Bengal Unrest – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Thu, 20 Jun 2019 15:40:44 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Bengal Unrest – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 রাজ্য জুড়ে অস্থিরতার মাঝেই, মহালয়ার বাকি আর মাত্র ১০০ দিন https://thenewsbangla.com/mahalaya-remaining-only-100-days-pujo-preparation-in-bengal-unrest/ Thu, 20 Jun 2019 15:36:36 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=14204 রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা। ভাটপাড়ায় বৃহস্পতিবার মারা গেলেন; দুজন সাধারণ মানুষ। আর এর মাঝেই বাঙালির কাছে খুশির হাওয়া। অপেক্ষার আর মাত্র ১০০ দিন৷ হ্যাঁ বৃহস্পতিবার থেকে; মহালয়ার দূরত্ব মাত্র ১০০ দিনের। মহালয়া অর্থাৎ পিতৃপক্ষের শেষ ও দেবীপক্ষের সূচনা। ব্যস্ততা বৃদ্ধি পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে।

বাঙালির জীবনে মহালয়ার এক গুরুত্ব বা মাধুর্য আছে৷ সেই গরুর গাড়ির সময়ের থেকে; আজকের ফোর জি যুগে বিন্দুমাত্র ম্লান হয়নি মহালয়ার বন্দনা। ইউটিউব বা অন্য সূত্র থেকে যতই ডাউনলোড করা হোক না; বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ; আজও চিরস্মরণীয়। সময়ে অসময়ে তা শুনতে তা মন্দ লাগেনা।

মহালয়া মানেই পুজোর ঢাকে কাঠি৷ এই দিনই শুরু হয় দেবীর চক্ষুদান। এই সব কিছুই জানান দেয়; পুজোর আর মাত্র কটা দিন। আর মহালয়ার ১০০ দিন বাকি মানেই পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে; কাউন্টডাউন শুরু, ব্যস্ততা বৃদ্ধির শুরু।

এই বছরের মহালয়া তিথি ২৯ শে সেপ্টেম্বর পড়েছে। ৩ অক্টোবর তারিখ পড়ছে মহাপঞ্চমী। মানে আর মাত্র ৩ টে মাস। ঝড়ের বেগে কেটে যায় এই ৩টি মাস। শুরু হয়ে গিয়েছে পাড়ায় পাড়ায়; প্যান্ডেল তৈরির কাজ। অবশ্য খুঁটি পুজো থেকেই; শুরু হয়ে যায় পুজোর কাউন্টডাউন। রথযাত্রার দিন থেকেই শুরু হয় খুঁটিপুজো।

মায়ের প্রতিমা তৈরি করতে থাকে কারিগররা। পুজোর এই চারটি দিন বাঙালির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে পুজোর গন্ধ। মহালয়ার সকাল শুরু হয় পিতৃতর্পণ, গঙ্গাস্নান দিয়েই। নীল আকাশে মেঘের ভেলা; পাড়ার মাঠে পুজোর প্যান্ডলের বাঁশ বাঁধার আওয়াজ; শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধ।

ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের পুজো নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা, উৎসাহ; শহর ও শহরতলিতে পুজোর কেনাকাটায় মানুষের ব্যস্ততা; পুজো স্পেশ্যাল সাজসজ্জা, সেলুন বা বিউটি পার্লারের উপচে পড়া ভিড়। মহালয়া মানেই পুজোর শুরু। আর সেই মহালয়ার ১০০ দিন বাকি মানেই; পাড়ার ও ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তাদের চিন্তার শুরু।

কাউন্টডাউন শুরু। আর তো কটা দিন। পুজোর আনন্দে শহরতলি থেকে; ঝেঁটিয়ে শহরে আসা প্রবল উৎসাহী মানুষের ভিড়ে; কোথায় যেন হারিয়ে যায় জীবনের নানান দুঃখ, যন্ত্রণা ও না পাওয়ার হাহাকার। বাঙালির জীবনে এই চার পাঁচটি দিনই যেন; লিখে যায় স্বপ্নপূরণের রূপকথা।

]]>
একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্যই বাংলায় অশান্তি, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ https://thenewsbangla.com/dilip-ghosh-controversial-remark-bengal-unrest-for-a-special-community/ Wed, 12 Jun 2019 14:27:11 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13705 একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্যই রাজ্যে অশান্তি; বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। “ভোট পাবার জন্য; মমতা কোন ব্যবস্থা নেন না। একটি বিশেষ সম্প্রদায় জানে; তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে না পুলিশ, তাই এত অশান্তি”; বুধবার বিজেপি রাজ্য অফিসে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। এই মন্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় রাজনীতি করার অভিযোগ তৃণমূলের।

“দুধের গরু যাদের লাথ খান মমতা; তাদের জন্যই রাজ্যে অশান্তি”, বিস্ফোরক দিলীপ। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতির জন্যই; ভেঙে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা”। বুধবার বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে; এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, “শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার অধিকারেই; আইনে বাইরে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিপন্ন করছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়”।

বাংলায় অশান্তি থামাতে এবার হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী

দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল বন্ধ। বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবাও ব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ রোগী আসেন। অনেকে ক্যানসার আক্রান্ত। কী অবস্থায় আছেন তাঁরা! ডাক্তাররা আজকে পরিষেবা দেননি। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা? তাঁরা বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা বিপন্ন। একাধিক হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে”।

এরপরেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন; “বিকেল পাঁচটায় রোগী মারা গেল, আর রাতে এনআরএসে অবাধে ঢুকে পড়ল দুষ্কৃতীরা। হাসপাতাল মারপিট করার জায়গা?” মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করে দিলীপ বলেন; “একটি বিশেষ সম্প্রদায়, যাদের দুধ খান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়; তারাই সন্দেশখালিতে খুন করেছে”।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির লালবাজার অভিযান ঠেকাতে কলকাতা পুলিশের ইলেকট্রিক শক

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন; “গতবছর কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে হামলা করেছে; এই বিশেষ সম্প্রদায়। আইনের বাইরে গিয়ে খালি মমতাকে ভোট দেওয়ার অধিকারে আইনশৃঙ্খলাকে বিপন্ন করছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়। বিজেপির উপরে হামলা করা হচ্ছে। গত এক বছরে একটাও এফআইআর দেখলাম না। কেউ সাজা পেল না”।

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন; “ডায়মন্ডহারবারের একাধিক গ্রাম হিন্দুশূন্য করা হয়েছে। সন্দেশখালিতে খুনিরাও একই সমাজের। একটা সমাজের লোকেদের; নিজেদের স্বার্থে দুষ্কৃতী তৈরি করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই সমাজের যারা মাথা তাদের বলব; এদের ফাঁদে পা দেবেন না”। এরপরেই রাজ্যে শুরু হয়েছে হইচই।

]]>