আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘সরকারি’ সন্ধি মমতার
টয় ট্রেনের নতুন সান্ধ্যকালিন সফরটি যাতে পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় সেই বিষয়ে জোর দিতে সব কিছু খতিয়ে দেখতে টয় ট্রেনে সফর করল ট্যুর ও ট্রাভেলস অপারেটারদের একটি প্রতিনিধি দল। এরপর ‘খেলনা গাড়ির’ সান্ধ্যকালিন সফর তাঁদের প্যাকেজের মধ্যে আনতে উৎসাহ প্রকাশ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ শুধু দিনে নয় দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যের টয় ট্রেন এবার সন্ধ্যাবেলাতেও
একদিকে এনজেপি থেকে দার্জিলিংয়ে প্রতিদিন দার্জিলিং হেরিটেজ তকমা পাওয়া ঐতিহ্যের টয় ট্রেন মাঝে মধ্যেই নানা কারনে বন্ধ থাকে। তার ওপর গত রবিবার নতুন আর একটি খেলনা গাড়ি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে স্বল্প দুরত্বের একটি সফর চালু করে ডিএইচআর। কিন্তু শুরুতেই অধিক ভাড়ার কারনে যাত্রীর অভাবে খেলনা গাড়ি খেলনা হয়েই থেকে যায়।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরেই আটকে রইল বিজেপির রথ যাত্রা
রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়িটির উদ্বোধন হওয়ার পর রেলের আধিকারিকদের নিয়ে শুধুমাত্র ওই দিনটিতেই গাড়িটি শিলিগুড়ি জংশন থেকে মংপু ও মংপু থেকে শিলিগুড়ি জংশন এসে আর চাকা ঘোরে নি। এই সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে গাড়িটিকে পর্যটকদের প্যাকেজের সাথে নিয়ে আসা যায় কিনা ও ভাড়া ও টিফিনের আর কতটা কি করা যায় তা দেখতে ১৬জনের একটি প্রতিনিধি দল শিলিগুড়ি জংশন থেকে গাড়িতে চেপে মংপু যান।
আরও পড়ুনঃ ৫ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, উৎসবের সময় চরম সমস্যায় আমজনতা
আর তখনই দ্বিতীয়বার ট্রেনের চাকা ঘোরে। এদিন ট্যুর ও অপারেটারদের মধ্যে এথোয়া, এনজেপি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস অ্যাসোসিয়েশান ও হিমালয়ান হসপিটালিটি টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের একটি দল সান্ধ্যকালীন টয় ট্রেন সফরে যান। এথোয়ার পক্ষ থেকে সৌম ঘোষ বলেন, সাধারনত পর্যটকদের শিলিগুড়িতে বিকেলে হংকং মার্কেট ছাড়া দেখার কিছু থাকে না। তাই শিলিগুড়ি থেকে মংপু পর্যন্ত এই সফরে যাওয়াটা প্যাকেজের সাথে রাখা যায় কিনা তা এদিনের সফরের পর রেল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে
তাছাড়া তিনি এদিন স্বীকার করেন যে পর্যটকদের কাছে না হলেও স্থানীয়দের কাছে ভাড়াটা একটু বেশীই। তাই ছুটির দিনগুলি ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিনে যাতে ভাড়াটা ৫০০টাকা থেকে ৬০০টাকায় কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে কথা বলবেন। পাশাপাশি মংপুতে ট্রেনটি পর্যটকদের ইচ্ছানুসারে যাতে দাঁড়ায় সে বিষয়টিও দেখা হবে। ট্রেন ছাড়র নির্দিষ্ট সময় থাকলেও ফেরার সময়টা নির্দিষ্ট না রাখার পক্ষপাতি তিনি।
এদিকে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্টের জয়েন্ট সেক্রেটারী তাপস সাধন রায় টয় ট্রেন সফর সেরে জানান, ভাড়াটা খুব একটা বেশি বলে মনে হল না। কেননা এই স্বল্প সময়ের সফরে যে সব খাবারগুলো দেওয়া হল তাতে রেলের লাভ তেমন একটা নেই। তবে বেশ কিছু প্রপোজাল রেলকে তাঁরা আগামীতে বৈঠক করে জানাবেন বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
সেগুলো হল খাবার পর সেই প্যাকেটগুলো ফেলার জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থা, বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা ও একটা মিউজিক সিস্টেমের ব্যবস্থা। যেখানে টয় ট্রেনের ইতিহাসগুলো ও কোন স্টেশানে এল ও তার বিশেষত্বগুলি কি সে বিষয়ে জানানো। এদিন তিনি সান্ধকালিন এই টয় ট্রেন সফরের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন আমরা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের পক্ষ থেকে সব সময় চাই পর্যটকরা পাহাড় ও ডুয়ার্সের পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও দুএকটি রাত থাকুক। সেদিক দিয়ে বিচার করেন ঐতিহ্যের এই টয় ট্রেন সফর বেশ উপযোগি।
]]>আরও পড়ুনঃ যুবভারতীতে ইতিহাস অ্যালেসান্দ্রোর ইস্টবেঙ্গলের, শাপমোচন ৩৩ মাস পর
দার্জিলিং-এ আগত পর্যটকদের গোধুলি লগ্নের অপরূপ পাহাড়ি দৃশ্যকে প্রত্যক্ষ করাতে রবিবার থেকে শুরু হল দার্জিলিং-এর ঐতিহ্যের টয় ট্রেনের সান্ধ্যকালিন পরিষেবা। আর এই পরিষেবা শুরু হওয়ায় এবার থেকে দিনের উজ্জ্বল আলোর পাশাপাশি, সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতেও পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে সান্ধ্যকালিন টয় ট্রেন সফরের আনন্দ নিতে পারবে পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারন স্থানীয় যাত্রীরাও।
রবিবার স্টিম ইঞ্জিন চালিত ঐতিহ্যের এই টয় ট্রেনটির উদ্বোধন করেন নর্থ-ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্তা। প্রথম দিন কোনো যাত্রী ছাড়াই ট্রেনটি পরীক্ষামূলক ভাবে পাহাড়ের উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
এদিন এই সান্ধ্যকালিন টয় ট্রেনের উদ্বোধনের পর ডিআরএম চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তা জানান, ‘আপাতত দুটি কোচ নিয়ে সান্ধ্যকালিন টয় ট্রেন চালান হবে। চাহিদা অনুযায়ী পরবর্তিতে আরও কোচ বাড়ানোর সম্ভবনা রয়েছে। বর্তমানে একটি প্রথম শ্রেনীর কামরা ও একটি ডাইনিং কোচ চালান হবে’।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির ‘রথ যাত্রা’র অনুমতি দিল না মমতা প্রশাসন
প্রথম শ্রেনীর কামরায় মোট ১৭টি সিট ও ডাইনিং কোচটিতে ১২টি সিট রয়েছে। ভাড়া মাথাপিছু যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা। ডাইনিং কোচের বিশেষত্ব হল, কামরাটিতে প্রবেশ করলে হেরিটেজের মতো অনুভুতি হবে। সেভাবেই কামরাটিকে সাজানো হয়েছে। ডাইনিং কোচটিতে খাবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘আইআরসিটিসি’-কে।
জানা গেছে, বর্তমানে সাধারণভাবে স্টেশানে গিয়ে বুকিং করতে হবে। পরবর্তীতে অনলাইনের মাধ্যমেও বুকিং করা যাবে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে সুকনা পর্যন্ত পর্যটকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সেভাবে উপভোগ করতে না পারলেও, সুকনার পর থেকে রঙটং পর্যন্ত পাহাড় ও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বারবার মানুষকে টয়ট্রেনে করে ভ্রমন করার দিকে আকর্ষিত করে তুলবে বলে আশাবাদী রেল কর্তারা।
আরও পড়ুন: ‘অশিক্ষিত রাজনীতিবিদ’ কলঙ্ক ঘোচাতে বুড়ো বয়সে মাধ্যমিকে
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি জংশন থেকে প্রতিদিন দার্জিলিং পর্যন্ত সকাল সাড়ে আটটায় একটি টয় ট্রেন ছাড়া হয়। অন্যদিকে দার্জিলিং থেকে আর একটি ট্রেন সকাল আটটায় ছেড়ে দুপুরের পর শিলিগুড়ি পৌছায়। তবে স্বল্প দৈর্ঘের দুরত্বে কয়েকঘন্টা টয় ট্রেন সফর করতে কতটা চাহিদা রয়েছে সেটাই দেখার জন্য সম্ভবত সান্ধ্যকালীন টয় ট্রেনের সুচনা করল ডিএইচআর বলে অনেকের ধারনা।
ট্রেনটির ভেতরে কোনো রান্নার ব্যবস্থা নেই। তবে চা, কাটলেট, গরম গরম সিঙারা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি চিপস, কাটলেট জুস সমস্তটাই এমআরপির দাম অনুযায়ী পাওয়া যাবে এখানে। চা-এর দামও রাখা হয়েছে সাধারণের নাগালের মধ্যে। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেখতেই সময় চলে যাবে।
আরও পড়ুনঃ মালাবদলের ঠিক আগেই বিয়েবাড়ি অভিযানে পুলিশ প্রশাসন
যেখানে ৩৫ মিনিট থামবে ট্রেনটি সে সময় আশেপাশের জায়গায় একটু ঘুরে ফিরে পাহাড়ের দৃশ্য উপভোগ করে ফের গন্তব্যে ফেরার পালা৷ তিনঘন্টায় শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং গিয়ে আবার ওইদিনই ট্রেনে করে ফিরে আসার জন্য ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা দিয়ে মোট ১৬ কিমি পথ সান্ধ্যভ্রমন করতে পর্যটক কিংবা সাধারণ মানুষ কতটা উৎসাহি হয় সেটাই এখন দেখার।
পড়ুন হাড়হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন তৃতীয় ও শেষ পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
]]>