Dining Room Circular – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Sat, 29 Jun 2019 06:05:42 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Dining Room Circular – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 মুসলিম স্কুলে খাবার ঘর, বিতর্কের জেরে সার্কুলার প্রত্যাহার করে নিলেন মমতা https://thenewsbangla.com/dining-room-in-muslim-schools-mamata-withdraw-circular-after-controversy/ Sat, 29 Jun 2019 06:05:42 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=14679 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নতুন ফরমান; মুসলিম অধ্যুষিত স্কুলে বানাতে হবে ডাইনিং হল। মিড ডে খাবার জন্য; এবার মুসলিম ছাত্র ছাত্রীরা পাবেন ডাইনিং হল। গত ২৫ তারিখে নবান্ন থেকে জারি হয়েছে; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই নতুন সার্কুলার। বাংলার যে যে স্কুলে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের পরিমাণ ৭০ শতাংশ বা তার বেশি; সেই সব স্কুলে বানাতে হবেল একটি করে ডাইনিং হল বা খাবার ঘর।

খাবার ঘর পাবে স্কুল ছাত্র ছাত্রীরা? কিন্তু কেন এমন ঘোষণা? রাজ্যের যেসব স্কুলে মুসলিম ছাত্র ছাত্রীদের পরিমাণ ৭০ শতাংশ বা তার বেশি; শুধু সেখানেই তৈরি হবে এই ডাইনিং রুম। কিন্তু যেখানে হিন্দু ছাত্র ছাত্রীর পরিমাণ বেশি; সেখানে কেন স্কুলে স্কুলে ডাইনিং রুম হবে না? রাজ্য জুড়ে উঠে যায় অস্বস্তিকর প্রশ্ন।

সরকারি বা সরকারি সাহাজ্যপ্রাপ্ত মুসলিম ছাত্র ছাত্রী বেশি থাকা স্কুলে; ডাইনিং হল নির্দেশিকা নিয়ে ঘরে বাইরে প্রবল বিতর্কে রাজ্য সরকার। আর সেই বিতর্কের জেরে এবার নির্দেশিকাটি প্রত্যাহার করল নবান্ন। মুসলিম তোষণ নিয়ে হইচই হওয়ার পর; খোদ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিকাটি নিয়ে ক্ষুব্ধ। মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন; হিন্দু-মুসলিম দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। একইসঙ্গে তাঁকে না জানিয়ে নির্দেশিকা জারি করায়; বিস্মিত সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁকে অন্ধকারে রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে; বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের দায়িত্বেও রয়েছেন; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিস্ময়প্রকাশ করে বলেছেন; “আমি জানতামই না। আমি মন্ত্রী অথচ আমায় না জানিয়ে সার্কুলার বের করে দিল”। এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। .

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন; সংখ্যালঘু উন্নয়নে টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা কাজে লাগাতে হয়। মেনে চলতে হয় কেন্দ্রের নির্দেশিকাও। কিন্তু যাই হোক না কেন; এই ধরনের নির্দেশিকার কোনও অর্থ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে; নির্দেশিকাটি প্রত্যাহার করে নেয় সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর।

ওই নির্দেশিকাটি প্রকাশ্যে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ টুইট করেন, ধর্মের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে কেন? বিভেদের পিছনে কি দুরভিসন্ধি রয়েছে?

]]>