14 years Imprisonment without Fault – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Fri, 21 Jun 2019 11:44:09 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg 14 years Imprisonment without Fault – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 বিনা দোষে ১৪ বছর জেল খাটার পর, বেকসুর খালাস দুই বাঙালি https://thenewsbangla.com/two-bengali-get-rid-of-acquiescence-after-14-years-imprisonment-without-fault/ Fri, 21 Jun 2019 11:44:09 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=14235 বিনা দোষে ১৪ বছর জেল খাটার পর; আদালতে বেকসুর খালাস দুই বাঙালি। ১৪ বছর জেল খেটে; অর্থাৎ যাবজ্জীবন সাজা খেটে অবশেষে মুক্তি আমাদের সমাজেরই দুটি মানুষের; যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণ হয়নি। কে ফিরিয়ে দেবে সেই ১৪ টি বছর?

হাইকোর্টে বেকসুর খালাস; দুই রাজনৈতিক বন্দি পতিতপাবন হালদার ও সন্তোষ দেবনাথ। ১৪ বছরেরও বেশি জেল খাটার পর! তাঁদের অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায়; শুক্রবার তাঁরা বেকসুর খালাস পান; কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। তাঁরা যদি নিরপরাধ হন; তাহলে ১৪ বছর গারদের আড়ালে থাকার জন্য; প্রশাসনের কোন পদাধিকারীর কেন শাস্তি হবে না? উঠে গেল প্রশ্ন।

২০০৫ সালের ২১ শে মে হিন্দমোটর থেকে; গ্রেফতার করা পতিতপাবন হালদারকে। তিনি ছিলেন মাওবাদীদের প্রথম রাজ্য সম্পাদক। মাওবাদী রাজ্য কমিটির সদস্য সুশীল রায়ের সঙ্গেই; তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখার অভিযোগ ছিল।

২০০৫ সালেরই ৩০ শে মে বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখার অভিযোগেই; কলকাতার বড়বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় সন্তোষ দেবনাথকে। এঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির আর্মস অ্যাক্ট ১২১, ১২১এ, ১২২, ১২৩, ১২৪এ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়।

মামলা হয় পুরুলিয়ার বেলপাহাড়ি থানার আন্ডারে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ এর ডিভিশন বেঞ্চ; অভিযুক্ত দুজনকেই বেকসুর খালাস করে দেয়।

এঁদের বিরুদ্ধে কোন মার্ডার চার্জ নেই। তাতেও ১৪ বছর জেল খাটার পর; তবে মুক্তি দুই বাঙালির। ১২ বছর ধরে আদালতে বুক বাইন্ডিং হয়নি বলেই; দীর্ঘদিন শুনানিই হয়নি এই মামলায়।

২০০৬ সালের ১৭ই মার্চ ঝাড়গ্রাম আদালত; এই মামলায় এঁদের দুজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়। তারপর থেকেই তাঁদের ঠিকানা জেল। ১৪ বছর পর; বেকসুর খালাস পেলেন রাজনৈতিক বন্দি পতিতপাবন হালদার ও সন্তোষ দেবনাথ।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তাঁরা নিরাপরাধ। তবু দীর্ঘ ১৪ বছর কাটাতে হয়েছে জেলের অন্ধকারে। এর দায় কাদের? এর পিছনে প্রশাসন বা আদালতের যে সব মানুষ দায়ি; তাদের কেন শাস্তি হবে না?

এপিডিআরের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূরের অভিযোগ, “পুলিশ প্রশাসন ও আদালতের কিছু কর্মীর গাফিলতিতে; বিনাবিচারে জেল খাটছেন আরও অনেক রাজনৈতিক বন্দী”।

]]>