Life Style – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Mon, 24 Jun 2019 15:37:00 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Life Style – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 দীর্ঘক্ষণ এসি-তে থাকলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, কিভাবে ত্বক ভালো রাখবেন https://thenewsbangla.com/skin-damaged-long-time-staying-in-ac-know-how-to-protect-your-skin-easily/ Mon, 24 Jun 2019 10:19:41 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=14341 দীর্ঘক্ষণ এসি-র শুকনো হওয়ায় থাকার ফলে; মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে ত্বকের একাধিক সমস্যা। কিন্তু নাজেহাল করা গরম থেকে মুক্তি পেতে; এসি-র দরকারকে বাদ দেওয়া যায় না। তাই আজকাল বাড়ি, অফিস, মল, সর্বত্রই এসি-র রমরমা। তাই সঠিকভাবে ত্বকের দেখভাল করলেই; এসি-তেও ত্বক সতেজ এবং জেল্লাদার থাকবে।

দীর্ঘক্ষণ এসি-তে থাকায় হতে পারে; আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা। রোদে পুড়ে একশা হওয়ার পর; এসি ঘরে ঢুকলে, আরামবোধ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু একলহমায় এতটা তাপমাত্রার পরিবর্তন; যেমন শরীরের পক্ষে ঠিক নয়; তেমনই ত্বকের পক্ষেও তা ক্ষতিকারক।

দীর্ঘক্ষণ এসি-তে থাকলে; ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে; ত্বকের আর্দ্রতা হ্রাস পায়। আসলে; এসি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি; বাতাসের আর্দ্রতাও শোষণ করে। আমাদের ত্বক যেহেতু; বাতাস থেকেই আর্দ্রতা টানে; তাই স্বাভাবিক ভাবেই; ত্বকের আর্দ্রতাও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। না হলে ত্বকের কোষ নির্জীব দেখাতে পারে।

সমস্যা এর পাশাপাশি; সমাধানও আছে। মাঝেমধ্যে এসি-তে থাকলে; আলাদা করে যত্ন নেওয়ার দরকার নেই। তবে দীর্ঘক্ষণ এসি-তে থাকলে; ময়শ্চারাইজার লাগান। রোদ থেকে ঘেমে এসে; এসি-তে ঢোকার পর; মুখে ভালোভাবে জলের ঝাপটা দিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারলে; আরও ভালো। এরপর টিসু দিয়ে চেপে চেপে; অতিরিক্ত জল মুছে নিন।

হাতের কাছে ময়শ্চারাইজিং ফেশিয়াল মিস্ট রাখুন। কিছুক্ষণ অন্তর; সেটা স্প্রে করুন। কেবলমাত্র মুখই নয়; শরীরের অন্যান্য উন্মুক্ত অংশ; বিশেষত হাতে ব্যবহার করতে পারেন। একটানা অনেকক্ষণ এসি-তে থাকার পর বাইরে বেড়লে; অবশ্যই সান্সক্রিম ব্যবহার করুন। যারা সারারাত এসি-তে থাকেন; তারা বডিঅয়েল ও ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন।

যারা প্রতিদিন মেক-আপ করেন; তাদের ক্ষেত্রে অফিসে ঢোকার পর; মুখ পরিষ্কার করা অসুবিধে। কিন্তু রাস্তার ধুলো; ঘাম থেকে ত্বককে বাঁচাতে; ত্বক পিরিস্কার করা জরুরি। তাই অফিসে ঢুকে মুখ পরিষ্কার করে বিবি ক্রিম; কুশন ফাউন্ডেসগন ইত্যাদি প্রডাক্ট ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকে; পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। ত্বক ম্যাট দেখাবে।

ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে; ঠোঁটে স্যাটিন ফিনিশ লিপ্সটিক ও কালারড লিপবাম ব্যবহার করুন। একটানা এসি-তে না বসে; মাঝেমধ্যে বেড়িয়ে আসুন এবং প্রচুর জল খান। মাঝে মাঝে অল্প জলের ঝাপটা দিন মুখে।

]]>
৫৬ জন মানুষকে নিয়ে পৃথিবীর আশ্চর্যতম পিটকার্ন দ্বীপের গল্প https://thenewsbangla.com/volcanic-pitcairn-islands-in-the-southern-pacific-ocean-can-travel-without-visa/ Mon, 17 Jun 2019 11:43:29 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13974 তাহিতি শহরের দক্ষিনে; চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ছোট্ট একটি দেশ। নাম পিটকার্ন আইল্যান্ডস। এর চারটি দ্বীপ হলো, পিটকার্ন; হেন্ডারসন; ডুসি এবং ওয়েনো। একমাত্র পিটকার্নেই মানুষের বসবাস। বাকি তিনটি দ্বীপ সমুদ্রের মাঝে ফাঁকাই পড়ে রয়েছে।

এখানকার জনসংখ্যাও হাতেগোনা; মাত্র ৫৬ জন। জনসংখ্যার বিচারে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ। পিটকার্নের সবচেয়ে কাছে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাই পিটকার্নে যাবতীয় চিঠিপত্র পৌঁছায় নিউজিল্যান্ড হয়েই। এদেশ ঘুরতে লাগে না ভিসাও। শুধু পাসপোর্ট থাকলেই ১৪ দিন বিনা ভিসায় ঘুরে ফেলা যাবে পিটকার্ন।

আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল আন্দোলনের মাঝেই জন্ম নিল আর এক ছোট্ট আন্দোলন

১৭৯০ সালে পিটকার্নে জনবসতি গড়ে ওঠে। ১৭৮৯ সালে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর একদল সেনা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ব্রিটিশ নৌবাহিনীর তাহিতিগামী জাহাজের ক্যাপ্টেনকে; জাহাজ থেকে ছোট নৌকায় জোর করে চড়িয়ে দিয়ে; জাহাজের দখল নেয় তারা। পরে তাহিতি পৌঁছায় ওই বিদ্রোহী নৌসেনারা।

কিন্তু সেখানেও তাদের বেশি দিন থাকা হয়নি। ব্রিটিশ প্রশাসনের শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে; তাহিতি ছেড়ে তারা সবাই পিটকার্ন চলে যান। এখানেই তারপর থেকে বসবাস শুরু করেন তারা। এখন যে কয়জন মানুষ পিটকার্নে রয়েছেন, তারা মূলত চারটি পরিবারের সদস্য।

আরও পড়ুনঃ ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির গন্তব্য এখন মৌসুনী আইল্যান্ড

তবে মনে করা হয়; ব্রিটিশ নৌবাহিনীর আবিষ্কারের অনেক আগেই এখানে জনবসতি ছিল। পাথরের বিভিন্ন সরঞ্জাম, কবরস্থান, গুহাচিত্র এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস এই দ্বীপের চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করেন; পলিনেশিয়ানদেরই বসবাস ছিল ওইসময়।

সে সময় ওই বিদ্রোহী ব্রিটিশ নৌসেনাদের সঙ্গে; তাহিতির কিছু মানুষও পিটকার্নে চলে যান। আশ্রয় নেন ছোট্ট এই দ্বীপে। আর তখন থেকেই এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে। সে সময়ের ওই বিদ্রোহী ব্রিটিশ নৌসেনা; আর তাদের সঙ্গী তাহিতির বাসিন্দাদের বংশধররাই বর্তমানে পিটকার্নের নাগরিক।

পাহাড়, জঙ্গল আর সমুদ্রে ঘেরা; অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে মাঝে ভেসে রয়েছে এই দেশ। ২০১০ সালে পিটকার্নের জনসংখ্যা ছিল ৪৫। ২০১৩ সালে জনগণনা করে দেখা যায়; তা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৫৬। জাতিসংঘ পিটকার্ন আইল্যান্ডসকে স্বশাসিত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়নি। তাই এই দেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব রয়েছে ব্রিটেনের উপর।

]]>
ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির গন্তব্য এখন মৌসুনী আইল্যান্ড https://thenewsbangla.com/destination-to-mousuni-island-charming-cool-windy-weather-and-very-enjoyful-atmosphere/ Thu, 13 Jun 2019 11:41:56 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13744 ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির জন্য এক শান্ত নির্ঝঞ্ঝাট পূর্ণ; ঘোরার জায়গা হল মৌসুনী আইল্যান্ড। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার একেবারে শেষপ্রান্তে; নদী আর সাগরের মিলনে মোহনার বিশুদ্ধ পরিবেশের আস্বাদ করার পরিসর। যেখানে গোটা সপ্তাহের ক্লান্তিকে কাটিয়ে উঠে; সপ্তাহের শেষে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো যায়।

সমুদ্রের এতো কাছাকাছি; ইট-কাঠে মোরা এই শহরতলী থেকে অনেকটা দূরে এই মৌসুনী আইল্যান্ড। আয়লা ঝড়ে বিদ্ধস্ত এক গ্রাম। তবে এখনো টিকে আছে বেশ কিছু মানুষ; হারিয়ে যায়নি তাদের আন্ততিকতা। দীঘা-পুরীর জন কোলাহলের মধ্যে যারা সমুদ্রের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না; তারা যদি এক নির্ঝঞ্ঝাট পুর্ণ শান্ত সামুদ্রিক পরিবেশ পেতে চান; তাহলে অবশ্যই মৌসুনী আইল্যান্ডে ঘুরে আসুন। সম্পূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশ।

আরও পড়ুনঃ মমতার হুশিয়ারির পরে, পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উপর ফের বহিরাগত হামলা

কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে; নামখানা লোকাল ট্রেন ধরে চলে যেতে হবে নামখানা স্টেশনে। সেখান থেকে মটর ভ্যান করে; ঘাট অবধি পৌঁছতে হবে। হাতানিয়া দুয়ানিয়া নদী পাড় করে; হাঁটা পথে বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে। তারপর ম্যাজিক গাড়ি ধরে বাগডাঙ্গা ঘাট। সেখান থেকে নৌকা ধরে চেনাই নদী পার করতে হবে; বাগডাঙ্গা থেকে মৌসুনী ক্যাম্প আসতে হবে টোটো ধরে।

সমুদ্রের ধারে আছে ক্যাম্পে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ; আছে শৌচ ব্যবস্থা। গ্রামের মানুষদের হাতে রান্না করা ভালো খাদ্য ব্যবস্থা। ক্যাম্প ভাড়া করলে মাথাপিছু ১২০০ টাকায়; থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। সমস্ত খরচ নিয়ে ১৫০০ টাকায় সপ্তাহের শেষে; ঘুরে আসার জন্য আদর্শ জায়গা এটি।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে এবার গণ ইস্তফা ডাক্তারদের

ব্যবস্থা আছে ফেসবুক অনলাইন বুকিং-এর। শীত কিংবা বর্ষাই মৌসুনী আইল্যান্ডের জন্য বেশি উপভোগ্য; তবে হালকা গরমেও ঘুরে আসা যায়। এক্ষেত্রে বর্ষায় গেলে উপোরি পাওনা হিসেবে থাকে; ইলিশ উৎসব। তবে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও কাজ করে এক্ষেত্রে; যেমন মদ্যপান করে সমুদ্রে নামা; অনৈতিক আচরণ ইত্যাদি আইনত বারণ।

সবকিছু মিলিয়ে ছোটো ছুটির সময়কে ভালো ভাবে কাটাতে; মৌসুনী আইল্যান্ডকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরো বেশি সাজিয়ে তুলেছে। পর্যটকেদের ভীড় বাড়ছে দিন দিন; তাই আর বেশি দেরি না করে এই বর্ষায় ঘুরে আসুন মৌসুনী আইল্যান্ড।

]]>
মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে মৃত্যুর ঘটনা যে যে কারণে বাড়ছে https://thenewsbangla.com/mount-everest-expedition-problems-are-increasing-day-by-day-reasons-behind-the-death/ Thu, 13 Jun 2019 07:34:14 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13718 হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করতে গিয়ে গত দুই দশকে মারা গেছেন প্রতি বছর গড়ে ছয়জন অভিযাত্রী। অথচ এ বছর; শুধু বসন্ত মৌসুমেই মৃত্যু হয়েছে ১০ পর্বতারোহীর; এই মৃত্যুর জন্য এভারেস্টে অভিযাত্রীদের ভিড় বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হলেও বিবিসির পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিক নাভিন সিং খাদকা আরো চারটি কারণের কথা উল্লেখ করছেন

অভিযাত্রীদের অনেকেই; মে মাসের শুরু থেকে এভারেস্টের বেজ ক্যাম্পে জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবের কারণেও কর্তৃপক্ষের মধ্যে এভারেস্টে আরোহণের বিষয়ে কিছু শঙ্কা ছিল; ঘূর্ণিঝড়ের পরের কয়েকদিন হিমালয়ের আবহাওয়া খারাপ হয়ে ঝড়ো বাতাসে কমপক্ষে ২০টি তাঁবু উড়ে যায়; প্রতিকূল আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন আরোহী; যারা পর্বতের অনেকটাই উঁচুতে পৌঁছে গেছিল তারা বেজ ক্যাম্পে ফিরে আসেন; ফলত ক্যাম্পে অভিযাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে।

অধিক সংখ্যক প্রাণহানির জন্য পর্বতারোহণ বিশেষজ্ঞরা অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। ২৩ মে সর্বোচ্চসংখ্যক অভিযাত্রী চূড়া অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন; ফলে আরোহীদের বিক্ষিপ্ত ভীড়ে চূড়ার নিচের ক্যাম্পে কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়। নেমে আসে ক্লান্তি এবং ফুরিয়ে আসে সিলিন্ডারের অক্সিজেন।

দিন দিন অভিযাত্রীদের সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছে; তাদের সঙ্গে থাকছেন না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শেরপা গাইড। কোনো অভিযাত্রী বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে; একজন শেরপা তাকে খুব বেশি সাহায্য করতে পারবে না; অনভিজ্ঞ অভিযাত্রীরা অন্যান্য শিখরে ওঠার সঙ্গে যে এভারেস্টে আরোহণের একটা তফাত আছে সেটা না জানার দরুণ; তাদের বিপদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

অভিজ্ঞ অভিযাত্রীরা বলছেন; আরোহণের ব্যাপারে এখন কিছু শর্ত আরোপ করার সময় এসেছে; যেমন যাদের ছয় হাজার মিটার উপরে ওঠার অভিজ্ঞতা আছে শুধু তাদেরই এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি দিতে হবে।

আরোহণের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। নতুন কিছু অপারেটরদের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। নতুন অপারেটররা আঅভিযাত্রীদের থেকে কম অর্থ নিচ্ছে। এ প্রতিযোগিতার কারণে পুরোনো অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ফি কমিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছে। এই সংস্থা অনভিজ্ঞ লোকজনকে নিয়োগ দিচ্ছে গাইড হিসেবে। ফলে খারাপ পরিস্থিতিতে তারা আর আরোহীকে সহযোগিতা করতে পারছে না; যা আরোহীদের জীবনকে সংশয়ে ফেলে দিচ্ছে।

]]>
মাউন্ট এভারেস্টে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা, এত মৃত্যুর কারণ কি https://thenewsbangla.com/mount-everest-climber-are-in-danger-question-on-sherpa/ Thu, 13 Jun 2019 07:29:47 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13717 হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে; আরোহণ করতে গিয়ে গত দুই দশকে মারা গেছেন; প্রতি বছর গড়ে ছয়জন আরোহী। অথচ এ বছর; শুধু বসন্ত মরসুমেই মৃত্যু হয়েছে ১০ পর্বতারোহীর। এসব মৃত্যুর জন্য এভারেস্টে আরোহীদের ভিড় লেগে যাওয়াকে দায়ী করা হলেও; আরও চারটি কারণের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরোহীদের অনেকেই মে মাসের শুরু থেকে; এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে জড়ো হতে শুরু করেন। এই সময় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবের কারণেও কর্তৃপক্ষের মধ্যে; এভারেস্টে আরোহণের বিষয়ে কিছু শঙ্কা ছিল। খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার পর বেশ কয়েকজন আরোহী; যারা এরই মধ্যে অনেক উপরের দিকে উঠে গিয়েছিলেন; তারা বেস ক্যাম্পে নেমে আসেন। ফলে ক্যাম্পে আরোহীদের ভিড় বাড়তে থাকে।

আরও পড়ুনঃ ছয় মাসের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার

ভিড় সামলানোর অব্যবস্থা; এবারের এত প্রাণহানির জন্য পর্বতারোহণ বিশেষজ্ঞরা; অব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। দিনটি ছিল ২৩ মে; এইদিনেই সর্বোচ্চসংখ্যক আরোহী চূড়া অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন; অত্যাধিক ভিড়ের জন্য ওঠা ও নামার পথে; আরোহীদের চূড়ার নিচের ক্যাম্পে কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয় এবং তাদের সিলিন্ডারের অক্সিজেনও ফুরিয়ে যেতে থাকে।

অনভিজ্ঞ আরোহীর সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে; তাদের সঙ্গে থাকছেন না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শেরপা গাইড; অন্যান্য শিখরে ওঠার সঙ্গে যে এভারেস্টে আরোহণের একটা তফাত আছে সেটা তারা জানে না; যা তাদের বিপদে ফেলে দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ এসএসকেএমে মেজাজ হারালেন মমতা, বিজেপির উত্থানেই কি বিপর্যস্ত

অভিজ্ঞ আরোহীরা বলছেন; আরোহণের ব্যাপারে এখন কিছু শর্ত আরোপ করার সময় এসেছে। যেমন যাদের ছয় হাজার মিটার উপরে ওঠার অভিজ্ঞতা আছে; শুধু তাদেরই এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি দিতে হবে।

বাড়ছে অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা; এভারেস্টে আরোহণের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন কিছু অপারেটরও। নতুন অপারেটররা আরোহীদের কাছ থেকে কম অর্থ নিচ্ছে। এসব সংস্থা অনভিজ্ঞ লোকজনকে গাইড হিসেবে নিয়োগ করছে।

এই প্রতিযোগিতার কারণে পুরনো অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ফি কমিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে খারাপ পরিস্থিতিতে তারা আর আরোহীকে খুব একটা সহযোগিতা করতে পারে না; যা আরোহীদের জীবনকে সংশয়ে ফেলে দিচ্ছে। এটাই এখন চিন্তার বিষয়।

]]>
দাঁতের রঙে রামধনু ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড কলকাতাতেও https://thenewsbangla.com/rainbow-teeth-the-new-trend-of-fashion-is-also-in-kolkata-now/ Sat, 29 Dec 2018 15:57:37 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=4908 The News বাংলা, কলকাতাঃ ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড। দাঁতের রঙে রামধনু। বিদেশের সীমা ছাড়িয়ে ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড ‘রেইনবো টিথ’ এবার কলকাতাতেও।

আরও পড়ুন: জেনে নিন শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন

দুই পাটি মুক্তোর মতো দাঁত, এমনটাই ভালোবাসেন সবাই। একটু হলদেটে রং ধারণ করলে তাকে নিয়ে সবাই হাসাহাসিও করি আড়ালে। আর তাই দাঁতকে সাদা ঝকঝকে রাখতে কত আয়োজন। তবে সোনালি, লাল কিংবা নীল রঙের দাঁতের কথা শুনেছেন কখনও?

দাঁতের রঙে রামধনু ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড কলকাতাতেও/The News বাংলা
দাঁতের রঙে রামধনু ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড কলকাতাতেও/The News বাংলা

হাল ফ্যাশনে কত কিছুই না যুক্ত হচ্ছে। চুল হাইলাইট করে মনের মতো রঙে রাঙানো, নেলপলিশে নকশা আঁকা কিংবা ঠোঁটে স্থায়ী রং করে ফেলা— এসব তো বেশ পুরোনো। ২০১৮ সালের সবচেয়ে উদ্ভট ফ্যাশন ট্রেন্ড কি জানেন? রঙধনু রঙে দাঁত রাঙানো! কী অবাক হচ্ছেন?

আরও পড়ুন: হাতি বাঘ চোরাশিকারি নিয়ে রাজ চক্রবর্তীর ‘অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো’

শুনতে বিদঘুটে লাগলেও সত্যিই এমনটাই হচ্ছে। কেউ দাঁত রাঙাচ্ছেন গোলাপি রঙে, কেউবা বেছে নিচ্ছেন সোনালী রং। নখ রাঙাতে যেমন নেলপলিশ ব্যবহার করা হয়, তেমনি দাঁত রাঙানোর এই উপাদানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টুথপলিশ’। অনেকে আবার ‘রেইনবো টিথ’ নামেও চেনেন একে।

দাঁতের রঙে রামধনু ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড কলকাতাতেও/The News বাংলা
দাঁতের রঙে রামধনু ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড কলকাতাতেও/The News বাংলা

আরও পড়ুনঃ বউয়ের জন্য সিঁদুর পরে হিন্দু প্রথা ভাঙলেন রণবীর সিং

‘ক্রোম’ নামে একটি সংস্থা এই দাঁত রাঙানোর রং বিক্রি করছে। এই রং দাঁতে লাগানো যাবে, স্থায়ী হবে ২৪ ঘণ্টা। প্রাথমিকভাবে নীল, সবুজ, সোনালি, রূপালি সহ ১০টি রঙে এই পলিশ পাওয়া যাবে। ব্র্যান্ডটি লঞ্চ করেছেন ডেভিড সিলভারস্টাইন। ইতিমধ্যেই, ক্রোম নামের সংস্থাটি ইনস্টাগ্রামে একাধিক মডেলের রঙিন দাঁতের ছবি পোস্ট করেছে।

আরও পড়ুনঃ ‘বাঘের সঙ্গে অভিনয় করাটাই ছিল জীবনের সেরা চ্যালেঞ্জ’

দাঁতের এই রঙের স্থায়িত্বকাল ২৪ ঘণ্টা হলেও, সে সময়ের মধ্যে কোনো খাবার খেলে রং ওঠে না। এমনকি খাবার চিবোলেও ছড়িয়ে যায় না। এই পলিশের নেই কোনো স্বাদ। লিপগ্লসের মতো টিউবে মিলবে এটি। কিনতে চাইলে গুনতে হবে ১৮ থেকে ২২ ডলার।

দাঁতের রঙে রামধনু ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড কলকাতাতেও/The News বাংলা
দাঁতের রঙে রামধনু ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড কলকাতাতেও/The News বাংলা

আরও পড়ুনঃ অবশ্যই জেনে রাখুন বাচ্চার কাশি ও হাঁপানি নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ

কেউ কেউ একে ২০১৮ সালে সবচেয়ে আবেদনময়ী ট্রেন্ড বললেও বেশিরভাগ মানুষের কাছেই বেশ উদ্ভট এই দাঁত রাঙানোর ট্রেন্ড। আর বিশ্বব্যাপী ‘নেট দোকানে’র সৌজন্যে সেই ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ড এবার হাজির কলকাতাতেও। অনেকেই বিদেশের হাল ফ্যাশানের নতুন ট্রেন্ডকে সবার আগে নিজের দাঁতে রাঙাতে তৈরি।

তো কী ভাবছেন? রাঙাবেন নাকি নিজের দাঁত? সাদা দাঁতের পরিবর্তে লাল, নীল, সবুজ, হ্লুদ বা রামধনু রঙে? তাহলে আর দেরি না করে অর্ডার দিয়ে দিন অনলাইনে। নতুন বছরেই নিজের দাঁত রাঙিয়ে চমকে দিন সবাইকে। করে নিন হাল ফ্যাশানের ‘রেইনবো টিথ’।

]]>
জেনে নিন শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন https://thenewsbangla.com/find-out-how-to-take-care-of-skin-in-winte-learn-all-the-things/ Sun, 02 Dec 2018 18:26:24 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=3469 The News বাংলাঃ আপনার ত্বক কি প্রকৃতিগত ভাবেই শুষ্ক? আপনার বয়স কি তিরিশ পেরিয়েছে? আপনি কি দিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময়টাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় কাটান? তা হলে কিন্তু আগামী কয়েকটা মাস আপনাকে একটু বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, না হলে ত্বকের শুষ্কতা খুব ভোগাবে।

মনে রাখবেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বক ক্রমশ আর্দ্রতা হারাবে, তাই বিশেষ যত্নআত্তি না পেলেই দেখা দেবে বলিরেখা। বয়সের আগেই ত্বকে ভাঁজ পড়বে, তা কুঁচকে যেতেও পারে৷ আশার কথা হচ্ছে, সামান্য একটু সচেতন হলেই কিন্তু এই সমস্যার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব। কি কি করবেন, জেনে নিন।

শুষ্ক ত্বকের হাত থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত জলপান করুন:
শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র না হলে তার ছাপ পড়বে ত্বকের উপর। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করুন৷ দিনে অন্ততপক্ষে আট-দশ গ্লাস জলপান করা একান্ত আবশ্যক৷ ডাবের জল, ফলের রসও পান করতে পারেন।

অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েল সাধারণত সব ধরনের ত্বকের পক্ষেই খুব কার্যকর। এর মধ্যে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি অক্সিডান্ট শুধু আপনার মুখ নয়, পুরো শরীরের ত্বকের যত্ন নেয়৷ স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মুখে ও পুরো শরীরে অলিভ অয়েল মেখে নিন। তার পর হালকা গরম জলে স্নান সেরে লাগিয়ে নিন ময়েশ্চরাইজ়ার৷

অলিভ অয়েল, ব্রাউন সুগার, আর মধু এমন অনুপাতে মিশিয়ে নিন যেন ঘন ক্রিমের মতো একটি উপাদান তৈরি হয়, তারপর হালকা হাতে সর্বাঙ্গে মেখে নিন এই মিশ্রণটি। অল্প চাপ দিয়ে গোল গোল করে মালিশ করুন, এতে আপনার শরীরের সমস্ত মৃত কোষ উঠে যাবে। তারপর স্নান করে হালকা ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
দুধ ও দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড শুষ্ক ত্বকের পক্ষে খুব ভালো

দুধ/দই:
রুক্ষ, শুষ্ক, ফাটা ত্বকে অনেক সময়েই জ্বালা বা চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা যায়। তেমন হলে এক লিটার ঠান্ডা দই বা দুধে নরম কাপড় বা তুলো ভিজিয়ে নিন সর্বাঙ্গে লাগান। অন্তত পাঁচ মিনিট এই প্রলেপটি ব্যবহার করুন। তাতে ত্বকের জ্বালাভাব দূর হবে। দই বা দুধে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিডের প্রভাবে ঝলমলিয়ে উঠবে আপনার ত্বক। কাঁচা দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। তার পর সেটি আপনার গোটা শরীরে লাগিয়ে নিন স্নানের আগে। দই দিয়েও এই লেপটি তৈরি করা যায়। প্রলেপটি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন ও স্নান করে নিন।

অ্যালো ভেরা:
অ্যালো ভেরা এমনই একটি উদ্ভিদ, যা টবে লাগালে খুব সহজেই বেড়ে ওঠে। একটি অ্যালো ভেরা পাতা নিন, মাঝখান থেকে কেটে ফেলুন সেটিকে। শাঁসটা বের করে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। জ্বালাভাব, চুলকানি মুহূর্তে কমে যাবে। সেরে যায় ছোটখাটো ইনফেকশনও। আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি এই শাঁস বা জেলের পরত আপনার ত্বকের উপর তৈরি করে রাখে সুরক্ষার আবরণ, তাতে দূষণ আপনার ত্বকে কোনও ছাপ ফেলতে পারে না।

নারকেল তেল:
মুখ ও শরীরের ত্বকের পাশাপাশি গোড়ালি, হাঁটু, কনুইয়েরও বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন, বিশেষ করে শীতকালে। না হলে এগুলি রুক্ষ ও কালো হয়ে যায়। প্রথমে এই অংশের ত্বক ভিজিয়ে রাখুন জলে। ত্বক যখন কুঁচকে যাবে, তখন বুঝবেন তা যথেষ্ট আর্দ্রতা পেয়েছে। নারকেল তেল সাধারণত শীতকালে জমে যায়। জমা তেলের মোটা পরত লাগিয়ে নিন আর্দ্র ত্বকে। তার পর মোজা বা লম্বা হাতা টপ বা পাজামা পরে ঘুমোতে যান। টানা বেশ কয়েকদিন করলে নিজেই ফারাকটা বুঝতে পারবেন।

ওটমিল:
আজ বলে নয়, বহু হাজার বছর ধরে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে ওটমিল। সবচেয়ে ভালো কাজে দেবে ইনস্ট্যান্ট ওট, সেটাকে ব্লেন্ডারে দিয়ে প্রথমে পাউডারের মতো গুঁড়ো করে নিন। তার পর স্নানের বাথটবে জল ভরে এক কাপ এই পাউডার দিয়ে ভালো করে ছড়িয়ে দিন হাত দিয়ে। দেখে নেবেন যেন নিচের দিকে দলা পাকিয়ে না থাকে। তার পর এই জলে ১৫-২০ মিনিট শুয়ে থাকুন। ওটমিল ত্বক পরিষ্কার করে, আর্দ্রতা জোগায়। এর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডান্ট বজায় রাখে উজ্জ্বলতা।

কমলালেবু:
কমলালেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি ঠেকিয়ে রাখে বলিরেখা। কমলালেবুর খোসা, সরবাটা, ময়দা বা বেসনের প্রলেপের ব্যবহার রূপটান হিসেবে বহুদিন প্রচলিত। এই শীতে যত কমলালেবু খাবেন, তার খোসা ফেলবেন না। সব রোদে শুকনো করে রেখে দিন। পরে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারবেন।

মেয়োনিজ়:
শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও মেয়োনিজ় কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে দারুণ কার্যকর। তবে মেয়োনিজ়ে সাধারণত নুন, গোলমরিচ, মাস্টার্ড পাউডার ইত্যাদি যোগ করা হয় স্বাদ বাড়ানোর জন্য। এই জিনিসগুলি যোগ করার আগে খানিকটা তুলে রেখে দিন মাস্ক হিসেবে ব্যবহারের জন্য। তা না হলে ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। ডিমের কুসুম আর তেল ব্লেন্ড করে যে মেয়োনিজ় তৈরি হয়, তার সঙ্গে খানিকটা বেবি অয়েল মিশিয়ে নিন। তার পর মুখে, ঘাড়ে, কনুইয়ে, হাতে লাগিয়ে নিন স্নানের আগে। ডিমের গন্ধটা একটু কড়া, সেটা সহ্য করে নিতে পারলে এই প্যাকের কোনও জবাব নেই।

মধু ও পাকা কলা:
পাকা কলা ও মধু একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। মুখে লাগান প্রলেপের মতো করে, তার পর ২০-২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন ও ময়েশ্চরাইজ়ার লাগান। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বক পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা, তা হয়ে উঠবে নরম ও কোমল। পাকা কলা, মধু আর সরের প্রলেপও শুষ্ক ত্বকের খুব ভালো দাওয়াই হতে পারে। মধু অন্য নানা প্যাকের সঙ্গেও নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।

আমন্ড তেল:
আমন্ড তেলে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে এবং তা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ত্বককে করে তোলে মসৃণ। ত্বক খুব সহজেই এই তেল শুষে নেয়, কিন্তু চটচটানি অনুভূত হয় না। অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আমন্ড তেল আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে সামান্য গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যাভোকাডো:
অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং তা নরম ও কোমল হয়ে ওঠে৷ সেই সঙ্গে যদি খানিকটা মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করেন, তা হলে আরও ভালো ফল পাবেন৷

চকোলেট:
চকোলেটে উপস্থিত ক্যাফেইন থেকে ত্বকে আসে উজ্জ্বলতা। সেই সঙ্গে চকোলেটের ফ্যাটও ময়েশ্চরাইজ়ার হিসেবে ভালোই কাজ করে। ডার্ক চকোলেট গলিয়ে নিন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। হালকা গরম থাকতে থাকতে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে নিন। মুখে, গলায়, ঘাড়ে, হাতে তা লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। চোখের নিচ আর ঠোঁটের আশপাশের অংশে যেন প্যাক না লাগে সেদিকে নজর রাখবেন। তারপর সার্কুলার মোশনে হাত ঘুরিয়ে ম্যাসাজ নিন মুখে, সামান্য গরম জলে ধুয়ে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগান।

]]>
ভ্রমন আরও সুন্দর করার জন্য কিছু টিপস মনে রাখুন https://thenewsbangla.com/remember-some-travel-tips-for-making-the-trip-even-more-beautiful/ Thu, 22 Nov 2018 10:50:29 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=2905 The News বাংলা, কলকাতাঃ মাঝে মাঝে সবারই ইচ্ছে করে সব ব্যস্ততাকে ছুটি দিতে। ইচ্ছে করে, কাছে কিংবা দূরে কোথাও ঘুরে আসতে। কাছের বা দূরের যেখানেই আপনি ভ্রমণ করুন না কেন, আপনার ভ্রমণ সুন্দর এবং ঝামেলা মুক্ত রাখতে আপনাকে আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। একই সঙ্গে জানতে হবে নানা তথ্য সম্পর্কে।

Image Source: Google

আপনাদের ভ্রমণকে আরও সুন্দর করে তুলতে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখুনঃ

পোশাক নির্বাচনঃ
ভ্রমনের ধরন এবং আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করুন। তবে এমনটা যেন না হয়, পোশাকের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে আবার প্রয়োজনীয় জিনিসই নিতে পারছেন না। জুতোর ব্যাপারে বাড়তি মনোযোগ দিন। আরামদায়ক কেডস হলে ভালো হয়। মেয়েরা হিল জুতা ব্যবহার না করলেই ভালো।

Image Source: Google

প্যাকিং-প্রসেসঃ
ভ্রমণের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো প্যাকিং-প্রসেস। এ ক্ষেত্রে সঠিক ব্যাগ নিবার্চন করতে পরিচয় দিতে হবে খানিকটা বুদ্ধিমত্তার। কোথায় যাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পরিমাণ কেমন হতে পারে। আর এজন্য কী ধরনের ব্যাগ নিলে ভালো সেটাও বুঝতে হবে। অযথা বড় ব্যাগ নিলে বিভিন্ন ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ যৌনতা কেন্দ্রিক বিনোদনের জন্য বিশ্বের সেরা ২০ টি ঠিকানা

সুতরাং সব থেকে ভালো হলো সহজে বহন করা যায় এমন ব্যাগ নেওয়া। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রয়োজনীয় জিনিস যেন বাদ না যায়। স্টাইল,সুবিধা,ব্যক্তিত্ব ও বয়স অনুযায়ী বেছে নিতে হবে সঠিক ব্যাগ। বেশি দিনের জন্য বেড়াতে গেলে সাধারণ ট্রাভেল ব্যাগের চেয়ে বড় ট্রলি ব্যাগই ভলো। বড় লাগেজ বিমানবন্দরে চেকিং করতে প্রচুর অর্থ খরচ হতে পারে। সুতরাং অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগ বহন থেকে সাবধান।

Image Source: Google

কেমন ব্যাগ কিনবেনঃ
ট্রাভেল ব্যাগ কেনার ক্ষেত্রে দরকার একটু বাড়তি সচেতনতা। কেনার সময় দেখে নিন ব্যাগটি জলরোধক কি না। জলরোধক ব্যাগে কাপড় ও দরকারি জিনিস যত্নে থাকবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাগের কাপড়টিও দেখে কিনতে হবে। কমফোর্ট বা প্যারাসুট কাপড়গুলো বেশ ভালো।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বে আলোড়ন ফেলে চুমু খেতে রাজি সোফিয়া

প্রাযুক্তিক প্রস্তুতিঃ
ব্যক্তিগত,পারিবারিক বা অফিসিয়াল যে ভ্রমণ হোক, এমন কিছু জিনিস থাকে সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা সবার ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন সেলফোন,ক্যামেরা,হেডফোন, আইপড, ল্যাপটপ, ইলেক্ট্রিক রেজার ইত্যাদি। মনে করে সব গুছিয়ে নিন। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ক্যামেরা,ল্যাপটপ রক্ষার জন্য জলনিরোধক কভার সাথে নিন।

মোবাইল, ল্যাপটপ বা ক্যামেরার চার্জার নিতে ভুলবেন না। পাওয়ার অ্যাডাপ্টার সঙ্গে রাখুন। যে কোন জায়গাতে ব্যবহার করা যায় এমন অ্যাডাপ্টার সাথে রাখুন। মোবাইলের জন্য কিছু বাড়তি সতর্কতামূলক এক্সট্রা ব্যাটারি সঙ্গে রাখতে পারেন।

Image Source: Google

টুকিটাকি প্রস্তুতিঃ
পোশাক, ব্যাগ, ইলেক্ট্রোনিক সামগ্রী নেওয়া শেষ। এবার বের হওয়ার পালা। না ভ্রমণের প্রস্তুতি কিছুটা বাকি রয়ে গেছে এখনও। টুকিটাকি কিছু জিনিস বাকি রয়ে গেছে যেগুলো ভ্রমণে অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করতে পারে। যেমন টুথপেস্ট, ব্রাশ, ফেইস ওয়াশ, ক্রিম, লোশন, বডি স্প্রে, হেয়ার ক্রিম, এক জোড়া বাড়তি স্যান্ডেল, বাস অথবা ট্রেন জার্নিতে পড়ার জন্য গল্পের বই-ম্যাগাজিন। মশা নিধনকারী স্প্রে বা এরোসলও সাথে রাখুন।

আরও পড়ুনঃ ‘তাজমহল’ গড়া শেষ না করেই মারা গেলেন ‘শাহজাহান’

যে বিষয়গুলো ভ্রমণকে সহজতর করবেঃ

১। যে কোন দেশে ভ্রমণের জন্য লোকাল কারেন্সি লাগে যেটা এয়ারপোর্ট বা হোটেল থেকে নিতে হয়। এই ব্যাপারে নিশ্চিত হোন এবং লোকাল কারেন্সি পেতে কত কি ফি লাগে সেটা সম্পর্কেও ধারণা রাখুন।

২। আপনি যে ব্যাংকে লেনদেন করবেন অথবা যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, সেই ব্যাংক অথবা ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে আপনার ভ্রমণ বিষয়ে জানিয়ে রাখুন। এতে তারা সন্দেহপ্রবণ হবে না, এমনকি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করারও সম্ভাবনা থাকবে না।

Image Source: Google

৩। ওয়াই-ফাই কানেকশন থাকলে চলাফেরা-নির্দেশক স্কীনশট রাখুন। আপনি কিভাবে,কোথায় ঘুরছেন সেসবের স্কীনশট রাখা থাকলে আপনি আপনার মূল্যবান ডাটা ব্যবহার না করেই ভ্রমণের খুঁটিনাটি সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।

৪। ওয়ালপেপার সিটি গাইড কিনে রাখুন। ওয়ালপেপার সিটি গাইডে খুব যত্ন সহকারে যেকোন শহরের দর্শনীয় স্থান, রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে তথ্য দেওয়া থাকে। এই গাইডবুক বহনে আরামদায়ক এবং এটি দেখতেও সুন্দর। গাইড অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। প্রতিনিয়ত গাইড টিপস পাবেন এই অ্যাপ থেকে।

৫। একাধিক শহরে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে এয়ারলাইন্সের টিকেট অগ্রিম বুক করে রাখুন। কায়েক এবং স্কাইস্ক্যানার সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে টিকেটের দাম সম্পর্কেও জানতে পারবেন। ব্যাগ চেকিং এর যে খরচ তা অনলাইনে অ্যাডভান্সে পে করলে খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব।

Image Source: Google

৬। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা প্ল্যান নিয়ে রাখুন। প্রিপেইড প্ল্যান ব্যতীত ডাটা রোমিং করলে প্রচুর বিল আসার সম্ভাবণা প্রবল। অবশ্যই ভ্রমণের সময় আপনি কত ডাটা ব্যবহার করলেন, কত উদ্ধৃত থাকলো সেটা খেয়াল করুন। বাড়িতে ফিরেই ইন্টারন্যাশনাল ডাটা প্ল্যান বন্ধ করুন তা না হলে আপনার প্রতি মাসে ডাটা প্ল্যান বাবদ অযথা খরচ হবে।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের বেশ কিছু অজানা কাহিনী

স্বাস্থ্য পরামর্শঃ

১। ‘মোশন সিকনেস’ভ্রমনের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। এতে বমি ভাব হয়। সেই সাথে মাথা ঘোরা, মাথা ধরা প্রভৃতি। মোশন সিকনেস থেকে বাঁচার উপায় হলো, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকা। বড় বড় শ্বাস নিতে হবে। প্রয়োজন হলে চোখ বুজে থাকুন। বই পড়বেন না বা স্থির কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। আদা চিবাতে পারেন।

Image Source: Google

২। ভ্রমণের খুব কমন একটি সমস্যা‘ট্রাভেলার্স ডায়রিয়া’। বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন অল্প সিদ্ধ মাংস, সি ফুড, অপাস্তরিত দুধ এবং দুগ্ধ জাত খাবার, জল ইত্যাদির মাধ্যমে এটি ছড়ায়। তাই এগুলোর ব্যাপারে সাবধান থাকুন।হাতের কাছে বিশুদ্ধ জলের বোতল রাখুন।

৩। ভ্রমনে এসিডিটি হতে পারে। আগে থেকেই অ্যাসিডিটির ওষুধ সাথে রাখুন। মাথা ব্যথার ওষুধ অবশ্যই সাথে রাখুন।

আরও পড়ুনঃ ধর্মান্তরকরণের উদ্দেশ্যে এসে আদিবাসীদের হাতে নিহত মার্কিন খ্রীষ্টান মিশনারী

৪। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরাবিশেষ সর্তক থাকবেন। ভ্রমনের দু’একদিন আগে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের চেম্বার ঘুরে আসুন। ডায়বেটিসের রোগীদের জন্যও একই পরামর্শ। একটা ট্রাভেল কিট বানিয়ে নিতে পারেন যেখানে থাকবে প্রয়োজনীয় ওষুধসহ, গজ,ব্যান্ডেজ অ্যান্টিসেপটিক মলম ইত্যাদি।

Image Source: Google

সতর্কতাঃ

১। মানি ব্যাগ, ক্রেডিট কার্ড সাবধানে রাখবেন। সব টাকা মানিব্যাগে না রেখে কিছু টাকা অন্য জায়গায় রাখবেন। একটি কার্ডে আপনার ঠিকানা লিখে রাখবেন। ব্যাগ হারিয়ে গেলে কেউ পেয়ে থাকলে ফের পাবার সম্ভাবনা থাকবে।

২। সন্ধ্যার পর অথবা বেশি রাত পর্যন্ত হোটেলের বাইরে অবস্থান করবেন না। বিশেষ করে পরিবার নিয়ে ভ্রমন করতে গেলে । অবশ্যই শিশুদের দিকে লক্ষ্য রাখুন। একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও মানসম্মত হোটেলে থাকার চেষ্টা করবেন।

]]>
যৌনতা কেন্দ্রিক পর্যটনে বিশ্বের সেরা ২০ টি ঠিকানা https://thenewsbangla.com/the-worlds-top-20-travel-destinations-for-sex-oriented-entertainment/ Wed, 24 Oct 2018 16:08:23 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=1443 The News বাংলা: পর্যটন এখন আর শুধুমাত্র ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পর্যটনে এখন লেগেছে উদ্দাম যৌনতার ছোঁয়া। পর্যটন ও সেক্স এর টানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন পর্যটকরা। কোন কোন দেশ পছন্দ তাদের?

আরও পড়ুনঃ ভ্রমন আরও সুন্দর করার জন্য কিছু টিপস মনে রাখুন

এক নজরে দেখে নিই যৌনতা কেন্দ্রিক বিনোদনের জন্য বিশ্বের সেরা ২০ টি ঠিকানাঃ

১. কিউবা নিঃসর্গ, সংস্কৃতি ও চুরুটের স্বর্গরাজ্য হিসাবে খ্যাত দ্বীপরাষ্ট্র কিউবায় প্রতিবছর পাড়ি জমান বিশ্বের অজস্র পর্যটক। তবে এদের বড় একটি অংশ আসেন যৌনতার আকর্ষণে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, মনপসন্দ নাবালক যৌনসঙ্গীও সুলভে মেলে এই দেশে।

আরও পড়ুনঃ বউয়ের জন্য সিঁদুর পরে হিন্দু প্রথা ভাঙলেন রণবীর সিং

২. রাশিয়া গত এক দশকে রাশিয়ায় দেহব্যবসার রমরমা শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের পর্যটকরাই এখানে যৌনতার টানে ছুটে আসেন। তবে রুশ যৌন বাজারে দালালদের দাপট বেশি। তাই, দালাল থেকে সাবধান থাকাটা খুব দরকার৷

আরও পড়ুন: বিশ্বে আলোড়ন ফেলে চুমু খেতে রাজি সোফিয়া

৩. আর্জেন্টিনা ১৯৮৭ সাল থেকে এ দেশে বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। এই কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ও নাবালক যৌনসঙ্গীর পাশাপাশি আর্জেন্টিনায় সমকামী দেহব্যবসায়ীদের চাহিদাও তুঙ্গে। সরকারের পক্ষ থেকেও সমকামী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যৌন পর্যটনের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চাইছে মারাদোনা ও মেসির দেশ।

৪. বুলগেরিয়া যৌন পর্যটনের পীঠস্থান সানি বিচ রিসোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বাস্তব ও কল্পনার অভাবনীয় মিশেল। শোনা যায়, এই সৈকতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেহব্যবসায়ী ভিড় জমান। তাঁদের অনেকেই আসেন প্রতিবেশী দেশ থেকেও।

আরও পড়ুন: ইনিই এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম

৫. দক্ষিণ কোরিয়া এ দেশে যৌনতা নিয়ে শুচিবায়ু নেই। ক্ষণিকের শয্যাসঙ্গী জোগাড় করতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে রয়েছে একাধিক এসকর্ট সার্ভিসের ব্যবস্থা। হোটেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়াও মেলে সুলভে।

৬. কলম্বিয়া অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা বলে যৌন পর্যটনস্থল হিসেবে ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই দেশ। দরিদ্র দেশে এসে নামমাত্র খরচে দেদার ফূর্তি লুটতে প্রতিবছর কলম্বিয়া পাড়ি জমান ইউরোপ ও আমেরিকার পর্যটকরা।

আরও পড়ুনঃ বয়সে এক যুগের ফারাকে বিয়ের পিঁড়িতে মালাইকা অর্জুন

৭. কম্বোডিয়া দুনিয়ার অন্যতম বড় যৌন ব্যবসা চালায় এই দেশ। কিন্তু তার বেশির ভাগই অবৈধ। তবে আইনের ফাঁক গলে অবাধ যৌনতার হাতছানিতে সাড়া দিতে প্রতিবছর ছুটে আসেন বিশ্বের কামতাড়িত মানুষ।

৮. প্রাহা স্লোভাকিয়ার প্রাহা শহর ১৯৮৯ সাল থেকেই ইউরোপের যৌনতার রাজধানী তকমা পেয়েছে। অসংখ্য জেন্টলম্যানস ক্লাব অথবা রিল্যাক্সেশন ক্লাবে অল্প খরচে শরীরী বিনোদনের সম্ভার মেলে। হিংসাত্মক ঘটনাও এখানে সংখ্যায় খুব কম।

আরও পড়ুনঃ দীপিকা কি গর্ভবতী? রণবীরের সন্তানের মা হবেন দীপিকা?

৯. নেপাল রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখরা ও তরাইয়ের শহরাঞ্চলে দেহব্যবসা রমরমা। বাণিজ্য জমে উঠে হোটেলের দামি ঘর থেকে শুরু করে নিষিদ্ধপল্লীর অন্ধকার আস্তানামায় যৌন ব্যবসায়ীর বসত ভিটেতেও। কাঠমান্ডুর থামেলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ম্যাসাজ পার্লার, যেখানে অবৈধ দেহব্যবসার পসার সাজানো। এ ছাড়া বিভিন্ন রেস্তোরাঁর কেবিন ও ডান্স বারগুলিতেও মিলবে অফুরন্ত দেহজ বিনোদনের সম্ভার।

১০. থাইল্যান্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যৌনতার নয়া ঠিকানা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড। ব্যাঙ্ককের বিখ্যাত দপিং পিংদ শো-ই হোক অথবা বিভিন্ন স্পা-এর ছদ্মবেশে যৌনতার আস্তানা। দেশজুড়ে অবাধ ও নিরাপদ দেহব্যবসার রমরমা বছরভর। তাই দেশটি বিশ্বের নানা দেশের নারী-পুরুষরকে সহজেই আকৃষ্ট করছে।

আরও পড়ুনঃ রাখীকে চুমু খেয়ে বিতর্কে আসা মিকা এবার যৌন হেনস্থার দায়ে জেলে

১১. জামাইকা শুধুমাত্র দেশের দেহব্যবসায়ীরাই নন, ভ্রমণরত বহু মহিলা পর্যটকও এ দেশে শরীর বিকোতে দ্বিধাবোধ করেন না। তাই দেশটি বিশ্বের নানা দেশের নারী-পুরুষরকে সহজেই আকৃষ্ট করছে।

১২. কেনিয়া আফ্রিকার এই দেশে যৌন ব্যবসার নানান রূপ। স্ট্রিপ ডান্সবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রিসোর্ট ও স্পা-তে সুলভে দৈহিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এমনকি ছুটি কাটাতে এসে টানা কয়েক দিনের জন্যও সঙ্গী মেলে কেনিয়ায়।

১৩. লাস ভেগাস আমেরিকার এই শহর সব পেয়েছির ঠিকানা। শহরে যৌনতার রমরমা সম্পর্কে ইঙ্গিত করতে বলা হয়, হোয়াট হেপেনস ইন ভোস, রিমেইনস ইন ভেগাস। এখানে যৌনতা শুধু ব্যবসা অথবা বিনোদন নয়, শরীরী ভাষা উদযাপনেরও মাধ্যম। মরুভূমি অধ্যূষিত নিসর্গে অচেনা সঙ্গীর দেহজ সান্নিধ্য বেঁচে থাকার ক্ষণিক রসদ জোগায় বই কি!

১৪. গ্রিস ব্যবসায়িক যৌনতা বৈধ গ্রিসে। প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর অন্তর চিকিতৎসকরা দেহপসারীনিদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করেন। তবে এখানে বহু মহিলাই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পাচার হয়ে আসেন। গ্রিসের দেহ-দাস প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

আরও পড়ুন: লাইফ বিয়ন্ড ডেথ’, কী ভাবে জানবেন মৃত্যুর পর কী

১৫. তেল আবিভ গোটা ইজরায়েলের মতোই এই শহরেও যৌনতা নিয়ে কোনো লুকোছাপা নেই। বিশ্বের যৌন পর্যটনের তালিকায় অবশ্য সদ্য নাম তুলেছে তেল আবিভ।

১৬. বাহারিন তথাকথিত রক্ষণশীল এই দেশটিতে ইদানীং দেহব্যবসা বেশ রমরমা। খরচও পড়ে ইউরোপের যে কোন শহরের তুলনায় অনেক কম।

১৭. জাপান বিশ্বের যৌন পর্যটন মানচিত্রে জাপানি সেক্স ট্যুরের চাহিদা এখন প্রবল। দস্তুর মতো পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন বাজেটের যৌন পর্যটনের ব্যবস্থা রয়েছে এ দেশে।

আরও পড়ুনঃ ‘পেলেই ছিঁড়ে খাবে’, কঠিন লড়াই করে বেঁচে ইরাকের নারীরা

১৮. ব্রাজিল শুধুমাত্র ফুটবল বা কফি নয়, লাতিন সুন্দরীদের দেহের ভাঁজে কুপোকাত গোটা দুনিয়া। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই যৌন পর্যটনের অন্যতম সেরা ঠিকানা হিসেবে গত এক দশকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। দেহ-বিলাসের বিবিধ উপকরণের সম্ভার আছে এখানে।

১৯. কোস্টারিকা জলপাই রঙা ত্বক, ভরাট নিতম্ব ও গভীর স্তন বিভাজিকায় সমৃদ্ধ সে দেশের নারী। দেহব্যবসার হাত ধরে দেদার ডলার কামাচ্ছে দেশটি।

২০. কানাডা যৌনতার বাজারে সবে খাতা খুলেছে কানাডা। আমেরিকানরাই এখানকার দেহব্যবসায়ীদের প্রধান খদ্দের। যৌনতা সম্পর্কে এখানকার ঢিলেঢালা আইন প্রতিবছর কাতারে কাতারে পর্যটককে আকর্ষণ করছে কানাডার নানা প্রান্তে।

]]>
সহজেই ঘরোয়া উপায়ে চোখের নিচের কালো দাগ দুর করুন https://thenewsbangla.com/easily-remove-the-black-spots-below-the-eyes-in-the-domestic-way/ Mon, 15 Oct 2018 14:37:13 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=1232 নিজস্ব পরামর্শদাতা : চোখের নিচের ত্বক অত্যন্ত পাতলা এবং সংবেদনশীল। তাই আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে অল্পতেই। এমনকি আপনার মেকআপের কোন উপকরণের ছোয়াতেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চোখের নিচের ত্বক। চোখের নিচে কালো দাগ শুধু নিদ্রাহীনতার চিহ্নই নয় মুখায়বয়বের উপর ‘ব্ল্যাকস্পট’ও বটে।

চোখের নিচে কালো দাগ কেন হয়?

ঘুম কম হলে তো বটেই এ ছাড়াও নানা কারণে কালো দাগ পড়তে পারে চোখের নিচে। জিনগত ভাবে অনেকের চোখে জন্ম থেকেই কালো দাগ থাকে। এর বাইরে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাঢ় হতে পারে চোখের নিচের ত্বকের রং। পাতলা ত্বকের নিচে রক্তের কৈশিক জালিকার কারনে একটা কালো ভাব চলে আসে আবার পুষ্টিহীনতা বা বার্ধক্যের কারনে চোখ গর্তের ভেতর ঢুকে গেলেও মনে হয় কালো দাগ পড়েছে চোখের নিচে।

এখন খেয়াল করুন আপনার চোখের নিচে নীলচে নাকি বাদামি দাগ পড়েছে। বাদামী দাগ সাধারণত তৈরি হয় জিনগত কারনেই। তবে চোখ বেশি কচলালে বা রোদে পুড়েও হতে পারে এমন অবস্থা। এই অস্বস্তি এড়াতে এমন ক্রিম ব্যবহার করুন যাতে সয়া বা সাইট্রাস আছে। এগুলো ত্বক উজ্জ্বল হতে সাহায্য করে।

সানস্ক্রিন তো ব্যবহার করতেই হবে এবং চোখ কচলানো বন্ধ করতে হবে। চোখের নিচের দাগ যদি নীলচে হয় তবে দুশ্চিন্তা করবেন না। কৈশিক জালিকায় রক্তপ্রবাহের কারনেই এমন দেখায়। পর্যাপ্ত ঘুম আর ব্যলেন্সড ডায়েটই পারে চোখের ত্বক সুস্থ রাখতে।

দাগ তুলতে জেনে নিন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি:-

শসা:
সজীব শসা স্লাইস করে কেটে আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। দশ মিনিট চোখের উপর রেখে পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত দুবার, একটানা সাত দিন। আবার শসা আর লেবুর রস সমান পরিমান মিশিয়ে মাখতে পারেন ত্বকে। দিনে একবার করে সাত দিন মাখুন। স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।

কাঁচা আলু:
কাঁচা আলু ঠাণ্ডা করে ব্লেন্ডারে পিষে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট দাগের উপর মেখে ১০-১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আলু পেস্ট করতে ঝামেলা মনে হলে শসার মত স্লাইস করেও ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহব্যপী দিনে ১-২ বার ব্যবহার করলেই চলবে।

গোলাপ জল:
প্রাকৃতিক ভাবেই গোলাপ জল স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। ছোট্ট পরিস্কার কাপড়ের টুকরা বা আই প্যাড গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। পুরো ভিজলে চোখ বন্ধ করে চোখের পাতার উপর রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। দিনে একবার করে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে চোখের স্বাভাবিক রং ফেরত আসবে।

টমেটো:
এক চামচ টমেটোর রস এবং আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চোখের নিচে মেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন পরিস্কার জল দিয়ে। দিনে একবার বা দুইবার করে টানা সাত দিন ব্যবহার করুন।

আমন্ড ওয়েল:
স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আমন্ড ওয়েলের খ্যাতি আছে। প্রতি রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে চোখের নিচে হালকা আমন্ড ওয়েল মেখে শুয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কালো দাগ বিদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত এ পদ্ধতি চালু রাখুন।

মনে রাখবেন চোখ ও এর আশেপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর। চোখের নিচের দাগ দূর করতে গিয়ে যেন চোখ দুটো খোয়া না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চোখের নিচে মাখতে গিয়ে যেন কোন উপাদান চোখে ঢুকে না যায় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।

পরবর্তী বিউটি পোস্টগুলো পেতে The News বাংলা ফেসবুক পেজ লাইক এন্ড শেয়ার দিয়ে রাখুন। বিউটি টিপস ও রান্নার রেসিপি পাঠাতে চাইলে thenewsbanglaofficial.com এ মেল করতে পারেন।

]]>