এই মুহূর্তে রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াও প্রবলভাবে বইতে শুরু করেছে বলেই দাবী বিজেপির। সেদিক থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের প্রবনতাও বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন দল ছেড়ে অন্য দলে সামিল হচ্ছেন বিভিন্ন দলের সমর্থকরা। তবে বিজেপিতে যোগদানের প্রবনতাই বেশি।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় না আমেরিকান, যাদবপুরে গ্রেট খালির ভোট প্রচার নিয়ে এবার জোর বিতর্ক
এবার সেই হাওয়ায় বড় ধরনের ফাটল ধরল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শঙ্কুদেব পন্ডার হাত ধরে এক ছাতার তলায় বিজেপিতে সামিল হলেন প্রায় ৫ হাজার ছাত্রছাত্রী। ভোটের মুখে এই দল পরিবর্তন কিছুটা হলেও বিজেপির ছাত্র আন্দোলনকে ভরসা দেবে, বলেই মনে করছে বিজেপি।
গতকাল শনিবার উত্তরবঙ্গের একাধিক কলেজ থেকে ৫ হাজার পড়ুয়া থেকে শিক্ষাকর্মী টিএমসিপি ছেড়ে বিজেপির পতাকা তুলে নেন এবং সংঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি বা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে নাম লেখান। ভোটের পরও এই ভাঙন জারি থাকবে বলেই জানিয়েছেন শঙ্কুদেব পন্ডা।
আরও পড়ুনঃ মোদীর হেলিকপ্টারে তল্লাশি, সাসপেনশন তুলে নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
আগামী দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ টি কলেজে এবিভিপির সংগঠন খুলবে বলে জানান শঙ্কুদেব। টিএমসিপির সব সক্রিয় নেতাকর্মীরাই আগামী দিনে এবিভিপিতে যোগ দেবেন বলে জানান টিএমসিপির এই প্রাক্তন ছাত্রনেতা। এদিকে ভোট মিটে গেলেই তৃণমূলের মহাভাঙন অপেক্ষা করছে বলে জানান তিনি।
তবে শঙ্কুদেব পন্ডার এই দাবী উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শঙ্কুদেব পন্ডার তৃণমূল ভাঙার কোন ক্ষমতাই নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতারা। রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীরা তৃণমূলের সঙ্গেই আছে সেটা বিভিন্ন আন্দোলনের পর একেবারেই পরিষ্কার বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।
আরও পড়ুনঃ সব মোদীই চোর, বক্তব্যের জেরে রাহুলকে সমন পাঠালো বিহারের আদালত
তবে এতেই ভবিষ্যতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে আরও ভাঙন ধরান সম্ভব বলেই মনে করছে বিজেপি ছাত্র সংগঠন। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শঙ্কুদেব পন্ডার এই কৃতিত্বকে একদম পাত্তা দিতেই রাজি নয় তৃণমূল ছাত্র সংগঠনও। ছাত্র সংগঠন যে ঘাসফুলের দখলেই থাকবে সেটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে তারা।
]]>আরও পড়ুনঃ মমতা আরএসএস কোর কমিটির সদস্য, জানিয়ে দিলেন অধীর
বিজেপি–র রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে নাটক অব্যাহতই ছিল মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিনেও। এই কেন্দ্রের জন্য দলের ঘোষিত প্রার্থী ডাঃ মুকুট মণি অধিকারীর প্রার্থিপদ নিয়ে জটিলতা ছিলই। স্ক্রুটিনির আগে সরকারি চাকরি ছাড়ার ছাড়পত্র না পেলে বাতিল হতই তাঁর প্রার্থিপদ। আর সেটাই হল। এসে পৌঁছায় নি তাঁর রিলিজ অর্ডার। ফলে বাতিল হয়ে গেল তাঁর মনোনয়ন পত্র।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রতর নকুল দানার পরিবর্তে মুড়ির মোয়ায় ভরসা লকেটের
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী মুকুট মণি অধিকারী এদিন মনোনয়নপত্র পেশও করেন। পাশাপাশি এদিন দলের হয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করেন দলের নদিয়া দক্ষিণের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি জগন্নাথ সরকারও। দুজন কিছুক্ষণ বসে থাকলেও কথাবার্তা বিশেষ বলেননি।
মুকুটমণি জানিয়েছেন, দলের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করছেন। তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেটা মিটে যাবে। তাঁর দল বিষয়টি দেখছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর সরকারী চাকরিতে ইস্তফাপত্র এসে পৌঁছায় নি।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা নয় কোচবিহার থেকে ভোট মনিটরিং করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
দলের হয়ে জগন্নাথ সরকার বা অন্য কেউ মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন বলে তাঁর কিছু জানা নেই, বলেই এদিন জানান মুকুট মণি অধিকারী। দল এ বিষয়ে তাঁকে কিছু জানায়নি বলেই জানান তিনি। অন্যদিকে এ বিষয়ে জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, দলের ঘোষিত প্রার্থী ডাঃ মুকুটমণি অধিকারী। তবে তাঁর প্রার্থিপদ নিয়ে জটিলতা আছে। সে কারণেই দলের নির্দেশে তিনিও প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পথ হারাল মমতার হেলিকপ্টার, হতে পারত বড় বিপদ
এদিন এই দুই প্রার্থীই নদীয়া জেলাশাসকের কার্যালয়ে আলাদাভাবে তাঁদের অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করে এসে মনোনয়নপত্র পেশ করেন। কার্যালয়ে এই সময়ে প্রচুর মানুষ ঢুকে যান। তার ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ অতিরিক্ত বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে বার করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মুকুট মণি অধিকারীর বদলে জগন্নাথ সরকার প্রার্থী হওয়ায় সাপে বর হল বলেই মনে করছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
আরও পড়ুনঃ মোদীকে আটকে দিল নির্বাচন কমিশন, ভোটের আগে জোর ঝটকা
এছাড়াও বিজেপি–র অতিপরিচিত আরও দু–জন নেতাও এদিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এঁরা হলেন মানবেন্দ্র রায় এবং সুজিত বিশ্বাস। মানবেন্দ্র রায় এর আগে ২০১৫ সালে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি–র প্রার্থী হয়েছিলেন। এই দুই প্রার্থী কিছু বলতে চাননি। তবে জানা গেছে, এঁদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের প্রতীক সংবলিত নথি দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে এঁরা প্রার্থিপদ প্রত্যাহার না করলে, নির্দল হিসেবে পরিগণিত হবেন।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিমির বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকল যাদবপুর
আরও পড়ুনঃ ভোট বুথে গুন্ডাগিরি ও রিগিং রুখতে নির্বাচন কমিশন আনল বিশেষ অ্যাপ
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়ুনঃ সাহস থাকলে কেরালা বা তামিলনাড়ু থেকে লড়ুন, মোদীকে চ্যালেঞ্জ শশীর
এদিন প্রকাশিত বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে, বিগত ৫ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন রকম প্রকল্প ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের দ্বারা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমস্ত প্রকার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছে সরকার; উন্নয়ন স্থাপনের পথে যত প্রকার বাধা বিপত্তি এসেছে, সরকার সমস্ত রকম বাধাকে অতিক্রম করার চেষ্টা করেছে; উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে অর্থনৈতিক সাহায্য বরাদ্দ করেছে সরকার। জনসংঘ প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের সরকার, এমনই বলা হয়েছে ইস্তাহারে।
আরও পড়ুনঃ নারদা-সারদার মূল পান্ডাকে কোলে নিয়ে ঘুরছেন মোদী, দিনভর তরজা মুকুল মমতার
ইস্তাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩৫ এ ধারা কাশ্মীরের অস্থায়ী জনগন ও মহিলাদের জন্য পক্ষপাতদুষ্ট এবং এই ধারা বিলোপের জন্য বিজেপি বদ্ধ পরিকর। বিজেপি মনে করে, ৩৫ এ নং ধারা জম্মু ও কাশ্মীরের সামগ্রিক উন্নতির পক্ষে বাধাস্বরূপ। ৩৫ এ ধারা বিলোপ করে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে বিজেপির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে ইস্তাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোট বন্ধ করে দেবার হুমকি লকেটের
বিতাড়িত কাশ্মিরী পন্ডিতদের নিরাপদে ফেরানোর সমস্ত রকম উদ্যোগ নেবে বিজেপি, এমনই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েও কাশ্মীরে তাদের বসবাসের সুব্যবস্থা করবে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয়দের বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করলেন রাহুলের গুরু পিত্রোদা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়ুনঃ সাহস থাকলে কেরালা বা তামিলনাড়ু থেকে লড়ুন, মোদীকে চ্যালেঞ্জ শশীর
রবিবার উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের দেওবন্দে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির যৌথ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই প্রকাশ্য জনসভায় নির্বাচনী আচরণ বিধি না মেনেই মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে মহাজোটকে ভোট দিতে বলেন।
আরও পড়ুনঃ নারদা-সারদার মূল পান্ডাকে কোলে নিয়ে ঘুরছেন মোদী, দিনভর তরজা মুকুল মমতার
মুসলিম ভোট ভাগ হলে সুবিধা পাবে বিজেপি, জনসভা থেকে সেই সূত্রই মায়াবতী স্মরণ করিয়ে দিলেন সংখ্যালঘুদের। এদিন কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়কেই কটাক্ষ করেন মায়াবতী।
আরও পড়ুনঃ বারাসাত কেন্দ্রের বিজেপি ভোট প্রার্থী নিজেই কোনদিন ভোট দেননি ভারতে
মায়াবতী বলেন, উত্তরপ্রদেশে মহাজোট গঠন হবার পরেই ওই কেন্দ্রে মুসলিম প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল জোটের তরফে। পরে কংগ্রেস তাদের পক্ষ থেকেও মুসলিম প্রার্থী ঘোষণা করে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেস মহাজোটের সমকক্ষ নয়, তাই বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মহাজোটকেই ভোট দিতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোট বন্ধ করে দেবার হুমকি লকেটের
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মায়াবতী বলেন, বিজেপির ভ্রান্ত জনবিরোধী নীতির জন্যই বিজেপি পুনরায় আর ক্ষমতায় ফিরবে না। নরেন্দ্র মোদী সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে অসফল হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মায়াবতীর অভিযোগ, জনগনের উন্নয়ন না করে কোটি কোটি টাকা পাবলিসিটিতে খরচ করছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয়দের বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করলেন রাহুলের গুরু পিত্রোদা
এদিকে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট প্রার্থনা করায় মায়াবতীকে এক হাত নিয়েছেন সুব্রামনিয়াম স্বামী। মায়াবতীর মন্তব্যে নির্বাচনী আচরণ বিধি তোয়াক্কা করা হয়নি বলে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তাহারকে প্রো জিহাদ ও অ্যান্টি ইন্ডিয়া বলে আক্রমণ কোয়েনা মিত্রের
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠন করেছে অখিলেশ যাদবের এসপি, মায়াবতীর বিএসপি ও অজিত সিংয়ের রাষ্ট্রীয় লোকদল। ৮০টি লোকসভা আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে এসপি, বিএসপি ও আরএলডির মধ্যে আসনরফা হয়েছে যথাক্রমে ৩৮, ৩৭ এবং ৩ টি আসনে।
আরও পড়ুনঃ লাইভ ডিবেটে অসহিষ্ণুতা, সঞ্চালক ও বিজেপি নেতার দিকে গ্লাস ছূঁড়লেন কংগ্রেস নেতা
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি সারা দেশে একাই ৫০৩ টি আসনে প্রার্থী দেয়। যদিও একজন প্রার্থীও কোনও আসনে জয়লাভ করতে পারেনি বিগত লোকসভা নির্বাচনে।
আরও পড়ুনঃ বিরিয়ানি নিয়ে হাতাহাতি কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে, ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
উত্তরপ্রদেশে মোট ৭ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ১১ই এপ্রিল থেকে ১৯শে মে পর্যন্ত। ভোট গননা এবং ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২৩শে মে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তৃণমূল সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্র ও কোটি কোটি টাকা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়ুনঃ বারাসাত কেন্দ্রের বিজেপি ভোট প্রার্থী নিজেই কোনদিন ভোট দেননি ভারতে
রবিবার উত্তরবঙ্গের ফালাকাটার মমতা ব্যানার্জী বলেন, মোদী নিজে নারদ-সারদা নিয়ে চিৎকার করে করে করছেন অথচ নিজেই ওই সব কেলেঙ্কারির মূল পান্ডাকে কোলে নিয়ে ঘুরছেন। অর্থাৎ নাম না করেই এদিন মুকুল রায় কে নারদ-সারদা মামলায় অভিযুক্ত আসামী বলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোট বন্ধ করে দেবার হুমকি লকেটের
মমতা এদিন উত্তরবঙ্গের জনসভায় আরো বলেন , জনগণের টাকা কোথায় আছে তা হাওয়ালা বাঁশিওয়ালা জানে। ওই বাঁশিওয়ালা প্রকাশ্যে ডিএম, এসপিদের ভয় দেখাচ্ছে। এত সাহস একজন গদ্দারকে প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন মমতা ব্যানার্জী।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয়দের বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করলেন রাহুলের গুরু পিত্রোদা
প্রসঙ্গত,একদা তৃণমূলের প্রথম শ্রেণীর নেতা মুকুল রায়কে অনেকদিন থেকেই নাম না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘গদ্দার’ বলে উল্লেখ করে থাকেন। রবিবার ও তিনি বলেন কোন গদ্দার বা ডাকাতের হাতে বাংলাকে তিনি তুলে দেবেন না।
আরও পড়ুনঃ লাইভ ডিবেটে অসহিষ্ণুতা, সঞ্চালক ও বিজেপি নেতার দিকে গ্লাস ছূঁড়লেন কংগ্রেস নেতা
রবিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ব্যানার্জীর নাম করেই মুকুল রায় বলেন, ‘মমতা দেবীর সাহস নেই আমার নাম করার। তাই নাম না করে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন’। মুকুল রায় চ্যালেঞ্জ জানান যে তিনি সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত আছেন যদি কেউ প্রমান করতে পারে তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। মুকুল রায় দাবি করেন নিজাম প্যালেসে এবং ডেলোতে দুবার তার সাথে সুদীপ্ত রায়ের দেখা হয়েছে আর দুবারই তার সাথে মমতা ব্যানার্জী ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ হিন্দুধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে থানায় অভিযোগ দায়ের উর্মিলার বিরুদ্ধে
মুকুল রায় বলেন ‘নারদা’ বিচারাধীন একটি মামলা তাই সেটা নিয়ে তিনি বেশি কথা বলবেন না। সাথে তিনি এও বলেন নারদায় যেমন তাকে দেখা গেছে তেমনই কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম, অপরুপা পোদ্দার কেও দেখা গেছে। অর্থাৎ নিজেকে বাঁচাতে এখন মুকুলের অস্ত্র তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তৃণমূল সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্র ও কোটি কোটি টাকা
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়ুনঃ ভোট বাজারে মেজাজ হারালেন মমতার মন্ত্রী, বিজেপি প্রার্থীকে মারতে গেলেন
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দেশের সেনাবাহিনীকে “মোদীর সেনা” বলে মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় সেই ইস্যু কেন্দ্রিক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে, যেখানে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের তরফে প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সাথে ছিলেন সেনাবাহিনীর দুই জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুনঃ সন্ত্রাসবাদ বড় ইস্যু না হলে নিরাপত্তার বেষ্টনী ত্যাগ করুন, রাহুলকে পরামর্শ সুষমার
লাইভ প্রোগ্রামে কংগ্রেসের মুখপাত্র হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অলোক শর্মা এবং বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেকে শর্মা। সেনাবাহিনী নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানের মাঝেই এক সময় বিজেপি মুখপাত্র কেকে শর্মা কংগ্রেস মুখপাত্র অলোক শর্মাকে বিশ্বাসঘাতক বলে উল্লেখ করেন৷ আর তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুনঃ তিন লাখ কোটি টাকায় বিবাহবিচ্ছেদ
এরপরেই তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয় দুজনের মধ্যে। এক সময়ে স্থির থাকতে না পেরে সামনে টেবিলে থাকা কাঁচের গ্লাস কেকে শর্মার দিকে ছূঁড়ে মারেন কংগ্রেসের মুখপাত্র অলোক শর্মা। কাঁচের গ্লাস টুকরো হয়ে যায়। আর গ্লাসের জল সম্পূর্ণভাবে টিভির সঞ্চালকের গায়ে গিয়ে পড়ে। পরে দুই দলের মুখপাত্রকেই স্টুডিও থেকে সরিয়ে সঞ্চালক পোষাক পরিবর্তন করে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেতাদের মাথা কেটে দেবার নির্দেশ দিলেন কংগ্রেস নেতা, ভাইরাল ভিডিও
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়ুনঃ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে চোখে সর্ষে ফুল রাজ্য বিজেপির, প্রার্থীর খোঁজে বৈঠক দিল্লিতে
দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এবার লোকসভা কেন্দ্র বদলাতে পারেন যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের পরিবর্তে এবার ভোটে তিনি দাঁড়াতে পারেন কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ সুব্রত বক্সি নাকি নানা কারণে দাঁড়াতে চাইছেন না। জানা যাচ্ছে, সুব্রত বক্সির শরীর ইদানিং খুব খারাপ যাচ্ছে। তাই এখন আর তিনি কলকাতা- দিল্লি ছোটাছুটি না করে দলের কাজে রাজ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান।
আরও পড়ুনঃ বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন
তাছাড়া প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ডায়মন্ডহারবার সহ গোটা জেলাতেই নিচুতলায় নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েছে। বিজেপির প্রভাবও বেড়েছে। তাছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও দক্ষ সংগঠকের অভাব ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এর কারণে বিজেপির প্রভাব বেড়েছে। মমতা নিজেও চান, তাঁর বক্সিদা এবার রাজ্যে থেকে সংগঠনের কাজে জোর দিন। সাংসদ না হয়ে তাঁকে কলকাতার কোন কেন্দ্র থেকে পরবর্তীকালে বিধায়ক করা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটে বিজেপির একমাত্র ভরসা সেই নরেন্দ্র মোদীই
তাছাড়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে সব ইস্যুতেই সংসদে ভালই লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে সুব্রত বক্সিকে ফের একবার রাজ্য তথা জেলার দায়িত্বে ফিরিয়ে এনে ২০২১ বিধানসভার আগে দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে চান মমতা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতা কুমার সাহাকে মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট ঠিক করেছেন অভিষেক নিজেই।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ৭ দফা ভোটে সুবিধা বিজেপির
তৃণমূলের আর একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েছে। এতটাই বেড়েছে যে আসনটিকে আর ‘একদম সেফ সিট’ বলা যাচ্ছে না। সেই কারণে ‘ভাইপো’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নাকি সেখান থেকে আর দাঁড়াতে চাইছেন না। তাছাড়া তৃণমূলের যুবরাজ তথা মমতার পর দলে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক এবার সম্মানজনক কলকাতার কোন আসন থেকেই দাঁড়াতে চান।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জ মুর্শিদাবাদ সিপিএম কে ছেড়ে বাংলায় আসন রফা কংগ্রেসের
যদিও তৃণমূল এর তরফ থেকে এই নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। মঙ্গলবার তৃণমূলের বৈঠকে এই বিষয়টা চূড়ান্ত হবে বলেই জানা গেছে। তবে সুব্রত বক্সির বদলে কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জল্পনা তুঙ্গে তৃণমূলের অন্দরে। সাংবাদিকদের কাছেও ফোন করে অনেক তৃণমূল নেতা কর্মীই এই খবরের সত্যতা জানতে চেয়েছেন। তবে এটা জল্পনা না এই খবরের সত্যতা আছে, তা মঙ্গলবার তৃণমূলের বৈঠকে জানাবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>