জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসা ছড়ানোর পর; যখন পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করে; ঠিক সেসময় থেকেই বেপাত্তা ছিল ফরিদ। তার খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়; দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। এরপর তমলুকে ফরিদের কাকার বাড়ি থেকে; ফরিদকে গ্রেফতার করা হয়। এদিনই তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে খবর,ফরিদ শেখ ওরফে নিতু; উসকানিতে মদত দিয়েছিল।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে, হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে; দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় হিংসা ছড়ানোর ঘটনা ঘটে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। একটি গোষ্ঠীর দাবি ছিল; শোভাযাত্রা চলাকালীন স্থানীয়রা ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে। অপর গোষ্ঠীর আবার দাবি ছিল; শোভাযাত্রা থেকেই স্থানীয় দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়। মসজিদে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দিল্লি পুলিশ।
এর আগেও, দিল্লির হিংসার ঘটনায় সামনে আসে বাংলা যোগ। ধৃত মহম্মদ আনসার দিল্লির বাসিন্দা হলেও; হলদিয়ায় তাঁর বাড়ি রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বছরে এক-দুবার এখানে আসে আনসার। এরপরেই মহিষাদল থানায় আসে; দিল্লি পুলিশের একটি দল; গ্রেফতার করে আনসারকে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, আনসার-সহ ধৃত ৫ জনের বিরুদ্ধে; জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আনসার। ধৃতদের মধ্যে আরও ৫ জনের সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ রয়েছে কি না; তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী হিংসায় মূল অভিযুক্ত আনসার শেখ তৃণমূল নেতা; এমনটাই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুর দাবি, ‘২ মে ভোটে জেতার পর আমি যখন সার্টিফিকেট নিতে যাই; তখন যারা আমার গাড়িতে পাথর ছুঁড়েছিল; তার মধ্যে ২ জন দিল্লিতে হিংসা কাণ্ডে ধরা পড়েছে তারা ছিল। শুভেন্দু বলেন; “পশ্চিমবঙ্গ জ-ঙ্গি সাপ্লাই দিচ্ছে”। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতারা।
]]>