দার্জিলিঙের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন; “সরকারি নির্দেশ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে; পুর প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক ময়ূরী বসুকে। প্রশাসক বসানোর এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে; পৌরসভার আইনকে তুলে ধরলেন শিলিগুড়ি পুর নিগম মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুনঃ পার্ক সার্কাস খিদিরপুরে বিনা হেলমেটের বাইক বাহিনী ঘিরে পুলিশের উপর ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের
পুরসভার আইন তুলে ধরে অশোক বাবু সাফ জানিয়েছেন; রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা বেআইনি; কোনো বৈধতা নেই। কোন নির্বাচিত পৌরসভাকে এভাবে ভেঙে দিতে পারেনা। পুরসভার আইন অনুযায়ী ৪৩১ নং ধারায় সাফ লেখা আছে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে; তার মেয়াদ যদি আড়াই বছর থাকে তাহলে পুনরায় ভোটের মেয়াদও আড়াই বছরই থাকবে। কোনমতেই এভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিষ্ক্রিয় করা যায় না পুরসভাকে।
দার্জিলিং পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর শুধুমাত্র বিজেপি তে যোগদান করেছে বলেই এভাবে কোন নির্বাচিত পুরসভাকে নিষ্ক্রিয় করে প্রশাসন নিয়োগ করা যায়না। রাজ্যের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাপের সভাপতি হরকাবাহাদুর ছেত্রীও।
আরও পড়ুনঃ টুইট বিতর্কে আবার জড়ালেন তসলিমা নাসরিন
দিনহাটা; মেটলিগঞ্জ; হলদিবাড়ি; ডালখোলা; মুর্শিদাবাদ; কালিয়াগঞ্জ সহ আরো যেসব বামেদের পুরসভা রাতারাতি ভেঙে তৃণমূলের দখলে চলে গেল সেক্ষেত্রে এই নিয়ম বিধি লাগু হলনা কেন? এই প্রশ্ন করছেন অশোক বাবু। এর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল বামেরা।
গত ২৯ মে দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ১৭ জন কাউন্সিলর। পরবর্তীতে তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে সংখ্যার হিসেবে পুরসভায় পাল্লা ভারী এখন বিজেপির। রাজ্যের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানতেই পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলে হৈচৈ শুরু হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছেন বিজেপি ও বিমলপন্থী মোর্চা নেতৃত্ব।
]]>তৃনমূল-কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানান তিনি। কিন্তু মমতা মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন তিনি ওই বৈঠকে যাচ্ছেন না। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী নিজেই।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি নারীরা বিয়েতে বিক্রি হচ্ছে চীনে, সহ্য করছে ধর্ষণ
মমতা জানিয়েছেন; বৈঠকের আলোচ্যসূচি খতিয়ে দেখার পরই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে এত অল্প সময়ের মধ্যে মতামত দেওয়া সম্ভব না; বলে জানিয়েছেন মাননীয়া। বিষয়টি নিয়ে সংবিধান ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সর্বোপরি; দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে শ্বেতপত্র প্রকাশের আবেদন করেন। তাতে মতামত দেওয়ার জন্য; সব দলকে যথেষ্ট সময় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মানুষের ক্ষতি করে, হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা নয় জানাল সুপ্রিম কোর্ট
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে; প্রধানমন্ত্রী ওইদিন যে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে চান; তার মধ্যে অন্যতম ‘এক দেশ এক নির্বাচন’। মোদী তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম থেকেই; একসঙ্গে সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন করতে আগ্রহী। এতে সময় ও খরচ দুইই বাঁচে। আবার উন্নয়নের কাজও কম বাধাপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসবাদী হামলা, ভারতীয় সেনার হাতে নিকেশ তিন জঙ্গি
বিরোধী দলগুলোর মতামতের জন্য; এই বৈঠক ডেকেছেন মোদী। এছাড়াও সরকার আগামী দিনে কী বিল আনতে চলেছে; কোন বিলে কার আপত্তি; তা প্রধানমন্ত্রী আগে থেকে জেনে নিতে চাইছেন। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয়; নীতি আয়োগ বৈঠকেও। সেখানেও যাননি তিনি। বলেছিলেন, “নীতি আয়োগ কোনও কাজের কাজ করে না। যোজনা কমিশন তবু কিছু কাজ করত”।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা কান্ডে জঙ্গিদের ব্যবহৃত গাড়ির মালিককে খতম করল ভারতীয় সেনা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে; তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রকে কোনরকম সাহায্য করবে না বলেই এই সিদ্ধান্ত। অবশ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন; দিল্লি যাওয়ার মুখ নেই মমতার। মোদীকে ‘এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী’ বলেছিলেন তিনি। তাই তাঁর ডাকা মিটিং-এ এখন; যেতে হয়ত লজ্জা পাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
]]>এদিন এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনকারী; জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে ছদফা দাবি পেশ করা হয়। তারা জানান; “মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস হাসপাতালে এসেই; ক্ষমা চাইতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন; আমরা পদবী দেখে চিকিত্সা করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর আলোচনা”।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে এসেই ক্ষমা চাইতে হবে, সাফ জানিয়ে দিল জুনিয়ার ডাক্তাররা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এন আর এস হাসপাতালে এসেই ক্ষমা চাইতে হবে; সাফ জানিয়ে দিল জুনিয়ার ডাক্তাররা। শুক্রবার সন্ধ্যার পর নবান্ন থেকে এন আর এস হাসপাতালের; আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিলেন ডাক্তাররা।
নবান্নে কয়েকজন সিনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করার পর; মুখ্যমন্ত্রী মমতা নবান্নে ডেকে পাঠান আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁর বার্তা নিয়ে সন্ধ্যার পর নবান্ন থেকে এন আর এস হাসপাতালে যান; রাজ্যের শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। কিন্তু তাঁর মুখের উপর পরিষ্কার না বলে দিলেন এন আর এস হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তাররা।
এই ইস্যুতে ইস্তাফা দিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে ২০০ জন; এনআরএস হাসপাতালে ১০৭ জন; আরজিকর হাসপাতালে ১০৮ জন; উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১৯ জন; ন্যাশান্যাল মেডিক্যাল কলেজে ৩৫ জন; মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫০ জন; মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৩৬ জন; বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২৪ জন; কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২৮ জন, এখনও পর্যন্ত তাদের ইস্তফাপত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এছাড়াও রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল থেকে; একের পর ডাক্তারের পদত্যাগপত্র পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যা অবস্থা; শনিবার থেকেই বাংলার সব সরকারি হাসপাতালে তালা ঝুলবে; বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এরপরেই উদ্যোগ নেন রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি রাজ্যপাল; এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিলেন না জুনিয়ার ডাক্তাররা। অন্যদিকে রাজ্যপালের ডাকেও কি সাড়া দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী?
]]>জুনিয়ার ডাক্তারদের হুমকি দেবার পরেই; শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে ডাক্তারদের গণ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া। এই অবস্থায় সিনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে; একটি খোলা চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি সিনিয়র ডাক্তারদের কাছে; চিকিৎসা শুরু করার অনুরোধ জানান।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন; দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা করার। সিনিয়র ডাক্তারদের কাছে; রোগীদের যত্ন নেবার অনুরোধ করেছেন তিনি। চিঠিতে মমতা লেখেন, দরিদ্র রুগীরা প্রত্যন্ত জায়গা থেকে চিকিৎসা নিতে আসে; ডাক্তাররা সেই সব রোগীদের যেন না ফেরান।
তিনি আরও লেখেন; হাসপাতালে শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন। নিজের হাতে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন; রোগীদের চিকিৎসা করলে তিনি সম্মানিত বোধ করবেন। ডাক্তাররা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতার চমক; জুনিয়ারদের হুঁশিয়ারি ও সিনিয়াদের অনুরোধ।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম ছেড়ে যাবার পরেই; হাসপাতালের নার্সরা কর্মবিরতির ডাক দেয়। এসএসকেএম হাসপাতালে এসে মমতা বললেন, “আন্দোলনকারী সব ডাক্তার বহিরাগত”। তারপরেই গলায় আই-কার্ড ঝুলিয়ে; মুখ্যমন্ত্রীর “ওরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়, আউটসাইডার”; মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”।
এসএসকেএমে যান; জয়েন্ট সিপি ক্রাইম প্রবীণ ত্রিপাঠি, পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। মাইকিং করে জুনিয়র ডাক্তারদের; কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন পুলিশ কর্তারা। কিন্তু হাতে ও গলায় আই-কার্ড ঝুলিয়ে; পাল্টা প্রতিবাদে সামিল জুনিয়র ডাক্তাররা।
এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে মমতা; বেশ কিছু কড়া স্টেপ নেওয়ার কথা বলেন। কাজে যোগ না দিলে এসমা জারি করে; কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি তুলে; ৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা হুঁশিয়ারি দেন; “৪ ঘণ্টার মধ্যে যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না; তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। সরকার তাঁদের আর কোনও সাহায্য করবে না”। এই হুঁশিয়ারি দেবার পরেই; সিনিয়ার ডাক্তারদের চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
]]>এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে এদিন মমতা; বেশ কিছু কড়া স্টেপ নেওয়ার কথা বলেন। কর্মবিরতি চলাকালিন কোন রোগী মৃত্যু হলে; তার তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দেন মমতা। কাজে যোগ না দিলে এসমা জারি করে; কড়া পদক্ষেপ জারি কড়া হবে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলতে; এদিন আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে কর্মবিরতি ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় এসএসকেএম-এ। রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে; মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। এরপরই বেলা ১২টা ২০ নাগাদ এসএসকেএম-এ পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এনআরএস কাণ্ডে ৫ জনকে গ্রেফতারের পরেও; ধর্মঘট কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি। বলেন; “৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে; কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন; পুলিস কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে; তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেব”।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি; “যাঁরা আন্দোলন করছেন; তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়; তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলমান করা হচ্ছে”। হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি তুলে; ৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দেন; “৪ ঘণ্টার মধ্যে যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না; তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। সরকার তাঁদের আর কোনও সাহায্য করবে না”।
ডাক্তারদের তোপ দেগে মমতা বলেন; “২৫ লাখ টাকা দিয়ে পড়াব, তারপর বন্ড দিয়ে পালিয়ে যাবে”? কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি এসএসকেএম এ দাঁড়িয়ে জুনিয়ার ডাক্তারদের হস্টেল খালি করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এসমা জারি করে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার হুমকি দেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা হাসপাতালে পৌঁছতেই; মমতা হায় হায় স্লোগান দেন রোগীর আত্মীয়রা। মমতার শাসানিতে ক্ষুব্ধ হন ডাক্তাররাও। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে চরম হুঁশিয়ারি শুনে; অবাক হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলও। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের শাসানিতে রীতিমত ক্ষুব্ধ ডাক্তারদের সংগঠনগুলি।
]]>আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে; উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বসিরহাটের বাদুড়িয়া। এক বালকের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে; শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ। শনিবার বসিরহাটের হাড়োয়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে; দুই বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতিচারন করে উস্কে দিলেন। ঘটনার জন্য দায়ি করলেন বিএসএফকেই। সীমান্ত দিয়ে বহিরাগতরা এসে দাঙ্গা বাধায় বাদুরিয়ায়; মত মমতার।
আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ দফায় ১০০ শতাংশ বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ কমিশন
ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের আগেই; শনিবার বসিরহাটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী; নুসরত জাহানের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দুই বছর আগের ঘটনা তুলে আনেন তিনি। সেদিনের সেই ঘটনার জন্য দায়ী করেন বিএসএফ এবং বিজেপিকে।
আরও পড়ুনঃ বুদ্ধ পূর্ণিমায় বাংলায় মন্দিরে, স্কুলে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ছক, মমতাকে জানাল কেন্দ্র
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বসিরহাটের বাদুড়িয়ায়; দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝামেলা তৈরি করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বিএসএফ কেন্দ্রের কথায় চলে। তাদের কন্ট্রোল করার দায়িত্ব কেন্দ্রের। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই, তাদের নির্দেশ দিয়েছিল বহিরাগত ঢুকিয়ে অস্থির অবস্থা তৈরির জন্য; এমনই জানান মমতা।
আরও পড়ুনঃ অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ছদ্মবেশে আত্মঘাতী হামলা হতে পারে হিন্দু বা বৌদ্ধ মন্দিরে
দুই বছর আগে, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে; বাদুড়িয়ায় এক বালকের উস্কানিমূলক ধর্মকেন্দ্রিক পোস্ট ঘিরে শুরু হয় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ। যার রেশ চলে অন্তত ২-৩ দিন। আগে থেকেই প্ল্যানমাফিক কেন্দ্রের বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই; ওই ঘটনা বিএসএফের হাত দিয়ে ঘটানো হয়েছিল বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এর সাথে স্থানীয় কোনও সম্প্রদায়ের যোগ ছিলনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সেবারের মত এবারের ভোটেও বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী; যাতে ঢোকানো না হয়; সেই জন্য বিএসএফকে সতর্ক করে দেন মমতা। মমতার এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন; এর আগেও মমতা সেনাকে অপমান করেছেন; এখন বিএসএফকে করছেন; নতুন কিছু নয়।
]]>সুবিচার, কর্মসংস্থান ও বিনামূল্যে চিকিৎসার দাবিতে বারুইপুরের মনীষা পৈলান, দমদমের সঞ্চয়িতা যাদব, মেদিনীপুরের সুতপা দাস ও সাগরদ্বীপের সূর্যশঙ্কর বারিক সোজা হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়িতে। দেখা হয়নি আজ। তবে মিলেছে দেখা করার আশ্বাস।
অ্যাসিড হামলার পর থেকে এই চার যুবক যুবতী দীর্ঘদিন লড়ে আসছে নিজ নিজ জায়গায়। এই লড়াই দীর্ঘদিনের, এই লড়াই শরীরের সাথে মনেরও। আর এই লড়াইয়ের হয়ত কোন শেষ নেই। চলবে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত। কিন্তু তাতে তাদের মনের জোর কোন অংশে কমে নি। লড়তে লড়তে ওরা বুঝে গেছে কোন পথে এগোলে সুবিচার পাবে ওদের শরীর ও মনের ক্ষতগুলো।
শুধু মাত্র প্রেমে সাড়া না পেয়ে সঞ্চয়িতা যাদব ও মনীষা পৈলানকে অ্যাসিড ছোঁড়া হয়েছিল। সাগরদ্বীপের সূর্যশঙ্করকে অ্যাসিড ছোঁড়া হয় পারিবারিক অশান্তির জেরে। এদের মধ্যে সূর্যশঙ্কর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী, বর্তমানে একটি স্কুলে প্যারাটিচারের চাকরি করে। সেই টাকাতেই চলছে ওদের সংসার এবং চিকিৎসার খরচ। মনীষার বাবা কাঠ মিস্ত্রি আর সঞ্চয়িতা এক এনজিও-তে ছোট একটা চাকরি করে নিজের চিকিৎসা, ঘর ভাড়া ও অসুস্থ মাকে নিয়ে দিন কাটায়।
এদের প্রত্যেকের উপর অ্যাসিড হামলাকারীরা বর্তমানে জামিনে মুক্ত। অজানা কারণে মনীষার উকিল দিনের পর দিন মামলার ডেট এর পর ডেট পিছিয়ে চলেছে। গত কয়েক বছরে তাঁর মামলা একচুলও এগোয়নি। মনীষার কথাতে, “একটা পাকাপাকি কর্মসংস্থান থাকলে নিজে পয়সা দিয়ে উকিল রেখে মামলা চালাব”। মনীষার উপর আক্রমণকারী এখনও প্রকাশ্যে ধমকি দিয়ে চলেছে। প্রশাসন সব জেনে শুনেও চুপ, অভিযোগ মনীষার।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে ওরা এই সব সমস্যা জানাতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অ্যাসিড বিক্রি করা, আইন করে বন্ধ করে দিক যাতে আর কাউকে ওদের মত অ্যাসিডে শারীরিক, সামাজিক ও মানসিক ভাবে না পুড়তে হয় প্রতিদিন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা হয়নি ওদের। সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত অপেক্ষা করে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতেই। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পরের সপ্তাহে আবার যেতে। যদিও নির্দিষ্ট কোন দিনে গেলে তারা মুখ্যমন্ত্রীর দেখা পাবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
তবুও ওরা আশাবাদী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও মহিলা, তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন ওদের যন্ত্রণা। শুধু একবার যদি কোনভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনো যায়, উনি নিশ্চয়ই একটা সমাধান এর ব্যবস্থা করবেন। স্বাধীন ও সুস্থ জীবনে আবারও ফিরতে পারবে ওরা।
আর তার জন্যই এখন অপেক্ষায় বারুইপুরের মনীষা পৈলান, দমদমের সঞ্চয়িতা যাদব, মেদিনীপুরের সুতপা দাস ও সাগরদ্বীপের সূর্যশঙ্কর বারিক। আরও একটা লড়াই তাদের সামনে। মাথা উঁচু করে মুখ না ঢাকার লড়াই।
]]>এছাড়াও ২০০৭ সাল থেকে বন্ধ থাকা অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে সুপারভাইজার পদের নিয়োগ শুরু হবে বলে ঘোষণা রাজ্য সরকারের। ৩৩৭৬টি পদ খালি রয়েছে। খুব দ্রুত শুরু হবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। মূলত মহিলাদের ক্ষমতায়ন এর জন্যই এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ICDS সুপারভাইজার পদে নিযুক্ত হবেন শুধুমাত্র মহিলারাই।
আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এদিন। বাড়ি করবেন? জমি কিনছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার নিয়ে এল নতুন অ্যাপস। এবার বাড়িতে বসে সহজেই নিজের মোবাইলে পেয়ে যাবেন সব জমির সব তথ্য। নতুন অ্যাপস এর নাম ‘জমির তথ্য’। জমি সংক্রান্ত সব খবর মোবাইলেই পেতে সরকার আনল এই ‘জমির তথ্য’ অ্যাপস। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে কমবে দুর্নীতি।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার। জমির নাম পরিবর্তনের সময় এবার থেকে আর লাগবে না মিউটেশন এর টাকা। কৃষি জমির ক্ষেত্রে আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার বসতবাড়ি এবং অন্যান্য সব জমির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
জমির অবস্থান কি? জমির বর্তমান মালিক কে? কি পরিস্থিতিতে রয়েছে জমিটি? বাড়িতে বসেই জানা যাবে সব তথ্য। এবার থেকে আর কোন অফিসে গিয়ে হত্যে দিতে হবে না সাধারণ মানুষকে। তার জন্য নতুন অ্যাপস আনল রাজ্য সরকার। যার নাম রাখা হয়েছে ‘জমির তথ্য’।
যারা জমি কিনবেন বা বিক্রি করবেন তারা জমি সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য, এই নতুন অ্যাপস থেকে জানতে পারবেন। জমির দাগ নাম্বার, খতিয়ান, মালিক কে, জমির অবস্থান সহ সমস্ত তথ্য এই অ্যাপস থেকে জানতে পারা যাবে। এছাড়া আইনগত কোনো সমস্যা জমিতে রয়েছে কি না তাও জানতে পারা যাবে অ্যাপস থেকে।
ভোটের আগে চাকরি সহ বেশ কিছু চমক দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। এতে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল সুবিধা পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
]]>আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার পরেও লোকসভা ভোটে কম কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায়
অমিত শাহের সভার পরেই কাঁথি কেন রণক্ষেত্র হয়ে উঠল? রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবারেই নবান্নে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে অমিত শাহের সভার পর বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। নবান্ন সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
“লোকসভা ভোটের গননা শেষ হলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শেষ হয়ে যাবে”, ঠিক এই ভাষাতেই মঙ্গলবার কাঁথি স্টেশন সংলগ্ন মাঠের জনসভায় বক্তব্য রাখলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বাংলা একসময় দেশকে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু সেই সোনার বাংলা আজ কোথায় হারিয়ে গিয়েছে? প্রশ্ন তোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
আরও পড়ুনঃ মমতার স্বরাষ্ট্র সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের এক রোহিঙ্গার
অমিত শাহ আরও বলেন, “সারা দেশের মানুষ এখন সোনার বাংলা দেখতে চাইছে। ২০১৯ সালের নির্বাচন বাংলার জন্য সোনার বাংলা তৈরির ভোট। কোনও রাজনৈতিক দলকে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাংলার জনতার সঙ্গে আমরা মিলতে চাইলেও ওরা বাধা দিচ্ছে। কান খুলে শুনে রাখুন, যত বাধা দেবেন ততই বিজেপি কর্মীরা আরও বেশি করে মানুষের বাড়ি পৌঁছ যাবে। কেউ রুখতে পারবে না”।
আরও পড়ুনঃ ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট
এদিকে অমিত শাহের সভার পরই গোটা এলাকা জুড়ে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আসা বাসে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির তরফ থেকে। ভেঙে দেওয়া হয় সেই বাসগুলি যেগুলি চেপে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা অমিত শাহের সভায় এসেছিল। অভিযোগ, পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিজেপি সমর্থকদের অনেক বাইক। ভবিষ্যতে বিজেপির কোন সভায় কেউ যাতে বাস না দেয় তার জন্যই এই পরিকল্পিত হামলা বলেই বিজেপির অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ নিয়ম মেনে ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে রাখা যায় রাতেও
বিজেপিরা একটি তৃণমূলের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে, পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছে বলেও অভিযোগ দলের তরফ থেকে। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কোনরকম ঝামেলা যাতে না হয় তার জন্য অমিত শাহের সভার এলাকায় কোন তৃণমূল পতাকাও লাগান হয়নি। তবু অশান্তি করতে ইচ্ছে করেই ঝামেলা করল বিজেপি। এর ফল তাদের ভুগতে হবে”।
আরও পড়ুনঃ জওহরলাল নেহেরুর গলায় মালা দিয়ে ৬০ বছর পরেও একঘরে ‘নেহেরুর বউ’
রাস্তায় বেশ কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালান হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাসে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় অমিত শাহের সভাস্থল সংলগ্ন এলাকা। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ঘটনায় দু তরফেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার খবর নিতেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ আম দরবারে প্রকাশ্যে মহিলার ওড়না ধরে টান কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর
নবান্ন সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানতে চান ঠিক কী হয়েছিল কাঁথিতে। তার উত্তরে এদিন ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আপনার লোক পার্টি অফিস ভেঙেছে, গাড়ি জ্বালিয়েছে, সভায় আপনাদের নেতারা মানুষকে প্ররোচনা দিচ্ছে। অশান্ত করে তোলা হচ্ছে বাংলাকে। এসব কি হচ্ছে?” জানা যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বেশ কিছু কথা শুনিয়ে দেন মমতা। রীতিমত ঝগড়ার সুরেই রাজনাথকে তোপ দাগেন মমতা। “রাজ্যে অশান্তির জন্য আপনার দল ও নেতারাই দায়ি”, কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ মাঠ দিল না রাজ্য, মোদীর সভা ও হেলিকপ্টারের জন্য ফসল ত্যাগ শিক্ষকের
“নিজের কর্মীদের সামলান”, রাজনাথকে রীতিমত হুমকি দেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে রাজনাথ সিংও মমতাকে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে বেশ কিছু কথা শুনিয়ে দেন বলেই জানা গেছে। জড়িত তৃনমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মমতাকে বলেন রাজনাথ। মমতা পত্রপাঠ জানিয়ে দেন, এর পিছনে বিজেপিই দায়ী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মা দুর্গার সাক্ষাৎ অবতার, পোস্টার কংগ্রেসের
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকেই গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। এদের বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টি, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন এর অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। বুধবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। গোটা ঘটনা জানাতে রাজ্যপালের কাছেও যাবে বিজেপি।
অন্যদিকে রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টির প্রতিবাদে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে প্রতিবাদ জানাবে তৃণমূল কংগ্রেস। অমিত শাহের সভার জায়গায় ফের সভা করে বিজেপির মুখোশ খোলা নিয়েও আলোচনা চলছে তৃণমূলের অন্দরে। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে অশান্তি ও রাজনৈতিক ঝামেলা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ
জয় হিন্দ, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সোনার অক্ষরে লেখা ইতিহাস
কাঠফাটা রোদে পড়ুয়াদের অসুস্থ করে ছায়ায় বসে রেকর্ড গড়ার নেশা মন্ত্রীর
কালামের নামে ছাত্রদের তৈরি হালকা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে নজির ভারতের
Exclusive কংগ্রেস ছেড়ে মমতার হাত ধরলেন মৌসম বেনজির নূর
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়তে পারেনঃ অমিত শাহর হেলিকপ্টারকে লাল পতাকা মমতার, গ্রিন সিগন্যাল বামের
লোকসভা ভোটের আগে এটাই বিরোধীদের প্রথম বড় সভা, হয়ত বা একমাত্রই। ইতিহাসের অপেক্ষায় ব্রিগেড। শনিবার আরও একবার প্রমাণ হতে চলেছে মোদী-বিরোধী মহাজোটের মুখ মমতাই। ১৯৭৭ এর জ্যোতি বসুর ঐতিহাসিক ব্রিগেডকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে মহাজোটের এই মহাব্রিগেড, দাবি এমনটাই।
আরও পড়তে পারেনঃ মার্চেই শুরুতেই ভারতে লোকসভা ভোটের ঘোষণা
দিল্লি না গিয়েও মহাকরণে বসেই, সারা দেশে কংগ্রেস-বিরোধী রাজনীতির মুখ ছিলেন জ্যোতি বসু। সেদিন, বাংলা ছাড়াও কেরল-ত্রিপুরায় বামেদের সরকার ছিল। তৃণমূলের শক্তি বাংলার বাইরে সেভাবে না ছড়ালেও আজ সারা দেশে বিজেপি-বিরোধী রাজনীতির মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আর সেটাই ফের একবার প্রমাণ দেবে শনিবারের মহাব্রিগেড, বলছেন তৃণমূল নেতারা। এক বাঙালিকে সুযোগ দেয় নি তাঁর দল। আর এক বাঙালি কি পারবেন এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে?
আরও পড়তে পারেনঃ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জোড়া ইতিহাস ‘বিরাট’ ভারতের
রাজনৈতিক মহল বলছে, সঙ্গত কারণেই দেশের তাবড় বিরোধী নেতারা আজ মমতাকে সামনে রেখেই উনিশের ভোটযুদ্ধে মাঠে নামতে চাইছেন। নোট বাতিল, জিএসটি, এনআরসি-র মতো ইস্যুতে সবার প্রথম মমতাই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। সব রাজ্যেই আঞ্চলিক দলগুলির লড়াই জেনেও, মহাজোট গড়ার সেই ঐতিহাসিক স্বপ্নে এখনও বুঁদ হয়ে আছেন মমতা। আর তাই মহাজোটের নেতা সেই মমতাই।
আরও পড়তে পারেনঃ পৃথিবী জুড়ে কমছে শিশু, চরম সমস্যায় বিশ্ব সমাজ
লোকসভা নির্বাচনে আসন জয়ের অঙ্কেও তৃণমূলের তৃতীয় বৃহত্তম দল হওয়ার সম্ভাবনা। আসন সমঝোতা করে অখিলেশ-মায়াবতীরা ৩৮ আসনে আটকে। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র বা বিহারের মতো বড় রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি হবে। ফলে, বাংলায় ভাল ফল করলে লোকসভায় তৃতীয় বৃহত্তম দল হতে পারে তৃণমূল। আর সেক্ষেত্রে, সংখ্যা বিচারেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সরকার গড়ার চাবিকাঠি থাকতে পারে তা ভালই জানেন বিরোধী নেতারা। তাই মমতাকে গুরুত্ব দিয়েই সবাই মহাব্রিগেডে।
আরও পড়তে পারেনঃ দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করায় ডি কোম্পানির হাতে পাকিস্তানে খুন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা মহাব্রিগেড আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠছে এক টুকরো ভারত। আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতে তিনি তাই চাঁদের হাট বসাচ্ছেন এবার। তাঁর পাশে ব্রিগেডের মঞ্চে দেখা যাবে সারা ভারতের তাবড় তাবড় নেতাদের।
আরও পড়তে পারেনঃ মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন
থাকছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, ন্যাশান্যাল কনফারেন্স নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, প্রাক্তন বিজেপি নেতা ও বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, অজিত সিং ও জয়ন্ত চৌধুরী, প্রাক্তন বিজেপি নেতা অরুণ শৌরি, গুজরাতের দলিত নেতা জিগনেশ মাভানি, পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল, বিজেপির বিদ্রোহী নেতা ও সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, শরদ যাদব ও যোগেশ কুমার, ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন, বহুজন সমাজ পার্টির সতীশ মিশ্র, বদরুদ্দিন আজমল।
আরও পড়তে পারেনঃ আবার প্রথম থেকে শুরু, সুপ্রিম নির্দেশে রথ চালাতে ফের নবান্নে বিজেপি
আরও থাকছেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি, ঝাড়়খণ্ড নেতা হেমন্ত সোরেন, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী, আপ সুপ্রিমো ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, লালু-পুত্র রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তেজস্বী যাদব, ন্যাশান্যাল কনফারেন্স নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, ঝাড়়খণ্ড এর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি, অরুণাচল প্রদেশের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, মিজোরামের বিরোধী দলনেতা লালডু হোমার। প্রফুল্ল প্যাটেল, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত সহ গোটা দেশের আরও অনেক নেতা।
আরও পড়তে পারেনঃ সপ্তশৃঙ্গর পর সপ্ত আগ্নেয়গিরি, বিরল বিশ্বরেকর্ডের চূড়ায় বাঙালি
ব্রিগেডে প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শনিবারের ‘মহাব্রিগেড’ থেকে ভারতের অখণ্ডতা রক্ষার বার্তা দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। এই অখণ্ডতা হল অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতির। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-এর সম্প্রীতিকে খণ্ড করার অভিযোগ তুলে আসছেন তিনি। আর ঐক্যের বার্তা দিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দিস র্যালি উইল বি ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি।
আরও পড়তে পারেনঃ মন্দিরে ঢুকে বিপ্লবের শাস্তি, পিটিয়ে বৌমাকে হাসপাতালে পাঠাল শাশুড়ি
মমতা বলেন, এটা মেগা র্যালি হবে। এটা বিজেপির বিরুদ্ধে ২০১৯-এর যুদ্ধের মঞ্চ। প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তার বার্তা দেবে। এই সমাবেশ থেকে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের বলার স্বাধীনতা থাকবে।’ আর তাই, তাঁর আমন্ত্রণে ব্রিগেডে সামিল হচ্ছে দেশের সব প্রান্তই।
আরও পড়তে পারেনঃ বাংলায় ক্ষোভ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াচ্ছে মোদী সরকার
মমতা বলেন, ‘এটা মানুষের মহাজোট’। শনিবারের মহাসভা নিয়ে তৃণমূলনেত্রীর সিদ্ধান্তগুলিও বিজেপির বিরুদ্ধে কৌশলী পদক্ষেপ বলা চলে। একের পর শরিক যখন এনডিএ ছাড়ছে, তখন তৃণমূলনেত্রী একসঙ্গে চলার বার্তা তুলে ধরতে চাইছেন। তাই মঞ্চে হাজির অ-তৃণমূল সব নেতাকেই শনিবার ব্রিগেডে বলার সুযোগ দেবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজ্যভিত্তিক দলগুলিই সম্মিলিত ভাবে নির্ধারণ করবে ২০১৯-এর ভাগ্য।’
আরও পড়তে পারেনঃ শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা
আর তাই ফেডারেল ফ্রন্ট। আর সেই ফ্রন্টের মহাজোটে আজ মহাব্রিগেড। রাজ্যে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন এই ব্রিগেডেই বামফ্রন্টের ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজিয়েছিলেন মমতা। এ বার মোদীর মৃত্যুঘন্টা বাজাতে মমতার পাশে মহাব্রিগেডে মহাজোটের নেতারা। এই ব্রিগেডের সফলতা জানা যাবে যদি সত্যি ভোটের আগে মহাজোট হয়। আর ভোটের আগে মহাজোট না হলেও ভোটের পর সুযোগ এলে মহাজোটের সরকার হলে এই ব্রিগেড তার পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে, বলছে রাজনৈতিক মহল।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়তে পারেনঃ
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘ভাবনার বিপ্লব’ ভাবনা কস্তুরীর হাত ধরে
মমতার বাছাইয়ে কারা হবেন বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী
মোদীর প্রকল্পে আর টাকা দেবেন না মমতা, কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে
একদিনে বহিষ্কৃত দুই তৃণমূল সাংসদ, দিদিকে ছেড়ে মোদীর দলে আর কে কে
সিবিআই থেকে দমকলে বদলি, প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন আইপিএস
নতুন বছরের শুরুতেই খারাপ খবর, বড় বড় কোম্পানিতে কর্মী ছাঁটাই
ভোটের আগে মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে মোদী সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>