Buddhadeb Bhattacharjee – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Thu, 16 Jun 2022 07:17:43 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Buddhadeb Bhattacharjee – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 ‘তৃণমূল-বাম সেটিং’, প্রাথমিক টেট দুর্নীতি, চাকরি গেল সিপিএম নেতার মেয়েরও https://thenewsbangla.com/tmc-left-setting-primary-tet-scam-cpm-leader-daughter-dismissed-from-primary-teacher-job/ Thu, 16 Jun 2022 07:10:13 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=15491 ‘তৃণমূল-বাম সেটিং’, প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে চাকরি গেল; ‘দাপুটে’ সিপিএম নেতার মেয়েরও। দুর্নীতির বাজারে, ক্ষমতা চলে গেলেও কি; বাগিয়ে নিয়েছে সিপিএম? উঠে গেল প্রশ্ন। ২০১৪র প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে; ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই তালিকায় অদ্ভুত-ভাবে রয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের একসময়ের দাপুটে সিপিএম নেতার মেয়ের নাম। কীভাবে চাকরি? তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রকাশ্যে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দলন; আর তলায় তলায় নিজেরাও সেই দুর্নীতিতে যুক্ত; অভিযোগ এমনটাই।

২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার পাশাপাশি, ২০১৪র প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায়; সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ২৬৯ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত, বেতন বন্ধ ও বেতন ফেরতের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বরখাস্তের সেই তালিকায় রয়েছে, কালনার ‘দাপুটে’ সিপিএম নেতা ও কালনা পুরসভার দুবারের প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর; বীরেন্দ্র বসু মল্লিকের মেয়ে বৈশাখী বসু মল্লিকের নামও। আর সিপিএম নেতার মেয়ের নাম নিয়েই; শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক চাপানউতোর। সূত্রের খবর, ২৬৯ জনের তালিকায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ১৭ জনের নাম; সেই তালিকার ২ নম্বরে নাম রয়েছে বীরেন্দ্র বসু মল্লিকের মেয়ে বৈশাখী বসু মল্লিকের নামও।

আরও পড়ুনঃ পিএসসি-তে নিয়োগ কয়েকহাজার, প্রকাশিত নামের তালিকা, ‘মামলার আ’শঙ্কা’

একসময়, বামপন্থী সংগঠন All Bengal Primary Teachers Association-র পূর্ব বর্ধমানের পদাধিকারীও ছিলেন; সিপিএম নেতা বীরেন্দ্র বসু মল্লিক। তাঁর স্ত্রীও; একসময় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির দাপুটে নেত্রী ছিলেন। এদিকে বৈশাখীর স্বামীও আবার প্রাইমারি শিক্ষক; যিনি আবার ২০১৫ সালে সিপিএমের হয়ে পুরভোটেও লড়েন। তাহলে কি তৃণমূল জমানায় দুর্নীতিতে; যোগ রয়েছে সিপিএমেরও? উঠেছে প্রশ্ন। বৈশাখী বসু মল্লিকের স্বামী শুভাশিস সরকার বলেন; “এটা কোর্টের বিষয় আমি কিছু বলতে পারব না; আমার স্ত্রী এখন বাইরে আছে”।

২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে, কালনার ধাপাসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের; শিক্ষিকা পদে যোগ দিয়েছিলেন বৈশাখী বসু মল্লিকে। আদালতের নির্দেশে তাঁরও চাকরি গেছে, বিষয়টি জানাজানি হতেই যথেষ্ট শোরগোল ছড়িয়েছে কালনা শহর জুড়ে। সিপিএম নেতার মেয়ের চাকরি পাওয়া এবং বরখাস্ত হওয়ার ঘটনাকে; অ’স্ত্র করেছে তৃণমূলও। কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন; “শুধু তৃণমূলের লোকেরা চাকরি পেয়েছে বলে বিরোধীরা যে দাবি তোলে; তা যে ঠিক নয়, এই ঘটনাই তার প্রমাণ”।

“সিপিএম নেতারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাজার কাঁপাচ্ছে; অন্যদিকে দুর্নীতি করে নিজের ছেলেমেয়েদের চাকরিতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে”; দাবি কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের। এই ঘটনার দায় নিতে নারাজ; পূর্ব বর্ধমান জেলার সিপিএম নেতৃত্ব থেকে এবিপিটিএ কর্তৃপক্ষ। কালনা শহরের এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন; “পার্টিতে যেই থাকুক না কেন; দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। সে যে দুর্নীতি করত না; সেটাও প্রমাণ করার দায়িত্ব তাঁর”।

]]>
রিজওয়ানুর রহমান থেকে আনিস খান, ‘অভিযুক্ত অপরাধী’ রাজ্যের পুলিশই https://thenewsbangla.com/rizwanur-rahman-anish-khan-case-cbi-investigation-kolkata-police-controversy-by-mamata-banerjee/ Thu, 24 Feb 2022 07:55:14 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=14828 রিজওয়ানুর রহমান থেকে আনিস খান; ‘অভিযুক্ত অপরাধী’ রাজ্যের পুলিশই। মানুষের রক্ষাকর্তা হিসাবে যাদের থাকার কথা; তাদের বিরুদ্ধেই সাধারণ নিরীহ মানুষকে খুনের অভিযোগ উঠছে। রিজওয়ানুর থেকে আনিস; সময় বদলেছে, সরকার বদলেছে; তবে বাংলার পরিস্থিতি বদলায়নি, একই আছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ; আজও একই আছে। রক্ষাকর্তা না, আজও সেই খুনির ভুমিকায় রাজ্যের পুলিশ। কোথাও আত্ম-হত্যার প্ররোচনা দেবার অভিযোগ; তো কোথাও সরাসরি ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ।

দিনটা ছিল ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। পাতিপুকুরে রেললাইনের ধার থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর শুনে; কাঁদতে কাঁদতে ‘ইনসাফ’ চেয়েছিলেন কড়েয়ার রিজওয়ানুর রহমানের মা! আজ আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় যেভাবে পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে; রিজওয়ানুরের মৃত্যুর সময়ও, পুলিশ অফিসারদের একাংশের বিরুদ্ধে উঠেছিল চক্রান্তে সামিল হওয়ার অভিযোগ! এরপর সুবিচারের দাবিতে শুরু হয় এক আপোসহীন এক লড়াই। তখন তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়; ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। বহু তত্ত্ব-তর্ক-বিশ্লেষণ-কাঁটাছেঁড়ার পরে; সেদিন গোটা রাজ্য থেকে একটাই আওয়াজ উঠেছিল ‘ইনসাফ’ চাহিয়ে! এখনও সেই আওয়াজই ছড়িয়ে পড়ছে; আমতা থেকে কলকাতার রাজপথে। উঠছে আওয়াজ, অপরাধীদের শাস্তি চাই।

Rizwanur Rahman Anish Khan

রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য জানান; আনিস হত্যা-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আমতা থানার হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছ। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গড়ে; আনিস হত্যা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর এই টিমের মাথায় আছেন, রিজওয়ানুর রহমান হত্যাকাণ্ডে যার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল সেই পুলিশ অফিসার জ্ঞানবন্ত সিং। যদিও আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে এখনও অনড়; নিহত আনিস খানের পরিবার। এবিষয়ে আনিস খানের বাবা ফের একবার বলেন; সিট-এর তদন্তের ওপরে তাঁর ভরসা নেই; আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় পরিবার।

তবে বাম আমলে রিজওয়ানুর কাণ্ডে পুলিশের উপর ভরসা না করে; সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন আনিস হত্যা-কাণ্ডে সেই মমতাই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে সিবিআই তদন্ত খারিজ করে; পুলিশের তদন্তের উপরই জোর দিচ্ছেন; সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে বলছেন। আর এখানেই আপত্তি; আনিস খানের পরিবারের। রিজওয়ানুর কাণ্ডে সিবিআই দাবি, আনিস কাণ্ডে বাতিল; মমতার দুই নীতি কেন?

]]>
পঞ্চম দফা ভোটের আগে মোদী মমতা নিয়ে বিস্ফোরক বুদ্ধদেব https://thenewsbangla.com/buddhadeb-bhattacharjee-said-about-mamata-banerjee-narendra-modi/ Sun, 05 May 2019 16:14:08 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=12420 উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও ধান্দাবাজ পুঁজিপতিদের; মোদী মডেলকে ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে। এই মুহূর্তে জনগণের সামনে; এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। পঞ্চম দফা ভোটের আগে দলিয় মুখপত্রে একথাই বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তৃণমূল সরকারের আমলে যে রাজ্যে জীবনযাত্রা ও জীবনসংস্কৃতির অধঃপতন ঘটেছে; তার উল্লেখ করে ভট্টাচার্যের আহ্বান; তৃণমূল নামক বিপদকে এরাজ্যে পরাস্ত করুন। তা নাহলে রাজ্য বাঁচবে না।

আর কি কি বললেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?
প্রশ্ন; এবারের লোকসভা নির্বাচনে মানুষের সামনে বিকল্প কী? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য; দেশের উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও পুঁজিপতিদের মডেল। আসলে ধান্দাবাজ পুঁজিপতিদের কাছে মোদী বার্তা শুনিয়েছেন; আমি তোমাদেরই চৌকিদার। জনগণের সামনে দায়িত্ব হলো এই মডেলকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া। সারা দেশেই বামপন্থা, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীন অর্থনৈতিক বিকাশই বিকল্প পথ।

আরও পড়ুনঃ মাওবাদী দমনে ব্যর্থ মোদী, মেদিনীপুরের সভা থেকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রশ্ন; ২০০৪ সালে প্রথম ইউপিএ সরকার গঠনে বামপন্থীরা নীতিনির্ধারক ভূমিকা নিতে পেরেছিল; এবারে সেইভাবে বিকল্প তুলে ধরা সম্ভব? বুদ্ধদেব; অবশ্যই সম্ভব। ২০০৪ সালে এটা প্রমাণিত হয়েছিল। প্রথমত; সেবার সাম্প্রদায়িক শক্তি যেমন কোণঠাসা হয়েছিল; তেমনি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়াও সম্ভব হয়েছিল। দ্বিতীয়ত; সংসদে বামপন্থীদের শক্তিবৃদ্ধি ঘটেছিল। দেশে বামপন্থীদের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছিল।

প্রশ্ন; রাজ্যজুড়ে প্রকাশ্যেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিয়ে আপনার বক্তব্য কী? ভট্টাচার্য; মমতামোদী দুজনেই হিসাব করে চাল দিচ্ছেন। বিজেপি তৃণমূলের এই কাণ্ডকারখানার ফলে এরাজ্যে যেভাবে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ঘটেছে; তা অতীতের সব ইতিহাসকে ছাপিয়ে গেছে। এরাজ্যে বিজেপিকে জায়গা করে দেওয়া; তাদের সঙ্গে আপসে লড়াই করে সাম্প্রদায়িকতার এক বিপজ্জনক পরিবেশ তৈরি করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্র ও ছত্তিসগড়ের মত ভোটে মাওবাদী হামলার আশঙ্কা বাংলায়

প্রশ্ন; পশ্চিমবঙ্গে কি অরাজক অবস্থা চলছে? ভট্টাচার্য; গ্রাম-শহরে এক ‌অরাজক অবস্থা, বিশেষ করে তরুণ সমাজের সামনে। তৃণমূল তাদের বিপথে চালিত করছে। একদিকে শিল্প নেই, কৃষি নেই। কিন্তু আছে প্রলোভন, প্ররোচনা। সমাজবিরোধীদের শিবির ফুলে ফেঁপে উঠেছে, কতদিন এভাবে, তা তারা নিজেরাও জানে না! বামপন্থীদের দায়িত্ব এই যুবসমাজকে সঠিকপথে নিয়ে আসা।

প্রশ্ন; এই অরাজক অবস্থাকে সামনে রেখে বিজেপি কি জায়গা করে নিতে চাইছে? ভট্টাচার্য; বিপদ আসছে; কিছু জায়গায় এসেছেও। আমাদেরই দায়িত্ব এই সর্বনাশা দিক থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আনা। তৃণমূলের গরম তেলের কড়াই থেকে; বিজেপির জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ দেওয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ?

আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর যোগ্যতা নেই ভারতীর, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রশ্ন; এই লোকসভা নির্বাচনে মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারছে; বলে কি আপনি মনে করেন? ভট্টাচার্য; এখনও পর্যন্ত যা নির্বাচন হয়েছে; তা ন্যায়নিষ্ঠ নির্বাচন হচ্ছে বলা যাবে না। অতীতের থেকে হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে আংশিক উন্নতি হয়েছে; কিন্তু সামগ্রিক বিচারে পশ্চিমবাংলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে শাসক দল এবং পুলিশের একাংশ।

প্রশ্ন; এরাজ্যে বামপন্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনে মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ব্রিগেডের সুবিশাল সমাবেশে তারই ছাপ। নির্বাচনে তার প্রতিফলন পড়বে? ভট্টাচার্য; অবশ্যই পড়বে। এই সময়ে যে আন্দোলন-সংগ্রামগুলি সংগঠিত হয়েছে; ব্রিগেডে ও অন্যত্র সমাবেশে তার প্রতিফলন ঘটেছে। নির্বাচনে আমরা অবশ্যই তার ফল পাবো; এই আশা রাখি।

আরও পড়ুনঃ দেশের সুরক্ষায় ২০০ ইসলাম ধর্ম প্রচারককে বিতাড়িত করল শ্রীলঙ্কা

প্রশ্ন; বাংলায় একটা ধারণা তৈরি হয়েছে; যে লড়াইটা বিজেপি আর তৃণমূলের। এই নিয়ে মানুষের সামনে আপনার বার্তা কী? ভট্টাচার্য; এরাজ্যের মানুষ যারা বামফ্রন্ট সরকারকে দেখেছেন; এখন তৃণমূল সরকারকেও দেখছেন; তাঁরা এই দুই সরকারের কর্মপন্থা আর ফলাফলও দেখেছেন। তাঁদের কাছে আমার আবেদন; আপনারা তুলনামূলক বিচার করুন। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে আমি বলবো; সংশয়ের গভীরে যান; নিজেরাই এই দুই সরকারের পার্থক্যের মূল্যায়ন করুন।

প্রশ্ন; এরাজ্যে বামেদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ তা আপনি কিভাবে দেখছেন? ভট্টাচার্য; বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালের তুলনায় তৃণমূলের সময়ে; এরাজ্যে জীবনযাত্রা ও জীবনসংস্কৃতির যে অধঃপতন ঘটেছে। তা সবাই অনুধাবন করছেন। এই পথেই এরাজ্যে বিজেপি-র অনুপ্রবেশ। তাই তৃণমূল নামক বিপদকে এরাজ্যে পরাস্ত করতেই হবে। আটকাতে হবে বিজেপি-কে। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে হবে। গোটা দেশে ধান্দাবাজদের চৌকিদারকে হটাতেই হবে। এটাই মানুষের সামনে দায়িত্ব।

]]>
‘রাম’কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিয়ে বাংলায় তুলকালাম https://thenewsbangla.com/tmc-says-no-to-lakshman-seth-after-cpm-and-bjp-he-is-now-for-congress/ Thu, 03 Jan 2019 04:38:22 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=5155 The News বাংলা, কলকাতা: সদ্য ‘রাম’কে ছেড়েছেন লক্ষণ। না রাময়নের রাম-লক্ষণ নয়। সেপ্টেম্বরে গেরুয়া শিবির ছেড়েছিলেন প্রাক্তন কমরেড লক্ষণ শেঠ। শুভেন্দু অধিকারী ও স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে নেয় নি। বিজেপি ছেড়ে সিপিআইএম থেকে বিতাড়িত প্রাক্তন কমরেড এখন বাকি থাকা কংগ্রেসের দিকে। আর একসময়ের সেই দাপুটে লক্ষণ শেঠকে নিয়েই এবার তুলকালাম প্রদেশ কংগ্রেসে।

আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছেড়ে মমতার ‘মহানায়িকা’ এবার মোদীর বক্স অফিসে

‘বৃহস্পতিবারই কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন সিপিআইএম ও বিজেপি ফেরত প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠ’। এমনটাই শোনা যাচ্ছিল গোপন সূত্রে। নানা মামলায় অভিযুক্ত তমলুকের এক সময়ের সাংসদ লক্ষণ শেঠের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম-গণহত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগও আছে। সিপিআইএম তাড়িয়ে দেওয়ায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এবার পা বাড়িয়েছেন বাকি থাকা কংগ্রেসের দিকে।

'রাম'কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে 'হাতে' নিয়ে বাংলায় তুলকালাম/The News বাংলা
‘রাম’কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিয়ে বাংলায় তুলকালাম/The News বাংলা

সিপিআইএম তাড়িয়ে দেবার পর নতুন দল, তারপর বিজেপিতে। তবে, সুবিধা করতে পারেন নি। ফিরে পান নি বাম আমলের সেই দাপট। অন্যদিকে লক্ষণ শেঠকে নিয়ে মানুষের নিন্দার মুখে পড়েছিল বিজেপি। বলাই যায়, বিজেপিতে থাকাকালিন লক্ষন শেঠ হলদিয়ার বুকে রাজনৈতিক ভাবে তেমন কোন দাগ কাটতে পারেন নি। এমনকি লক্ষন শেঠকে নিয়ে বিজেপির মধ্যেও প্রচুর বিতর্ক হয়।

আরও পড়ুন: টানা ২ দিন ধরে সন্ধান নেই ‘শচীনের’, বিপদ চিন্তায় প্রশাসন

জেলাস্তরেও বিজেপি কর্মীরা হলদিয়ার প্রাক্তন সাংসদকে পাত্তা দিতেন না। নন্দীগ্রামের গনহত্যার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপি কর্মীরাও লক্ষণ শেঠকে প্রকাশ্যে দায়ি করতেন। এর ফলে হলদিয়ার প্রাক্তন সাংসদ দলে ক্রমেই একা হয়ে পড়েছিলেন। রাজনৈতিক ভাবেও তিনি ছিলেন নি:সঙ্গ।

আরও পড়ুন: নারী ঢোকায় ‘অপিবত্র’ শবরীমালা, ‘শুদ্ধ’ করার জন্য বন্ধ মন্দির

‌লক্ষণ শেঠ ও জেলা জুড়ে থাকা তার কয়েক হাজার অনুগামী লক্ষণের তৈরি ‘ভারত নির্মান’ পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে পুরোনো বিজেপি ও নতুন বিজেপির মধ‍্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় জেলা জুড়ে। পাশাপাশি, লক্ষণের হাত ধরে পুরোনো সিপিএম নেতারা গেরুয়া পোষাক পরলেও তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে তাদের পুরোনো শত্রুতার কারনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হতে থাকে বিজেপি কর্মীরা।

'রাম'কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে 'হাতে' নিয়ে বাংলায় তুলকালাম/The News বাংলা
‘রাম’কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিয়ে বাংলায় তুলকালাম/The News বাংলা

‌যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে বিজেপি। ওদিকে হলদিয়া পুরসভা ভোটের পর দলে লক্ষণ শেঠের গুরুত্ব ক্রমশ কমতে থাকে। নন্দীগ্রাম কান্ডে অভিযুক্ত লক্ষণ বাবুকে দলে নেওয়ার কারণে জেলায় বিজেপির ভাবমূর্তি খারাপ হতে থাকে জেলার বড় অংশের মানুষের কাছে। তা থেকে মুক্তি চাইছিল বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে লক্ষণ শেঠের বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার ফলে, খুশী হয়েছিলেন জেলার বিজেপি কর্মীরা।

আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনাকে প্রথম অভিনন্দন জানালেন নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপির মায়া কাটিয়ে এবার ‘নন্দীগ্রামের খলনায়ক’ এখন কংগ্রেসের পথে। আর এই নিয়েই কংগ্রেস শিবিরে শুরু হয়েছে তীব্র মতান্তর। ফলে আপাততঃ থমকে আছে, ‘হাতে’ লক্ষণ পাওয়ার ব্যাপারটা।

আরও পড়ুনঃ দেশপ্রেম বাড়াতে স্কুলের রোল কলে এবার ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় ভারত’

অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীন অনেকবার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও কংগ্রেসে ঢোকা সম্ভব হয় নি। অধীর চৌধুরীর আপত্তি ছিল লক্ষণে। তবে শোনা যাচ্ছে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর অত ছুঁতমার্গ নেই লক্ষণের ব্যাপারে।

আরও পড়ুন: শুধুই হ্যাপি নিউ ইয়ার নয়, ১লা জানুয়ারী ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের কল্পতরু উৎসবও

সোমেন মিত্রর সঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিকবার বৈঠকও করেছেন লক্ষণবাবু। তবে প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতৃত্ব লক্ষণ শেঠকে দলে গ্রহণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানিয়েছেন। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁরা।

'রাম'কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে 'হাতে' নিয়ে বাংলায় তুলকালাম/The News বাংলা
‘রাম’কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিয়ে বাংলায় তুলকালাম/The News বাংলা

প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরের খবর, এই আপত্তিকে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরে শীর্ষস্তর থেকে জানানো হয়, পূর্ব মেদিনীপুরে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করানোর লক্ষ্যেই লক্ষণ শেঠকে দলে গ্রহণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভোরবেলায় শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস সৃষ্টি ‘মা দুর্গার’

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন মামলায় ফেঁসে থাকা লক্ষণ শেঠের একটা রাজনৈতিক পরিচয় খুব দরকার। সিপিআইএম থেকে বিতাড়িত, গেরুয়া ছাড়ার পর একটা দলের ঝান্ডা এখনই দরকার লক্ষণের। স্বনামে ও বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক লক্ষণের নাম ও সম্পত্তি বজায় রাখতে রাজ্যের একটা নামি রাজনৈতিক দল দরকার। নাম, প্রতিপত্তি ও সম্পত্তি টিকিয়ে রাখতে রাজনীতির ব্যবসা ছাড়া আর কি আছে?

আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য জয়, ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জিতে ফের ক্ষমতায় শেখ হাসিনা

অন্যদিকে বাংলা কংগ্রেসের টাকার দরকার। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে, আন্দোলন করতে টাকার দরকার প্রদেশ কংগ্রেসের। অধীর চৌধুরী সভাপতি না থাকায় সেই দিকে একটা সমস্যায় সোমেনের কংগ্রেস। লক্ষণকে দলে নিয়ে তার ‘সাদা বা কালো টাকা’ কিছুটা হলেও পাবে কংগ্রেস।

আরও পড়ুনঃ নতুন বছরে পেট্রোল ডিজেলের দাম রেকর্ড কমতে চলেছে

ফলে লক্ষণ ও কংগ্রেসের একে অপরকে দরকার। তাই লোকসভা ভোটের আগেই লক্ষণকে হাতে চায় সোমেনের কংগ্রেস। রাজ্য সভাপতি হবার পরেই, তৃণমূলকে ছাড়া বাংলায় একা লড়ার কথা জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে বলে এসেছেন সোমেন মিত্র। তৃণমূল ও বিজেপির মত একা করতে চান ব্রিগেড সমাবেশও। আর লড়তে হলে জেলায় লক্ষণের অনুগামীদের পাশাপাশি রাজ্যে লক্ষণের অগাধ টাকার কিছুটা খুব দরকার কংগ্রেসের।

'রাম'কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে 'হাতে' নিয়ে বাংলায় তুলকালাম/The News বাংলা
‘রাম’কে ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিয়ে বাংলায় তুলকালাম/The News বাংলা

আর তাই, আজ বৃহস্পতিবারই কংগ্রেসে যোগ দেবার কথা ছিল লক্ষণ শেঠের। তবে পূর্ব মেদিনীপুর ও রাজ্যের বিভিন্ন কংগ্রেস নেতাদের আপত্তিতে আপাততঃ সেটা হচ্ছে না। নন্দীগ্রাম গণহত্যার প্রধান অভিযুক্তকে দলে নেওয়ার খবর প্রচার হতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া শুরু হয় পূর্ব মেদিনীপুর ও অন্যান্য জেলা এবং কলকাতার সাধারণ মানুষের তরফ থেকেও।

আরও পড়ুনঃ চিন সীমান্তে ভগবান হয়ে পর্যটকদের উদ্ধার ভারতীয় সেনার

তবে এই নিয়ে মুখ খুলতে চান নি অধীর চৌধুরী থেকে সোমেন মিত্র কেউই। কিছু বলতে চান নি লক্ষণ শেঠও। ‘কংগ্রেসের সব সিদ্ধান্ত হাইকমান্ড নেন’ বলেই জানানো হয়েছে। বাংলার কংগ্রেস নেতারা বুঝে গেছেন লক্ষণের টাকার সঙ্গে তার বদনামের ভাগীদারও হতে হবে। সেই তুলনায় তাকে নিয়ে রাজনৈতিক লাভ কতটা হবে, সেই হিসাবই আপাততঃ কষছেন তাঁরা।

সব নিয়ে আপাততঃ ‘লাল’ ও ‘রাম’ ছেড়ে আসা লক্ষণকে ‘হাতে’ নিচ্ছে না কংগ্রেস। তবে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে ঢুকতেই পারেন একসময়ের ‘মেদিনীপুরের সম্রাট’ লক্ষণ শেঠ। প্রাক্তন কমিউনিস্ট নেতা বাম থেকে গেরুয়া হয়ে ডানের হাতে কবে নিজেকে সঁপতে পারেন সেটাই এখন দেখার।

]]>