে নেয়। এমনকি, খাবারের থালাতেও মুখ দেওয়ার চেষ্টা করে। অনেক হাসপাতালেই অনেক সময়ে রোগীদের লাঠি হাতে বসে থাকতে হয়। কিন্তু কোনও হাসপাতালই এই সমস্যা নিয়ে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করে না।

আরও পড়তে পারেন: বাংলায় ক্ষোভ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াচ্ছে মোদী সরকার

হাসপাতাল কর্তাদের অবশ্য দাবি, হাসপাতাল চত্বর থেকে কুকুর-বেড়াল সরানোটা খুব জটিল বিষয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, যে এলাকা থেকে কুকুর নিয়ে যাওয়া হবে, নির্বীজকরণের পরে পুরসভাকে আবার সেই এলাকাতেই কুকুরটিকে রেখে যেতে হবে। তাই কুকুরের উপদ্রব বাড়লে পুরসভাকে খবর দেওয়া হয়। পুরসভা হাসপাতাল চত্বর থেকে কুকুর ধরে নিয়ে যায়। তার পরে নির্বীজকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফের হাসপাতাল চত্বরেই ফিরিয়ে দেয়।

মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন/The News বাংলা
মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন/The News বাংলা

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, হাসপাতাল চত্বরে কুকুর-বেড়ালের উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। আর কুকুরদের অন্যত্র সরানো নিয়ে আইনি জটিলতা থাকায় সেই কাজ বিশেষ এগোয়নি।

আরও পড়তে পারেন: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে এক হিন্দু নারী

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, হাসপাতাল চত্বরে উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলা বন্ধ করলেই সমস্যা মিটবে। অনেক সময়ে হাসপাতালের কর্মীরাও ওদের খাবার দেন। তাই তারা হাসপাতাল ছেড়ে যেতে চায় না। শুধু প্রশাসনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। নার্সিং কলেজ ও হস্টেলগুলিতেও কুকুর বেড়ালদের খাবার দেওয়া হয়, ফলে ওখান থেকে জেতে চায় না পশুরা।

আরও পড়তে পারেন: এক মন্ত্রীর হাত থেকে দায়িত্ব কেড়ে অন্য মন্ত্রীকে দিলেন মমতা

“মারা যাবে না, তাহলেই ফাঁসতে হবে মামলায়, দেখছেন না কি হল এনআরএস হাসপাতালে”, বলছেন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরা। তবে এই নিয়ে একেবারে স্পিকটি নট রাজ্যের পুরসভাগুলি। কারণ তাদের কারোর কাছেই কুকুর নির্বিজকরনের তেমন কোন ব্যবস্থাই নেই। থাকলেও কোনদিন তা ব্যবহার করা হয় না। ফলে কুকুর বেড়াল রাজ চলছে রাজ্য সরকারি হাসপাতাল জুড়ে।

আরও পড়তে পারেন:

মমতার বাছাইয়ে কারা হবেন বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী

একদিনে বহিষ্কৃত দুই তৃণমূল সাংসদ, দিদিকে ছেড়ে মোদীর দলে আর কে কে

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>