CPM Congress – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Sun, 14 Apr 2019 07:48:40 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg CPM Congress – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 বিজেপিকে হারাতে সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতি ভোট ভাগ না করার অনুরোধ মমতার https://thenewsbangla.com/mamata-said-vote-for-tmc-to-defeat-bjp-do-not-vot-for-cpm-congress/ Sun, 14 Apr 2019 07:48:40 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=10802 লোকসভা ভোটের মৌসুম চলছে সারা দেশে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে রাজ্যের মাত্র ২টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচন শুরুর প্রাথমিক লগ্ন থেকেই যেভাবে শাসক দল রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে এবং বিজেপিও নাছোড়বান্দা হয়ে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাল্টা শাদকদলের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে রাজ্যে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে সক্ষম হয়েছে, তাতে সামগ্রিকভাবে রক্তচাপ বাড়ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর।

শনিবার শিলিগুড়িতে এক নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের অনুরোধ করেন, বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবার জন্য। সিপিএম ও কংগ্রেসের আসন জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন, সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিলে বিজেপিকে হারানো সহজ হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর ধারণা।

এই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে উত্তরবঙ্গে এক সপ্তাহের অধিক সময় নিয়ে অবস্থান করছেন। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের বহুদিনের বিভিন্ন দাবিদাওয়াকে হাতিয়ার করে বিগত কয়েক বছরে যথেষ্ট প্রভাব বাড়িয়েছে বিজেপি। বিভিন্ন প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কিছু আসন বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে বলেও আভাস মিলেছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের ভোট যথেষ্ট ভাবাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

বিভিন্ন সময়েই দেখা গিয়েছে শাসক দলের বিরোধী দল গুলোর ভোট ভাগ হলেই শাসক দলের ভোট বৈতরণী পার করতে সুবিধা হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। শাসক দলের শক্তিশালী হবার পরিবর্তে বিজেপির কাছে খোয়াতে হয়েছে বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতা সহ সাংসদ বিধায়ককে। এদিকে বিগত উপ নির্বাচন গুলোতে দেখা গেছে, বিশেষ করে সিপিএমের ভোটাররা দলীর আদর্শের তোয়াক্কা না করেই বিজেপিতে স্রোতের মতো সামিল হচ্ছেন।

শাসক দলের আশঙ্কা, তৃণমূল বিরোধী ভোট বিজেপিতে যুক্ত হলে তা প্রায় শাসক দলের সাথে বিজেপির ভোট শতাংশের ফারাক অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে। আর সেই সম্ভাবনা থেকেই কপালে চিন্তা বেড়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

এতদিন নির্বাচনী জনসভা গুলোতে মুখ্যমন্ত্রী মূলত বিজেপির প্রতি আক্রমনাত্মক ছিলেন। রাজ্যে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া সিপিএম এবং কংগ্রেসের পুনরায় প্রান সঞ্চার না ঘটুক, সেই সাবধানতাবশতই তাদের নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজ্যে সিপিএমের আসন জেতার সম্ভাবনা নেই এবং কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য হারে আসন বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই, তাই বিজেপিকে ঠেকাতে এবার এই দুই দলের সমর্থকদের শরণাপন্ন হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

]]>
বাংলায় চার দলের লড়াই, ২০১১ র ভুল ২০১৯ এ করল না কংগ্রেস https://thenewsbangla.com/four-party-battle-in-bengal-lok-sabha-vote-congress-announce-candidates-in-bengal/ Tue, 19 Mar 2019 04:07:59 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=8755 ২০১৯ লোকসভায় বাংলায় ৪ দলের লড়াই। তৃণমূল-বিজেপি-বাম-কংগ্রেস। সোমবারই ঠিক হয়ে যায় বাংলায় বাম কংগ্রেস জোট হচ্ছে না। তারপরেই রাত ১১ টায় প্রথম তিন পর্বের ১১ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। ২০১১ র ভুল ২০১৯ এ করল না কংগ্রেস, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রথম তিন দফার ১১ টি আসনের জন্য ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ কংগ্রেসের তরফে দেশের বেশ কিছু লোকসভা আসনের সঙ্গে বাংলার ১১ টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ চোখ মেরে শাড়ির আঁচল ফেলে প্রচার মুনমুনের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

প্রতিটি আসনে তিন-চার জন প্রার্থীর নাম নিয়ে সোমবার দিল্লি গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। দুপুরে সভাপতি রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই ১১ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত করা হয়। রাত ১১ টা নাগাদ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়ায় অনাস্থা, তৃণমূল বনাম বিজেপির জমজমাট লড়াই

প্রথম তিন দফার ভোটে বাংলার ১১ জন কংগ্রেস প্রার্থী হলেন, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রিয়া রায়চৌধুরী, আলিপুরদুয়ারে মোহনলাল বসুমাতা, জলপাইগুড়িতে মণিকুমার দারনাল, দার্জিলিংয়ে শঙ্কর মালাকার, রায়গঞ্জ আসনে দীপা দাশমুন্সি, বালুরঘাটে আবদুস সাদেক সরকার, মালদহ দক্ষিণ আসনে আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালুবাবু), মালদহ উত্তরে ঈশা খান চৌধুরী, বহরমপুরে অধীর চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ আসনে আবু হেনা এবং জঙ্গিপুর আসনে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়

যে ১১ টি আসনে কংগ্রেস তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তার অনেকগুলিতেই বামফ্রন্টও প্রার্থী দিয়েছে। জোট জটের শুরুতে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির হস্তক্ষেপে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনের জট কেটেছিল ঠিকই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই দুটি আসনেও প্রার্থীদের নামে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর ফলে রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সির দল ছাড়ার প্রসঙ্গও আপাতত চাপা পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ বাম কংগ্রেস বিজেপির আপত্তি নেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন মাথাব্যথা শুধু তৃণমূলের

বেশ কয়েকদিন ধরেই বাম-কং আলোচনা চলছিল আসন সমঝোতা নিয়ে। কিন্তু চূড়ান্ত হওয়ার আগেই গত শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠকের পর রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ সহ ২৫টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। একতরফা প্রার্থী ঘোষণাকে ‘অপমান’ হিসাবেই নিয়েছিল কংগ্রেস। সে দিনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, বাংলায় বাম-কং আসন সমঝোতা হচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

সব চেয়ে বেশি জটিলতা তৈরি হয় বীরভূম আসন নিয়ে। বামেদের প্রার্থী তালিকায় ২৫ নম্বরে বীরভূমের নির্দল প্রার্থী হিসেবে নাম ছিল রেজাউল করিমের। কিন্তু তখনও তিনি কংগ্রেসের নেতা। নিজেদের দলের লোকের নাম বাম তালিকায় দেখে ক্ষুব্ধ হন সোমেন মিত্র ও অন্যান্যরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে ক্ষোভের কথা জানান সোমেন মিত্র। এরপরই বোঝা যাচ্ছিল যে ভেস্তে যেতে চলেছে জোট।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নিয়ে অশ্লীল ও বিতর্কিত মন্তব্য ক্ষিতির

রবিবার সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, “মনে হচ্ছে ৪২ টি আসনেই আমাদের প্রার্থী দিতে হবে”। আদতে সেটাই হল সোমবার রাতে। বাকি আসনে কংগ্রেস কাকে কাকে প্রার্থী করে সেটাই এখন দেখার।

>আরও পড়ুনঃ বিরোধী মহিলা প্রার্থীদের ‘মাল’ সম্বোধন করে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ ফিরহাদের

২০১১ তে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে বামকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট। জোট কংগ্রেসের পক্ষে লজ্জাজনকই হয়। কিন্তু তারপরেই তৃণমূলের কৌশলে দলটাই ভাঙতে বসে কংগ্রেসের। সব নেতাদেরই দলে ঢুকিয়ে নেয় তৃণমূল। এবার আর সেই লজ্জাজনক জোট করল না কংগ্রেস।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
সিপিএমের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, বাংলায় বাম কং জোট নিয়ে আশঙ্কা https://thenewsbangla.com/cpm-announce-25-candidates-cpm-congress-alliance-in-big-trouble/ Fri, 15 Mar 2019 13:52:34 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=8558 আংশিক নয়, জোট সঙ্গী কংগ্রেসকে চাপে ফেলে ২৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল সিপিএম। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে আলোচনা করে নেন বিমান বসু। বাকি ১৭ আসনের মধ্যেও বামেরা কয়েকটায় প্রার্থী দেবে বলেই জানিয়েছেন বিমান বসু।

আরও পড়ুনঃ মুনমুন সেনকে দাঁড় করিয়ে আসানসোলে কি বাবুল সুপ্রিয়কে ওয়াকওভার দিলেন মমতা

শুক্রবারই লোকসভা ভোটের আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল বামফ্রন্ট এর। রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল আলিমুদ্দিন। আজ রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ সহ মোট ২৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামেরা। বাকি ১৭ টির মধ্যেও আরও কয়েকটি আসনে বামেরা প্রার্থী দেবে ঘোষণা করায় বাংলায় বাম-কং জোট বিশ বাঁও জলে।

আরও পড়ুনঃ লাস্যময়ী নুসরত ও সুন্দরী মিমিই এবার মমতার চমক

বসিরহাট ও পুরুলিয়া আসন দুটি নিয়ে শরিকি টানাপোড়েনে আটকে গিয়েছিল বামেদের প্রার্থী ঘোষণা। বসিরহাট ও পুরুলিয়া দুটি আসনে প্রার্থী দিয়েই এবার ২৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট।

রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ দুটি আসনই গতবার জিতেছিল সিপিএম। তাই আগেই ওই দুই আসনে জয়ীদের ফের প্রার্থী করা হয়েছে। ছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের জেতা চারটি আসন। দার্জিলিঙে বাম-কংগ্রেস সমঝোতার ভিত্তিতে নিরপেক্ষ প্রার্থী দাঁড় করানো হবে বলেই ঠিক হয়েছে। পরে থাকা বাকি ১৭টি আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে বামেরা। কিন্তু আজই ২৫ টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হল।

আরও পড়ুনঃ প্রচুর চমক, রাজ্যের ৪২টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২জন প্রার্থী কে কে

শরিকদের ৯টি আসনে ভাগ বসায়নি সিপিএম। পুরুলিয়া ও বসিরহাট নিয়েও শরিকদের আবদার মেনে নিয়েছে আলিমুদ্দিন। এর আগে জানা গিয়েছিল, ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭টি কংগ্রেস ও বাকি ২৫টি আসনে বামেরা লড়বে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, এমনটাই স্থির হয়েছিল প্রথমে। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কেউ-ই কারোর কোনও জেতা আসনে প্রার্থী দেবে না। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি ছিল, এখন ১৭টা আসন দেওয়ার কথা রাখছে না সিপিআইএম। ১৭টার বদলে ১১টা আসন দিতে চাইছে সিপিআইএম। জট খুলতে ফের হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ চায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আরও পড়ুনঃ মিছিল মিটিং করতে মমতার পুলিশ প্রশাসন আর আটকাতে পারবে না বিজেপিকে

শেষ পর্যন্ত ২৫ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বাকিগুলি নিয়ে কংগ্রেস এর সঙ্গে আলোচনা করবে বামেরা। বাকি ১৭ টির মধ্যে কংগ্রেসকে কটি আসন ছাড়ে বাম, সেটাই এখন দেখার। তবে ১৭ এর কম আসনে কংগ্রেস লড়তে রাজি হয় কিনা সেটাও এখন দেখার। আপাতত বাংলায় কং বাম জোট ফের জটে। কংগ্রেসের বঙ্গ নেতারা বামেদের এই খবরদারি মানতে রাজি নন। সবটাই এখন নির্ভর করছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্তের উপর।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>