Bengal Election 2019 – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Tue, 19 Mar 2019 05:36:50 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Bengal Election 2019 – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 ভোটের দিন ঘোষণার পরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বাংলায় এগিয়ে তৃণমূল https://thenewsbangla.com/tmc-ahead-of-all-parties-in-bengal-after-announced-the-candidates-list-much-earlier/ Tue, 19 Mar 2019 05:32:19 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=8760 ভোটের আগেই কয়েক কদম এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের দিন ঘোষণার পরেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ৪২ টি আসনেই একদিনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারেও নেমে পরেছেন সবাই। আর এখানেই অনেকটা এগিয়ে গেছে মমতার তৃণমূল।

প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে নি। এখনও ভরসা অন্য দল থেকে কবে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা আসবে দলে। এসে ভোটে দাঁড়াবে। প্রচার তো অনেক দূরে, প্রার্থীই ঠিক হয় নি গেরুয়া শিবিরের।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় চার দলের লড়াই, ২০১১ র ভুল ২০১৯ এ করল না কংগ্রেস

বাম-কং জোট করার অনেক চেষ্টা করে শেষে কিছু কিছু করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে এখন। শুক্রবার বামেরা ২৫টি আসনে আর সোমবার রাতে কংগ্রেস মাত্র ১১ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে।

ভোটের মুখে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের বেহাল দশা বুঝতে পেরেছে বাংলার আমজনতা। তাদের কাছেও বিরোধী দলগুলির হাল পরিষ্কার। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দিতে না দেবার অভিযোগ করা হয়েছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবার সেই অভিযোগও নেই। কারণ নিজেরাই প্রার্থী দিতে পারছে না বিরোধী দলগুলি। আর এভাবে সাধারণ মানুষের কাছে খুব একটা ভালো বার্তা যাচ্ছে না বিরোধী দলগুলোর তরফ থেকে।

আরও পড়ুনঃ চোখ মেরে শাড়ির আঁচল ফেলে প্রচার মুনমুনের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

অন্যদিকে জেলায় জেলায় ভোটপ্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সেই আগের রবিবার থেকেই। প্রার্থী তালিকা প্রকাশে অনেক এগিয়ে থাকায়, প্রচারের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল। প্রথম দফার প্রচারের ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি প্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রার্থীরা প্রচারে বেরিয়ে পড়ে অনেকটাই এগিয়ে বিরোধী বাম-বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীদের চেয়ে।

আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়ায় অনাস্থা, তৃণমূল বনাম বিজেপির জমজমাট লড়াই

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন উচ্চ নেতৃত্বর কাছে লিস্ট জমা পড়ে গেছে, আজকালের মধ্যেই বাংলায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে। বিজেপি রাজ্যের বিরোধী দল হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইছে আর তারা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে সবার শেষে। মঙ্গলবার ঘোষণা করলেও সেটা হবে তৃণমূলের প্রায় ১০ দিন পরে।

আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়

বিরোধীদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে সব জল্পনার মাঝে অনেকটাই এগিয়ে গেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের প্রার্থীরা দেওয়াল লিখন, কোথায় ফুটবল খেলে, কোথাও কোথাও বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেছে। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দল সেই তুলনায় লড়াই শুরুই করতে পারে নি।

কং বিজেপি এখনও ময়দানেই নেই। বামেরা কিছু জায়গায় প্রচার শুরু করেছে। কিন্তু গোটা রাজ্যেই অনেকটাই এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। কারণ তৃণমূল ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে অনেক আগেই।

আরও পড়ুনঃ বাম কংগ্রেস বিজেপির আপত্তি নেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন মাথাব্যথা শুধু তৃণমূলের

আর এখানেই বাজিমাত তৃণমূলের। লড়াই শুরুর আগেই অনেকটা এগিয়ে মমতা শিবির। এরপর প্রচার শুরু করে প্রার্থীর নাম লেখার দেওয়ালই পাবে না বিরোধীরা। ফলে বলাই যায়, ভোটের আগেই বিরোধীদের টেক্কা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই এগিয়ে যাওয়া আটকে ঘাসফুল শিবিরকে বিরোধীরা কতটা বেগ দিতে পারে সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুনঃ অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
বাংলায় চার দলের লড়াই, ২০১১ র ভুল ২০১৯ এ করল না কংগ্রেস https://thenewsbangla.com/four-party-battle-in-bengal-lok-sabha-vote-congress-announce-candidates-in-bengal/ Tue, 19 Mar 2019 04:07:59 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=8755 ২০১৯ লোকসভায় বাংলায় ৪ দলের লড়াই। তৃণমূল-বিজেপি-বাম-কংগ্রেস। সোমবারই ঠিক হয়ে যায় বাংলায় বাম কংগ্রেস জোট হচ্ছে না। তারপরেই রাত ১১ টায় প্রথম তিন পর্বের ১১ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। ২০১১ র ভুল ২০১৯ এ করল না কংগ্রেস, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রথম তিন দফার ১১ টি আসনের জন্য ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ কংগ্রেসের তরফে দেশের বেশ কিছু লোকসভা আসনের সঙ্গে বাংলার ১১ টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ চোখ মেরে শাড়ির আঁচল ফেলে প্রচার মুনমুনের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

প্রতিটি আসনে তিন-চার জন প্রার্থীর নাম নিয়ে সোমবার দিল্লি গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। দুপুরে সভাপতি রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই ১১ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত করা হয়। রাত ১১ টা নাগাদ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়ায় অনাস্থা, তৃণমূল বনাম বিজেপির জমজমাট লড়াই

প্রথম তিন দফার ভোটে বাংলার ১১ জন কংগ্রেস প্রার্থী হলেন, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রিয়া রায়চৌধুরী, আলিপুরদুয়ারে মোহনলাল বসুমাতা, জলপাইগুড়িতে মণিকুমার দারনাল, দার্জিলিংয়ে শঙ্কর মালাকার, রায়গঞ্জ আসনে দীপা দাশমুন্সি, বালুরঘাটে আবদুস সাদেক সরকার, মালদহ দক্ষিণ আসনে আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালুবাবু), মালদহ উত্তরে ঈশা খান চৌধুরী, বহরমপুরে অধীর চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ আসনে আবু হেনা এবং জঙ্গিপুর আসনে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়

যে ১১ টি আসনে কংগ্রেস তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তার অনেকগুলিতেই বামফ্রন্টও প্রার্থী দিয়েছে। জোট জটের শুরুতে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির হস্তক্ষেপে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনের জট কেটেছিল ঠিকই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই দুটি আসনেও প্রার্থীদের নামে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর ফলে রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সির দল ছাড়ার প্রসঙ্গও আপাতত চাপা পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ বাম কংগ্রেস বিজেপির আপত্তি নেই, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন মাথাব্যথা শুধু তৃণমূলের

বেশ কয়েকদিন ধরেই বাম-কং আলোচনা চলছিল আসন সমঝোতা নিয়ে। কিন্তু চূড়ান্ত হওয়ার আগেই গত শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠকের পর রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ সহ ২৫টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। একতরফা প্রার্থী ঘোষণাকে ‘অপমান’ হিসাবেই নিয়েছিল কংগ্রেস। সে দিনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, বাংলায় বাম-কং আসন সমঝোতা হচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

সব চেয়ে বেশি জটিলতা তৈরি হয় বীরভূম আসন নিয়ে। বামেদের প্রার্থী তালিকায় ২৫ নম্বরে বীরভূমের নির্দল প্রার্থী হিসেবে নাম ছিল রেজাউল করিমের। কিন্তু তখনও তিনি কংগ্রেসের নেতা। নিজেদের দলের লোকের নাম বাম তালিকায় দেখে ক্ষুব্ধ হন সোমেন মিত্র ও অন্যান্যরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে ক্ষোভের কথা জানান সোমেন মিত্র। এরপরই বোঝা যাচ্ছিল যে ভেস্তে যেতে চলেছে জোট।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নিয়ে অশ্লীল ও বিতর্কিত মন্তব্য ক্ষিতির

রবিবার সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, “মনে হচ্ছে ৪২ টি আসনেই আমাদের প্রার্থী দিতে হবে”। আদতে সেটাই হল সোমবার রাতে। বাকি আসনে কংগ্রেস কাকে কাকে প্রার্থী করে সেটাই এখন দেখার।

>আরও পড়ুনঃ বিরোধী মহিলা প্রার্থীদের ‘মাল’ সম্বোধন করে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ ফিরহাদের

২০১১ তে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে বামকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট। জোট কংগ্রেসের পক্ষে লজ্জাজনকই হয়। কিন্তু তারপরেই তৃণমূলের কৌশলে দলটাই ভাঙতে বসে কংগ্রেসের। সব নেতাদেরই দলে ঢুকিয়ে নেয় তৃণমূল। এবার আর সেই লজ্জাজনক জোট করল না কংগ্রেস।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>